1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সেন্ট মার্টিনের জাহাজ যাত্রার আদ্যোপান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২২

ভ্রমণ মৌসুমে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যাত্রী বহন করে বেশ কয়েকটি পর্যটকবাহী জাহাজ। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকেও দুটি জাহাজ এই পথে চলছে ইদানিং। প্রতিদিন কমপক্ষে নয়টি জাহাজ সেন্ট মাটিনে ভিড়ছে। পর্যটক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জাহাজের সংখ্যা। তবে সেবার মান নিয়ে আছে নানা অভিযোগ।

কেয়ারী সিন্দবাদ: বেসরকারি উদ্যোগে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে চালু হওয়া সমুদ্রগামী প্রথম জাহাজ কেয়ারী সিন্দবাদ। ২০০৪ সাল থেকে চলাচল করছে এ জাহাজ। প্রতিবছর নভেম্বর-মার্চ সময়ে ৩৪৬ আসনের সমুদ্রগামী এ জাহাজ টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটক আনা নেওয়া করে। তবে কখনো কখনো ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ রয়েছে।

কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন: এটাও বেসরকারী উদ্যোগে পরিচালিত একটি সমুদ্রগামী জাহাজ। ২০০৮ সাল থেকে ৩১০ আসনের এ জাহাজ টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে চলাচল করে। কেয়ারী সিন্দবাদের চেয়ে বিলাসবহুল এ জাহাজও পর্যটকের চাপ থাকলে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বে ক্রুজার ১: টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের পথে চলাচল করা ক্যাটামারান ধরনের এ জাহাজ ২৫০ জন যাত্রী বহন করতে পারে। দ্রুতগামী জাহাজটি ২৬ বছরেরও বেশি পুরনো। কয়েক বছর ধরেই এ জাহাজকে চলার সময় মারাত্মক কালো ধোঁয়া ছাড়তে দেখা যাচ্ছে।

এমভি গ্রিনলাইন ১: টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের পথে চলাচলকারী ছোট আকারের ক্যাটামারান এমভি গ্রীন লাইন ১। ১২০ আসনের সমুদ্রগামী এ নৌযান সবার আগে পৌঁছায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে।

এস টি শহীদ সুকান্ত বাবু: টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের পথে চলাচলকারী সি ট্রাক এটি। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিআইডব্লিউটিসির মালিকানাধীন এ সি-ট্রাক এমনিতে চলে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে। পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন যাত্রী বহন করে। ২০১ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার এ নৌযানও বেশ পুরনো।

এমভি ফারহান ২: সমুদ্রগামী জাহাজ না হলেও পর্যটন মৌসুমে সাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাচ্ছে এমভি ফারহান ২। এক সময় ঢাকা-বেতুয়া নৌ রুটে চলাচল করা বেশ পুরনো এ জাহাজ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন পর্যটক আনা নেওয়া করছে।

এমভি পারিজাত: এমভি পারিজাতও একটি উপকূলীয় লঞ্চ। বরিশাল-পাতারহাট (মেহেন্দী গঞ্জ)- ইলিশা (ভোলা) – মজুচৌধুরীর হাট (লক্ষ্মীপুর) রুটের এ নৌযানটি ভ্রমণ মৌসুমে বেশি লাভের আশায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে চলে আসে। সমুদ্রগামী জাহাজ না হয়েও ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে।

এম ভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস: কক্সবাজারের নুনিয়ার ছড়া বিআইডব্লিউটিসি ঘাট থেকে এম ভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস প্রতিদিন ছেড়ে যায় সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে। সমুদ্রগামী জাহাজ হলেও এর যাত্রী সেবার মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর চারশর বেশি যাত্রী নিয়ে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন থেকে কক্সবাজার ফেরার পথে বিকল হয়। রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে কক্সবাজারে পৌঁছানোর কথা থাকলেও সাগরে ভেসে ভেসে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পৌঁছায় কক্সবাজারে।

এম ভি বে ওয়ান: চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে চলাচল করছে বিলাসবহুল সমুদ্রগামী জাহাজ বে ওয়ান। ত্রিশ বছর বয়সী এ ক্রুজ শিপ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ