1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

৭ মার্চ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং রাষ্ট্রের চরিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৮

মুনীরুজ্জামান

 ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধ করার আহ্বানে সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাঠামো এবং চরিত্র নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ১৯৭২-এর সংবিধানটি রচিত হয় ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভিত্তিতে। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ‘এ বাংলায় হিন্দু মুসলমান বাঙালি-নন বাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই’- ভাষণের এ বাক্যটি শুধু কথার কথা নয় এর মধ্যে দিয়েই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক-ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পেয়েছিলাম ’৭২-এর সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি, সংবিধানের মুখবন্ধ এবং সংবিধানের ১২ এবং ৩৮ অনুচ্ছেদে।

এভাবে ৭ই মার্চের ভাষণেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চরিত্র নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারী মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি-দেশীয়, পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হত্যার উদ্দেশ্য-মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চরিত্র, যেটা ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু নির্ধারণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে ’৭২-এর সংবিধানে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল, রাষ্ট্রের সেই সেক্যুলার-ডেমোক্র্যাটিক অসাম্প্রদায়িক চরিত্র পরিবর্তন করে পাকিস্তানের ধারায় ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক চরিত্র ফিরিয়ে আনা। আমরা জানি সেই লক্ষ্যে জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্রীয় কাঠামো, প্রশাসন এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতমুখী পরিবর্তন আনা হয়। সূচনা করেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রাজনৈতিক নেতা খন্দকার মোস্তাক। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের রাজনৈতিক-রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’ পরিবর্তন করে পাকিস্তানি আদলে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ফিরিয়ে এনেছিলেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ‘বাংলাদেশ বেতার’কে করা হয়েছিল রেডিও পাকিস্তানের আদলে ‘রেডিও বাংলাদেশ’। কিন্তু আসল ক্ষতি অর্থাৎ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের আদর্শিক-রাজনৈতিক ভিত্তির ওপর প্রথম আঘাতটি করলেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির আকাক্সক্ষার প্রতীক বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন করে রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তনের সূচনা করেন জিয়াউর রহমান। প্রথম আক্রমণটি করেন রাষ্ট্রের সেক্যুলার চরিত্রের ওপর। সামরিক ফরমানে সংবিধানের মুখবন্ধে বিসমিল্লাহ… লিখে, চার মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করে এবং সংবিধানের ১২ ও ৩৮ অনুচ্ছেদ বাতিল করে পাকিস্তানের আদলে রজনীতিতে ধর্মকে ফিরিয়ে আনেন এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রের চরিত্র বদলের প্রথম ধাপ ছিল এটি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসে পাকিস্তানের মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, ইসলামী ডেমোক্র্যাটিক লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন বাংলাদেশে। জিয়ার পর স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমতায় এসে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। অর্থাৎ সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রকে একটি বিশেষ ধর্মের পরিচয়ে সাম্প্রদায়িক চরিত্র আরোপ করেন সামরিক শাসক এরশাদ।
মোশতাক-জিয়া-এরশাদ ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে পরিবর্তন করেন সংবিধান এবং ব্যবহারিক রাজনীতিতে তার প্রভাব পড়ে সমাজ, শিক্ষা এবং সংস্কৃতিতে। দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, দ্বিজাতি তত্ত্ব এবং সাম্প্রদায়িকতা এবং সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই যে বাঙালি জাতীয়তাবাদীবোধ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশের সমাজে, গণচেতনায়, রাজনীতিতে, বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং মোশতাক-জিয়া-এরশাদের শাসন ও বাংলাদেশ বিরোধী পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের সমাজকে, বাংলাদেশের গণচেতনাকে সেই অর্জন থেকে ধীরে ধীরে বিচ্যুত করতে থাকে। ১৯৭৫-এর পর ২১ বছর ধরে অর্থাৎ জিয়া-এরশাদের শাসনের পর খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনকাল (১৯৯১-৯৬) পর্যন্ত অপ্রতিহত গতিতে চলেছে সমাজ ও রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িকীকরণ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চরিত্র পাল্টানোর বিরামহীন প্রচেষ্টা। অস্বীকার করার উপায় নেই এর প্রভাব সমাজ, রাষ্ট্র এবং মানুষের চেতনায় মননে পড়েছে বৈকি।
বাংলাদেশবিরোধী পাকিস্তানপন্থি এ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রথম যতি পড়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর। কিন্তু ততদিনে ক্ষতি অনেক হয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশের মৌলিক রাষ্ট্রীয় চরিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নেই নয় গণমানসে বা সাধারণ মানুষের চেতনায় বাংলাদেশবিরোধী চেতনার প্রভাব লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়, জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার ২১ বছরের শাসনে।
সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক The Daily Star G Religion dictating social life শীর্ষক আলোচনায় মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে : বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে অর্থনীতি এবং মধ্যবিত্তের উল্লেযোগ্য উন্নয়ন সত্ত্বেও রাজনীতি এবং সমাজে ধর্মের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণতন্ত্র এবং উদার নীতি প্রসারে ঐতিহ্যগতভাবে মধ্যবিত্ত একটি শক্তিশালী [সামাজিক] শক্তি, তারাও তাদের ভূমিকা পালন করতে পারেনি।
অর্থাৎ ধর্মই এখন বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সমাজকে চালাচ্ছে। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে বেশ কতগুলো ক্ষেত্রে এ ধারণা যে প্রমাণিত সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। যেমন বতর্মন সরকার, যাদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, যে সরকার প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধী তথা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করছে, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেই সরকার ’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেনি। বরং সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের স্বাধীনতা অব্যাহত রেখেছে। যেটা বাংলাদেশের আদি সংবিধান এবং ৭ই মার্চের ভাষণ অনুমোদন করে না।
ধর্ম শুধু সমাজ ও রাজনীতিকে ডিক্টেট করছে না, ধর্ম আমাদের শিক্ষা এবং সংস্কৃতিকেও ডিক্টেট করার প্রয়াস পাচ্ছে। এ সরকারের আমলেই হেফাজতের নির্দেশে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্য পুস্তকের সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী পরিবর্তন করা হয়েছে পাঠ্য পুস্তক। এ পরিবর্তন মুক্তিযুদ্ধের সরকারের পক্ষ থেকে ডিফেন্ডও করা হয়েছে। সেক্যুলার সাংস্কৃতিক কর্মকা- সংকুচিত করা হচ্ছে ক্রমশ। সরকারি পরোয়ানায় নববর্ষের অনুষ্ঠানকে বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হচ্ছে। গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি বড় আধার ছিল ঐত্যিবাহী যাত্রা অনুষ্ঠান, সেই জিয়ার আমল থেকে বাংলাদেশের গ্রামে যাত্রা অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি। প্রশাসনের তরফ থেকে অজুহাত দেয়া হয় নিরাপত্তার। এটা একটি অগ্রহণযোগ্য যুক্তি। সরকার কি ভুলে গেছে যে, এ দেশের মানুষ পাকিস্তানের সরকার এবং মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে এ দেশে রবীন্দ্রনাথকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, রবীন্দ্রনাথের গান এ দেশের জাতীয় সংগীত করেছে।
রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষায় ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা এবং মৌলবাদের দাপটের কাছে রাজনৈতিক শক্তি আত্মসমর্পণ করছে কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোন যথার্থ বা অর্থবহ প্রতিবাদ নেই, দ্রোহ নেই। প্রতিবাদ যতটুকু করা হয় সেটাও হিসাব করে, পাছে এস্টাবলিশমেন্ট চটে যায়। অথচ মৌলবাদ, সমাজ ও রাজনীতিতে ধর্মের অনাকাক্সিক্ষত প্রভাব এবং মৌলবাদের সঙ্গে আপস করে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করা যায় না। এর বিরুদ্ধে লড়াই করেই একটি সেক্যুলার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। এ কথাটা বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন বলেই ৭ই মার্চের ভাষণে এবং পরে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস পেয়েছিলেন।
কিন্তু আজকের বাংলাদেশ এ লড়াই থেকে পিছিয়ে আসছে। ক্রমশ জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে মৌলবাদী শক্তিকে। যে সমাজ একদিন ‘পূর্ব বাংলা রুখিয়া দাঁড়াও’ বলে পাকিস্তানি শাসকের রক্তচক্ষুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। সেই সমাজে, সেই রাষ্ট্রে এখনও রামুর ঘটনা ঘটে কিভাবে। নাসিরনগরের ঘটনা ঘটে কিভাবে। রংপুরের ঘটনা ঘটে কিভাবে। এবং রাষ্ট্র! রাষ্ট্র নাসিরনগর ও রংপুরের ঘটনায় ঘটনার হোতা নয়, ঘটনার শিকার যারা হয়েছেন তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিভাবে। আজও কেন নাসিরনগরের রসরাজ দাসের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, সবকিছু জানার পরও রংপুরের টিটু রায় গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হয় কিভাবে। অথচ সবারই জানা নাসিরনগরের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের পরিকল্পনা, রংপুরের হামলায় যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত দু’জন রয়েছে যারা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় রাজনীতি করেন। পরিকল্পনায় স্থানীয় জামায়াত-বিএনপি রয়েছে বলে বলা হচ্ছে, এটা বিশ্বাস করে কেউ কেউ আত্মপ্রসাদ লাভ করতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা এখানেই সীমিত নয়। বাংলাদেশে এখন যেন প্রতিযোগিতা চলছে কোন দল কত বেশি সাম্প্রদায়িক হতে পারে। অন্তত স্থানীয় পর্যায়ে ‘কে কত সাম্প্রদায়িক হতে পারে’র প্রতিযোগিতা যে হচ্ছে সেটা অস্বীকার করার কি কোন উপায় আছে। রাজনৈতিক দলের কাছে অসাম্প্রদায়িকতার বিশ্বাস এখন কথার কথা মাত্র।
রামুর ঘটনার পর ঢাকা থেকে একজন সিনিয়র সাংবাদিক গিয়েছিলেন সরেজমিন সব দেখতে। দেখা পেলেন তারই এক সাবেক সহকর্মীর। বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী সেই যুবক এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। আক্রান্ত তিনিও। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তার কাছ থেকে সেই হামলার বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। সব শেষে তিনি নাকি বলেছিলেন, ‘কি বলব, যার সঙ্গে রাজপথে সেøাগান দিয়েছি, ছাত্রলীগ করেছি, সেই আমার বাড়ি আক্রমণ করেছে। তাহলে আর বলার কী আছে!’ অর্থাৎ আস্থার জায়গাটি আর নেই। এ রকম ঘটনা সর্বত্রই পাওয়া যাবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যাদের দাঁড়াবার কথা, অন্তত রাজনৈতিকভাবে অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করার কথা তারাই আজকে সাম্প্রদায়িক অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। যেসব রাজনৈতিক দলে অসাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা ছিল সেই দলগুলো কি সর্বস্তরে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী? ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী? রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে পৃথক করার নীতিতে বিশ্বাসী?
এ প্রশ্নগুলো এখন সঙ্গত কারণেই করতে হচ্ছে। করতে হচ্ছে এ কারণে যে ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে রাষ্ট্রের কথা বলে গেছেন, রাষ্ট্রের যে চরিত্র নির্ধারিত করে গেছেন আজকের বাংলাদেশে কি তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে? না, সমাজ রাজনীতি শিক্ষা সংস্কৃতিতে ধর্মের প্রভাবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের চরিত্র পাল্টে যাচ্ছে, পাল্টে দেয়া হচ্ছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ