তার আইনজীবীর ভাষ্যমতে, বেগম জিয়াকে মামলার রায়ের দিন তার চিকিৎসক ঘুমের ওষুধের ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যদি তার খোঁজ নিতে যান তবে তাকেও গেট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, বেগম জিয়া ওইদিন এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
উক্ত বিষয় বিবেচনা করে তার আইনজীবী ‘টাইম পিটিশন’ করবেন, এবং আরো কয়েক বছর মামলা ঝুলে থাকবে।
▪এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, “ওমাশা, আরো অনেক মামলা তোহ বিশ-চব্বিশ বছর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ। শুধুমাত্র বিএনপি চেয়ারপার্সন এর মামলাটি নিয়েই এত চাঞ্চল্য কেন?”
• ভালো প্রশ্ন! আর আপনার ওই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, মামলাটি নিয়ে সাধারন মামলার চেয়ে বেশি চাঞ্চল্য জনমনে থাকার কারণ মামলাটি যাকে নিয়ে, তিনি একসময় এদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাই তার মামলাটি হাই প্রোফাইল বলে বিবেচিত। যার কারণে মামলাটি নিয়ে উৎকন্ঠাও বেশি।
▪আপনি আবার বলতে পারেন, “ওমাশা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও তো ১/১১ এর সময় চাঁদাবাজীর মামলা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই মামলাগুলো কোথায় গেল?”
• আপনার ওই প্রশ্নেরও উত্তর আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর দায়ের করা মামলাগুলোর নিষ্পত্তি আদালতেই হয়েছে। বাদীপক্ষের কাছে কোনো প্রকার প্রমাণ না থাকায় ওই মামলাগুলো খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা সুপ্রিমকোর্ট এর রেকর্ড ফাইলগুলোর মধ্যে ওই মামলাগুলোর ফাইলও রয়েছে। আপনার যদি বেশি সন্দেহ হয়, আপনি ফাইলগুলো দেখার জন্য আবেদন করতে পারেন।
কিন্তু বেগম জিয়ার উপর দায়েরকৃত মামলাতে বাদীপক্ষের কাছে যথেষ্ট পরিমান প্রমাণাদি থাকায় মামলাটি উচ্চ আদালত বাতিল করতে পারলো না, এবং নির্দেশ দিল রায়ের মাধ্যমে মামলা সমাপ্ত করার।
.
এখন সবশেষে আমি তাদেরকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই যারা এখনো বেগম জিয়ার গুণ গাইছেন,
“আমাকে কি ‘জিয়া এতিমখানা’-র ঠিকানাটা দিতে পারবেন?”
“কতজন এতিম থাকে ওই এতিমখানায়?”
“কোনো আইন কি দেখাতে পারবেন আমাকে যেখানে বলা আছে ‘ট্রাস্ট’ এর টাকা ব্যক্তি নিজ একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারেন, যেমনটি করেছেন বেগম জিয়া এবং তার সন্তানরা?”
“বেগম জিয়ার ছেলের বৌ আর নাতনী ব্রিটেনের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যে ‘সাত হাজার কোটি’ টাকা দেখিয়েছেন, তার উৎস কি বলতে পারেন আমাকে?”
তারপরও ম্যাডামের বিচার চাওয়া যাবেনা। সব লীগের কারসাজি!!