জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সর্বোচ্চ আদালত জামিন দিলেও এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এ মামলায় জামিনে মুক্ত হতে বাধা না থাকলেও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু মামলা থাকায় সহসাই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।
খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে তাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন,খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সর্বমোট মামলার সংখ্যা প্রায় ৩৮টি। এর মধ্যে কুমিল্লার তিনটি মামলা, ঢাকার দুটি, নড়াইলের একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ ছয়টি মামলায় খাালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তার আইনজীবী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “কিছুটা বাধা আছে। কারণ সরকার নানা কৌশলে চেষ্টা করবে তার মুক্তিটা বিলম্বিত করার জন্য। এ কারনেই নিচের আদালতের কতগুলো মামলায় তাকে আসামি দেখানো হয়েছে। সে মামলাগুলোতে তার জন্য আমাদের জামিন নিতে হবে। সেই জামিন নিতে যতটুকু সময় লাগে সেই সময়টুকু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা খুব দ্রুত চেষ্টা করছি। আপিল বিভাগ যেহেতু তার জামিন বহাল রেখে দিয়েছেন, এখন নিম্ন আদালতে জামিন পেতে আর খুব বেশি অসুবিধাহবে না। সুতরাং খুব শিগগির আমরা চেষ্টা করব ওই মামলাগুলোতে ওনার (খালেদা জিয়া) জামিন নিতে। কারণ আমাদের তো একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেএগুলো সম্পন্ন করতে হবে। সুতরাং সেই জামিনগুলো পাওয়ার পরে খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং খুব শিগগির ফিরে আসবেন ’
এ বিষয়ে সাবেক আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, এই মামলায় যেহেতু সর্বোচ্চ আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এই রায়ের কপি জেলে গেটে নিয়ে গেলে তিনি মুক্তি পাবেন। কিন্তু যদি অন্য মামলায় তাকে আটক দেখানো হয় তাহলে সেসব মামলা থেকেও তাকে জামিন নিতে হবে। তবেই তিনি মুক্তি লাভ করবেন।