1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

করোনার টিকা নিয়ে গুজব ও বাস্তবতা

সুভাষ হিকমত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১

ভারত থেকে ৩ কোটি করোনার টিকা কেনার জন্য অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এজন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এটি নিয়ে অনলাইন-অফলাইনে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল। বাংলাদেশের মধ্যে যারা ভারতবিরোধিতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তারাই মূলত জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের কথা হলো, ভারত থেকে কেনো ভ্যাকসিন নেওয়া হচ্ছে?

কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি টিকা একটি আন্তর্জাতিক পণ্য। শুরুতে ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি দেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের অ্যাডভান্সড ট্রায়াল শুরুর অনুমতি পেয়েছিলো। ভারতসহ কয়েকটি দেশকে এই টিকা উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে অক্সফোর্ড।
আমাদের দেশের অনেকেই হয়তো জানেন না, ভারতের এই সেরাম ইনস্টিটিউট হলো বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ এর পেটেন্ট পেয়েছে সংস্থাটি। এরপর থেকে টিকা উৎপাদন শুরু করে সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতের জনসাধারণকে সেই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন উৎপাদন ও প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে মাত্র কয়েকটি দেশের প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এটি বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা। ইতোমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটে ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন তৈরি করে নিজ দেশের মানুষদের মধ্যে প্রয়োগ শুরু করেছে ভারত। একইসঙ্গে প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতীম ৬ রাষ্ট্রকে কয়েক লাখ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে। অন্যান্য দেশগুলোকে এক-দেড় লাখ করে টিকা উপহার দলেও, শুধু বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ ২০ লাখ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিয়েছে তারা।
একটা ভ্যাকসিন উৎপাদনের পর সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করাও একটি বড় ঝুঁকির কাজ। তাই সবচেয়ে নিকটবর্তী বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সেরাম ইনস্টিউটকেই বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ড, আমেরিকা বা জার্মানির কোনো কোম্পানির কাছ থেকে ভ্যাকসিন আনলে খরচ আরও বেশি পড়তো। দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের ব্যয়ভার, পরিবহন খরচসহ এই ভ্যাকসিনের দাম তখন কত ডলারে গিয়ে ঠেকতো কে জানে!
অযথা গুজব ও অপপ্রচারে কান দেবেন না। মহামারি নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের থেকে সতর্ক থাকুন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ