1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাহাত্তরের সংবিধানই অসাম্প্রদায়িকতার নিশ্চয়তা

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২২

গোটা ভারতবর্ষে যে সকল নেতৃবৃন্দ আমরণ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই তিনি ভাবনা শুরু করেছিলেন দেশের ভবিষ্যৎ সংবিধান নিয়ে, যে কথা তিনি ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি লন্ডনে অবতরণের পর ক্লেয়ারিজেস হোটেলে ব্যক্ত করেছিলেন।

দেশে ফিরেই তিনি ৩৪ গণপ্রতিনিধির একটি কমিটি তৈরি করে তাদের যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা ছিল সংবিধানে জনগণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের নিশ্চয়তা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা থাকবে।

সেই ৩৪ জন বঙ্গবন্ধুর প্রাত্যহিক দিকনির্দেশনা এবং তদারকির ভিত্তিতে মাত্র ৯ মাস সময়ে যে সংবিধান রচনা করেছিলেন, যাকে পৃথিবীখ্যাত বিশেষজ্ঞগণ অতি মানবিক চেতনাসমৃদ্ধ সংবিধান হিসেবে প্রশংসা করেছেন। এতে ধর্মকে তিনি রাজনীতির জগৎ থেকে সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য ঘোষণা করে উল্লেখ করেছেন ধর্মের নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।

তিনি ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর যে কথা গণপরিষদে সংবিধানের খসড়ার ওপর আলোচনায় বলেছিলেন, ঠিক একইভাবে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে নিশ্চিত করেছিলেন ধর্মের নামে রাজনীতি চলবে না। ফলে ধর্ম ব্যবসায়ীদের রাজনীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তানি ক্রীড়নক খুনি জিয়া-মোস্তক গং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বিশ্বনন্দিত সেই সংবিধানকে বন্দুকের জোরে ছিন্ন ভিন্ন করে গণমানুষের চেতনা এবং প্রত্যাশাকে ভূলুণ্ঠিত করে দেয়। যে কথা পঞ্চম এবং সপ্তম সংশোধনী মামলায় স্বয়ং মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করে জিয়া, মোশতাক, সায়েম গংকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে সাজা এবং গণমানুষের ঘৃণার বস্তু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

জিয়া-মোশতাক গং শুধু সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার তত্ত্বই তুলে দেয়নি বরং গোলাম আযমসহ অন্যান্য কুখ্যাত স্বাধীনতাবিরোধী ধর্ম ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে দিয়েছিল তাদের পাকিস্তানি প্রভুদের নির্দেশে, দেশকে পাকিস্তানে রূপান্তরের মানসে। এরপর থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক ঘৃণার রাজনীতি।

দেশে যে সাম্প্রদায়িক হানাহানি আমরা দেখতে, তা মূলত খুনি জিয়া-মোশতাকেরই সৃষ্টি। যদিও পরবর্তীকালে জিয়া-মোশতাকের করা সংবিধানে পরিবর্তনগুলোকে সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ বলে ঘোষণা করে, কিন্তু তারপরেও সংবিধানে রয়ে গেছে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, যা বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা এবং সংবিধানে নিশ্চিত করা ধর্মনিরপেক্ষ তত্ত্বের পরিপন্থি। আমাদের প্রত্যাশা এই রাষ্ট্রধর্মের কথা শিগগির সরিয়ে ফেলা সম্ভব হবে আর তখনই বলা যাবে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে ৭২-এর সংবিধানে ফিরে গেছি, আর ৭২-এর সংবিধানেই রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিশ্চয়তা।

লেখক : বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক – অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আপিল বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

বিভ্রান্ত বিএনপির স্বাধীনতা নিয়ে উদ্ভট খোয়াব

জৈবসারে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করে সাবলম্বী চাষীরা

ব্রিকসে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহপত্র পাঠিয়েছে বাংলাদেশ

১৫ অক্টোবর থেকে বিনামূল্যে জরায়ু ক্যানসারের টিকাদান কর্মসূচি শুরু

দেড় লাখ বেতনে ১ হাজার নার্স নেবে সৌদি আরব

নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ অধিক লাভজনক, আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা

পাহাড়ি নারীদের তৈরি উটের বেল্ট রপ্তানি হচ্ছে দুবাইয়ে

‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান

রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড: জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

ভূমিহীন আরও ২২ হাজার পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করলেন শেখ হাসিনা