1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

২০ দলীয় জোটের ৭টি নেই। নিবন্ধনহীন জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণার নেপথ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৮

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মধ্যে ১৮টি দলই নামমাত্র হলেও তাদের মধ্যে ৭টি দল বেরিয়ে গেছে। তবে বেরিয়ে গেলেও উক্ত ৭ দলের একটি অংশ নিয়ে দল গঠন করে জোট টিকিয়ে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে ইসলামী ঐক্য জোটের সভাপতি আবদুল লতিফ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সেকান্দার আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শওকত হোসেন নীলু ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আলমগীর মজুমদার, মুসলীম লীগের জোবায়দা কাদের চৌধুরী প্রমুখ জোট থেকে বেরিয়ে গেছেন।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মোহাম্মদ সেলিম-উদ্দিন নামে তাদের মধ্যসারির এক নেতাকে ঐ নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক (দাড়িপাল্লা) বাতিল করায় তাদের নির্বাচন করার সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন বলছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, ফলে তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রার্থী দিতে পারেনা।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিবিসিকে বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে, সুতরাং তারা দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
তিনি জানান, কোনো জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারবেন এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন লাগবে।
এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, জেনেশুনে কেন জামায়াতে ইসলামী মেয়র নির্বাচন করার ঘোষণা দিল?
দলের পক্ষ থেকে বিবিসির কাছে দেয়া বক্তব্য থেকে দুটো ধারণা করা হচ্ছে।
এক, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলাম সরকারকে দেখাতে চাইছে তারা বিএনপির সাথে জোটে আর নেই।
দুই, এককভাবে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে জামায়াত বিএনপিকে বার্তা দিতে চায় যে তাদের ব্যাপারে বিএনপির সাম্প্রতিক নিরাসক্তি তারা পছন্দ করছে না এবং সামনের সাধারণ নির্বাচনে শরীক হিসাবে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
তবে অনেকের মতে, জামায়াতের অর্থের যোগান কমে যাওয়ায়, প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপিসহ শুভাকাঙ্খিদের কাছ থেকে আর্থিক আনুকূল্য গ্রহণ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জামায়াত এখনও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক। ফলে জোটের সঙ্গে কোন ধরণের আলোচনা ছাড়াই প্রার্থিতা ঘোষণার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বিএনপি।
বিষয়টি গতরাতে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকেও আলোচিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, ঢাকার আসন্ন উপ-নির্বাচনে কুড়ি দলীয় জোট একক প্রার্থী দেবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই জানিয়েছেন, নানা ইস্যুতে জোটের প্রধান দুই শরিকের মধ্যে এক ধরণের সংকট ও দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির পর্যবেক্ষক এবং দৈনিক নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবর বলছিলেন, “নানা প্রশ্নে বিএনপির সাথে জামায়াতের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো নিয়ে তাদের মনোমালিন্য হতে পারে। তবে এটা খুব প্রকাশ্য বা ব্যাপক কিছু নয়।”
সালাউদ্দিন বাবর মনে করেন জামায়াত শেষ পর্যন্ত জোটের সাথে মিলেই নির্বাচন করবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ