ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরাম (ডব্লিউইএফ) গত বছরের সমন্বিত উন্নয়ন সূচকে (আইডিআই) বাংলাদেশ শীর্ষ ৪০টি দেশের মধ্যে উঠে এসেছে। প্রধান অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ স্থিতিশীল এবং মানসম্মত উন্নয়ন করেছে।
ডব্লিউইএফ’র বার্ষিক সূচকে উদীয়মান অর্থনীতির ৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। এই সূচকে নির্দিষ্টভাবে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানগত অবস্থান প্রতিফলিত হয়। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভারত (৬২তম), পাকিস্তান (৫২তম) এবং শ্রীলংকার (৪০তম) চেয়ে বেশ উপরে।
নরওয়ে, আইসল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও স্ট্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোসহ ২৯টি উন্নত অর্থনীতির দেশ এই সূচকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হাঙ্গেরি, আজারবাইজান, লাতভিয়া এবং পোল্যান্ডের পরেই উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর শীর্ষ রয়েছে লিথুনিয়া। সূচকে নিচের দিকে থাকা পাঁচটি দেশ হলো মোজাম্বিক, লেসেথো, আলাওয়ি, জিম্বাবুয়ে ও মিসর।
গত বছরের সূচকের চেয়ে বাংলাদেশ এ বছর দুই ধাপ এগিয়ে ৩৬তম অবস্থান থেকে ৩৪তম অবস্থানে উঠে এসেছে। সূচকের স্কোর ১ থেকে ৭। এরমধ্যে সেরা ৭ এবং ১ সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক সূচক মান ৪।
১০৩টি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম যাচাই করে অর্থনৈতিক অগ্রগতি জিডিপিতে কিভাবে অবদান রাখতে পারে তার ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
কর্মসংস্থান, শ্রমশক্তি, পরিবারের আয়, মাথাপিছু আয়, মোট সঞ্চয়, গড় আয়ু, দারিদ্র্য হার, সম্পদ বণ্টন, সরকারের ঋণ এবং পরিবেশ বান্ধব কার্যক্রমের ভিত্তিতে এই অর্থনৈতিক সূচক নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে গত বছর বাংলাদেশের জিডিপি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০১৭-১৮ (২০১৮ অর্থবছরে) জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১০ ডলার। এ সময় মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশে স্থিতিশীল ছিল।