1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পাঁচ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ভাল পর্যায়ে ছিল : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৮

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ভাল পর্যায়ে ছিল বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এসময়ে মোট এডিপির ২০ দশমিক ১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।
আলোচ্য সময়ে বিদ্যুৎখাতের প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের হার ৪৭ শতাংশ, এতে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রকল্প সাহায্য ব্যবহারকে গতিশীল করেছে। সিপিডির মতে-বিদ্যুৎখাতের প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন গতিশীল হওয়ায় এডিপির সার্বিক বাস্তবায়ন ২০১৭ সালে ভাল পর্যায়ে ছিল।
শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০১৭-১৮: প্রথম অন্তর্বর্তী পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সিপিডি।

সিপিডি বছরে দুই-তিনবার দেশের অর্থনীতি নিয়ে পর্যালোচনা করে। আজকের পর্যালোচনা ছিল চলতি অর্থবছরের জন্য প্রথম।এতে এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি, রাজস্ব আয়,ব্যাংক খাত,রোহিঙ্গা ও বন্যার বিষয়টি নিয়ে বিশেষ আলোচনা করা হয়। সিপিডির পক্ষে পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। উপস্থাপনা শেষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

গবেষণা সংস্থাটি বলছে,চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আয় সন্তোষজনক হলেও প্রত্যক্ষ কর আহরণ বাড়েনি। আয়কর আহরণের প্রতি আরো মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। রাজস্ব আয় বাড়াতে চলমান সংস্কার কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন জরুরী বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে চললেও ধনী-গরিব বৈষম্য কমেনি বলে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে সিপিডি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মানুষের আয়ের বৈষম্য বেড়েছে। ২০১৬ সালে দেশের মানুষের মোট আয়ের ০.২৩ শতাংশ আসে সবচেয়ে দরিদ্রদের পাঁচ ভাগ থেকে, যা ২০১০ সালে ছিল ০.৭৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৬ সালে মোট আয়ে সবচেয়ে ধনী পাঁচ শতাংশের অবদান ২৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, যা ২০১০ সালে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ ছিল বলে সিপিডির হিসাব।
অর্থাৎ ধনীরা ২০১০ সালে যা আয় করতেন, ২০১৬ সালে এসে এরচেয়ে বেশি আয় করছেন, অন্যদিকে আয় কমেছে গরিবদের।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে প্রবৃদ্ধির সুফল পৌঁছায়নি। গরিবরা আরও গরিব হচ্ছে, ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে।’

সামষ্টিক অর্থনীতির অগ্রযাত্রার মধ্যে এই বৈষম্য বাড়ার জন্য ‘প্রবৃদ্ধির গুণগত মানের অভাবকে’ দায়ী করেন সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে একটি শোভন প্রবৃদ্ধির হার রক্ষা করতে পেরেছে।

‘কিন্তু এই শোভন প্রবৃদ্ধির হারের নিচে যে অন্ধকারটি রয়েছে সেটি হল দেশের ভেতরে সে তুলনায় কর্মসংস্থান হচ্ছে না, দারিদ্র বিমোচনের হার শ্লথ হয়েছে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই বৈষম্য শুধু আয়ে আর ভোগে বৃদ্ধি পায়নি, সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে সম্পদের বৈষম্য।’
দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা যতখানি না প্রবৃদ্ধির পরিমাণ নিয়ে চিন্তিত থাকতাম, এখন সময় হয়েছে সেই প্রবৃদ্ধির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা করার। যে পরিমাণ মানুষকে উপরে তোলার কথা সে পরিমাণ তুলতে পারছে না।’

সিপিডি বলছে-২০১৭ সালে ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি ভাল ছিল না। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন জোরদারে নীতি উদ্যোগের মনোভঙ্গি এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে।


সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক সংবাদ

নির্বাচিত

বেনজেমার হ্যাটট্রিকে রিয়ালের ৬-০ গোলের বিশাল জয় 

বঙ্গোপসাগরে নীল অর্থনীতির অপূর্ব সম্ভাবনা: পরামর্শক গ্রুপ গঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় নেই বাংলাদেশের কোনও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে করনীয় 

তাঁবু টাঙিয়ে খোলা আকাশের নিচে থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখছেন পর্যটকরা

মুজিবনগর দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘সোনার বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে’ প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়প্রতিজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অনুদান পেতে শর্ত মানা হবেনা

মক্কায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় ও ৪র্থ বাংলাদেশ

রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তা নিহত