তাজুল বলেন, “সাঈদ খোকন ও শেখ ফজলে নূর তাপসের দায়িত্ব পালনকালে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে।
“জানতে পেরেছি বিষয়টি নিয়ে মামলা হোক, তা শেখ ফজলে নূর তাপস চাননি। এই মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে আমি সংবাদ পেয়েছি।”
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ নিয়ে সাবেক ও বর্তমান মেয়রের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে।
দোকান উচ্ছেদ শুরু হলে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলে মালিকরা। প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এরপর ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনে যোগ দিয়ে মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।
তারপর ক্ষমতাসীন দলের এই দুই নেতার পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে সোমবার সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলার আরজিও হয় আদালতে। তবে মেয়র তাপস মঙ্গলবার বলেছেন, ‘অতি উৎসাহীদের‘ ওই মামলায় তার সায় নেই।
সাবেক-বর্তমান দুই মেয়রের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না বলেও মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল।
এ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপির অযৌক্তিক কোনো ইস্যু অথবা নেতিবাচক মন্তব্য দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না এবং এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটি বৃহৎ দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে নেতৃত্বে দিচ্ছেন। দুই মেয়রের মধ্যে মতপার্থক্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না।”
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. মিজানুর রহমান এবং নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য নিপন বিশ্বাস এদিন শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।