1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফেসবুকে ৮ মাসের ওষুধ মজুতের গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০

গত দু’দিন ধরে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঘুরে ফিরে একটি বার্তা আসছে। ওই বার্তায় বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বাংলাদেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই পরবর্তী আট মাসের ওষুধ মজুত রাখতে। সেখানে নামিদামি কোম্পানির ওষুধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যা সংগ্রহে রাখার জন্য বলা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি নিছক প্রোপাগান্ডা (ভুল প্রচারণা), অসাধু ব্যবসায়ীদের ফন্দিফিকির।
ওষুধের লম্বা এ তালিকা ও পরিমাণ হিসেব করে দেখা গেছে, ওইসব বার্তায় একজন মানুষকে ২৬ পদের কমপক্ষে ৫৮ হাজার টাকার ওষুধ ও মেডিকেল জিনিসপত্র কিনতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ওই বার্তায় ছোটদের জন্য সিরাপ, বড়দের জন্য সিরাপ, ট্যাবলেট, অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, অ্যান্টিবায়োটিক পাউডার, নেব্যুলাইজার, স্যালাইন, সিরিঞ্জ, গজ, অ্যাসিডিট ট্যাবলেট, অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম, সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, গজ ও চোখের ড্রপ কিনতে বলা হয়েছে।
জনমনে ভীতি সৃষ্টিকারী এই বার্তায়, এ সব ওষুধ বাদেও মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন, চোখের ড্রপসহ আগে থেকেই যারা নানা রোগের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের সেসব ওষুধ ৮ মাসের জন্য আগাম মজুত করে রাখতে বলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ম্যাসেজটি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এগুলোকে অসাধু ব্যবসায়ী ও ওষুধ প্রতিষ্ঠানের প্রোপাগান্ডা হিসেবে উল্লেখ করছেন।
ওষুধগুলোর নাম যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, এগুলোর অধিকাংশই বাজারের নামিদামি ও প্রথম শ্রেণির কোম্পানির।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এটি এক ধরনের প্রোপাগান্ডা যা বিভ্রান্তির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। যেসব আইডি থেকে এ ধরনের ম্যাসেজ ছড়ানো হচ্ছে আমরা সেগুলোকে শনাক্ত করছি। তারা অন্যায়ভাবে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে আইনের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সচেতনতা নিয়ে আইইডিসিআর-এর অনেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন। তারা এ ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কারও যদি ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় যে, জনগণের জন্য কোনো পরামর্শ দিতে হবে তারা যেন এভাবে না দিয়ে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রয়োজনে তারা দেশবাসীকে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেবেন।’
গত জানুয়ারিতে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৫২ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ হাজার ৮০ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭০ হাজার ৭১৪ জন।
চীন এ ভাইরাস সংক্রমণের লাগাম কিছুটা টেনে ধরলেও এটি এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ২১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত মাত্র একজন থাকলেও তা সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ হাজার ৮৩২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪১ জন।
বাংলাদেশে এপর্যন্ত ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ