1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শেখ হাসিনা : বাংলাদেশের রাজনীতিতে সোনালি অধ্যায়ের স্রষ্টা

ওমর খালেদ রুমি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

মাননীয় নেত্রী আমাদের ইতোমধ্যেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। শত্রম্নরা যে উধাও হয়ে গেছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ তো নেই-ই বরং তারা ঘাপটি মেরে থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ভেতর ও বাহির উভয় দিক থেকে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের মিত্র পরশক্তিগুলো তো থাকছেই।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড এবং তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বাঙালির ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত বিষয়গুলোর একটি। আমরা কেন পৃথিবীর কোনো জাতিই প্রত্যাশা করে না যে এরকম কোনো কালোরাত্রি তাদের জীবনে আসুক। যার হাত ধরে একটি জাতি-রাষ্ট্র জন্ম নিল, যিনি দিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের সন্ধান, যিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন শোষক আর শোষিতের মধ্যে সত্যিকারের তফাৎটা কোথায়, যিনি তার ভরাট গলায় জানিয়ে দিলেন তিনি শোষিতের পক্ষে, যিনি বললেন, বাঙালির মুক্তির জন্য তিনি জীবন দিতে তৈরি- সেই বাঙালিই তাকে সপরিবারে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেওয়ার সব আয়োজন করল। কি নির্দয়, কি নির্মম কিন্তু নিয়তি সেদিন অলক্ষ্যে হেসেছিল। আর সৃষ্টিকর্তারও ছিল ভিন্ন এক পরিকল্পনা। তাই তো আলস্নাহ্‌র হুকুমে বেঁচে গেলেন দুই বোন- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বিদেশে থাকলেও সেখানে যে তারা পুরোপুরি নিরাপদ ছিলেন তা কিন্তু নয়। একটা কথা মনে রাখতে হবে একটা রাষ্ট্রের সরকারব্যবস্থা যদি সাধারণ নিয়মেও বদলায় তাতেই সর্বত্রই একটা পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। আর এরকম একটা মর্মন্তুদ ঘটনার মাধ্যমে সেদিন যে পরিবর্তন এসেছিল তার কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা সেই আলোচনাও এ প্রবন্ধে করব না। তাহলে এবার আসা যাক- তৎকালীন পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার পর কীভাবে তিনি সামনে আগালেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেন। বড় কঠিন সময়। তখন তার দু’জন সন্তান। দু’জনেরই তখন শৈশব চলছে। কারণ আমরা জানি শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম ২৭ জুলাই ১৯৭১। আর তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্ম ৯ ডিসেম্বর ১৯৭২। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে ১৯৮১ সালে তাদের বয়স আর কতটুকুই বা হবে। মূলত তখনও তিনি একজন মমতাময়ী মা ও একজন উত্তম গৃহিণী। তবু দেশ মাতৃকার টান। তাই তাকে ফিরতে হয় সব ঝুঁকি সঙ্গে নিয়েই। দেশে তো ফিরলেন কিন্তু পরিবারের কেউ তো আর বেঁচে নেই। মমতাময়ী মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ভাই- শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল (ইতিহাসের সেরা সোনালি ছেলে), সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল- তার দুই ভ্রাতৃবধূ, আরও কত আপনজন- কারণ ১৫ আগস্ট রাতে একযোগে হামলা হয়েছিল ধানমন্ডি-৩২ নম্বর, শেখ ফজলুল হক মণির বাড়ি এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি) এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বাড়িতে এবং নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল প্রতিটি পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক যে ঘটনাটিও ঘটেছিল তাহলো ইতিহাসের মহানায়ক, রাজনীতির মহাকবি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালির জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও সেদিন ঘাতকরা বিদায় করে দিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাস মুহূর্তের জন্য হলেও থেমে গিয়েছিল। এই হৃদয় বিদারক ঘটনাবলির যে দীর্ঘ বর্ণনা তাও আমরা এই ছোট্ট প্রবন্ধে আলোচনা করব না। আমরা শুধু এটুকুতেই আলোকপাত করব যে আমাদের মহান নেত্রী ‘দেশরত্ন’ শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে কীভাবে সামনে আগালেন। তিনি তো ফিরলেন কিন্তু বিপদ ওঁৎ পেতে ছিল তার প্রতি পদে পদে। ভুলে গেলে চলবে না ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর মূলত আওয়ামী লীগের সাংগঠিক কার্যকলাপ এতটাই সীমিত হয়ে যায়, দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে এই দলটিই এই জনপদের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ ২৩টি বছর আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনার পাশাপাশি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে তিনি সপরিবারে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির ক্ষমতায় আসীন ছিল। সময় বদলালে সবই বদলায়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার পরই শুরু হলো পরিবর্তনের বাতাস। মানুষ ফিরে পেল আশা। আশায় বাঁধল বুক। ক্ষমতায় বসে থাকা জিয়াউর রহমান এক সামরিক কু্য-তে নিহত হলেন ১৯৮১ সালের ৩০ মে। কিন্তু তাতে কী? পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হলো না। ক্ষমতায় এলেন তারই অনুগত জেনারেল লে. জে. হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। শেখ হাসিনার জীবনেও শুরু হলো আর এক নতুন অধ্যায়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। তিনি হাঁটলেন সাংবিধানিক পথে। প্রথাগত পদ্ধতিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেই সামনে আগাতে লাগলেন। বঙ্গবন্ধুও এমনটাই ছিলেন। নিয়মের বাইরে গিয়ে কখনো কিছু প্রত্যাশা বা বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেননি। তবে সেই পথ অতটা সহজ ছিল না যতটা সহজে বলা যায়। বন্ধুর সেই পথে নেত্রী হাঁটলেন দৃঢ়পথে। তার লক্ষ্যে তিনি রইলেন অবিচল। কত বাধা, কত বিপত্তি, কত হুমকি, জীবন বিনাশকারী আক্রমণের মুখেও তিনি রইলেন শক্ত দেয়ালের মতো দন্ডায়মান। বঙ্গবন্ধুর পর পৃথিবী আরও একটা হিমালয় দেখল। লিখে প্রকাশ করতে পারব না সেই কঠিন দিনগুলোর কথা। চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দানের জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য যখন তিনি তার নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সামনে আগাচ্ছিলেন তখনই এলো ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। বিশ জনেরও অধিক মানুষ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারাল। শেখ হাসিনা আলস্নাহ্‌র রহমতে প্রাণে বাঁচলেন। এখানে বলে রাখতে চাই- এ পর্যন্ত ২০টিরও অধিক প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে তার উপর কিন্তু তিনি রক্ষা পেয়েছেন প্রতিবার আলস্নাহ্‌র অশেষ করুণায়। হয়তো আলস্নাহ্‌ তার হাত দিয়েই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাবেন বলেই তিনি প্রতিবার রক্ষা পেয়েছেন। আমরা যে প্রসঙ্গে ছিলাম। এরশাদ আমলের নয়টি বছর তাকে কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে পার করতে হয়েছে। একদিকে সাংবিধানিক রাজনীতি, অন্যদিকে জনগণকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনা- এ দুটোর পাশাপাশি নিজ সংগঠন আওয়ামী লীগকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা- এতগুলো কঠিন কাজ তাকে করতে হয়েছে এক হাতে। এর পাশাপাশি এটাও ভুলে গেলে চলবে না তার ঘর-সংসার ছিল। তিনি এ সব অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেই নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনকে সফল করলেন। হায়রে নিয়তি! বিধি বাম। এরশাদ সরকারের পতনের পর যে নির্বাচন হলো তাতে তিনি সরকার গঠন করতে পারলেন না। বরং এমন একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটল যা একই সঙ্গে বাঙালি জাতির জন্য লজ্জা ও কলঙ্কের। বিএনপি সরকার গঠন করল স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে। যারা এদেশের স্বাধীনতাকে চায়নি তাদের গাড়িতে উড়ল লাল-সবুজের পতাকা। এই কষ্টও তাকে সহ্য করতে হলো। এখানে একটা কষ্টের কথা বলে রাখতে চাই- এই মানসিকতা যে শুধু তখনই ছিল তাও নয়। আজও অনেক মানুষ আছে যারা এদেশের মাটিতেই পুষ্টি লাভ করছে কিন্তু তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের কথাই স্বীকার করে না। আর এদের গোপন আঁতাত, ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র, নগ্ন ইচ্ছার কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে সাম্রাজ্যবাদী এক মুরব্বী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। কারণ স্বাধীনতার পক্ষের দেশপ্রেমিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়া দুষ্কর। এটা কোনো ভালো লক্ষণ তো নয়ই বরং বাংলাদেশ তথা বিশ্বরাজনীতির জন্য এক অশনি সংকেত। তাই তো আমাদের উচিত হবে দেশের জন্য শক্ত দেওয়ালের মতো মজবুত হওয়া যাতে কোনো বিদেশি শক্তি আমাদের চোখ রাঙাতে না পারে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর এই নিয়ে পরপর তিনবার সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ যার নেতৃত্বে আমাদের মহান নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ গত এক যুগে নিজেকে পুরো বিশ্বের দ্রম্নত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটিতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে। অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে প্রতিটি সূচকে। এ সবের কিছুই ভালো লাগছে না তথাকথিত মুরুব্বীদের। হায়রে পৃথিবী। সর্বত্র বলা হয় এ পৃথিবীকে বদলে দেবো, সব সম্মেলনেই শপথ করা হয় আগামীর সুন্দর পৃথিবীর, কিন্তু যখনই কেউ তার দেশকে বদলে দেয় তখনই তথাকথিত মোড়লদের তা ভালো লাগে না। সেই দেশ, সেই নেতা বা নেত্রী হয়ে ওঠে মোড়লদের চক্ষুশূল। পৃথিবীর ইতিহাসে এই বৈচিত্র্য বা বৈপরীত্য যে নতুন কিছু তা অবশ্য বলব না কিন্তু এটা ভেবে কষ্ট হচ্ছে যে বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্বের বহু দেশ তথা বহু তথাকথিত বিকৃত মনমানসিকতার অধিকারী রাষ্ট্রনেতাদের মাথাব্যথার কারণ। বলতে দ্বিধা নেই বাংলাদেশ আজ সাক্ষাৎ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তাকে প্রতি পদে পদে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ আর কিছু নয়। তা হাত না পাতা অবস্থা। তার হার না মানা স্বভাব।

মনে রাখতে হবে ১৯৭১ সালে আমরা লড়েছিলাম বঙ্গবন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে। এবারও সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করব তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তার কাছ থকে গত একযুগের বেশি সময়ে যে শিক্ষা আমরা লাভ করেছি যে আপসহীন মানসিকতা আমরা অর্জন করেছি। অন্যায় ভয় ভীতিকে উপেক্ষা করার যে দুর্দমনীয় এক ব্রত আমাদের ভেতরে তিনি জড়িয়ে তুলেছেন তার ছায়ায় দাঁড়িয়ে আমরা এক একজন এই দেশ ও এই মাটির জন্য এক একটা শক্ত খুঁটি হবো। এবারের ১৬ ডিসেম্বরে তিনি যে শপথ পাঠ করেছেন তা-ই হবে আমাদের সবার শপথ। মূলত আমরা বলতে চেয়েছিলাম যে ১৩ বছরে আমাদের মহান নেত্রী আমাদের দেশকে যেখান থেকে তুলে এনেছেন সেখানে স্থাপন করেছেন তা যে সোনালি ইতিহাস রচনা করেছে তার কৃতিত্ব মূলত দেশরত্ন শেখ হসিনার। বাঙালি জাতির জন্য যে সোনালি অধ্যায় সূচিত হয়েছে তার সবটুকু কৃতিত্বই বলতে গেলে তারই। উন্নয়ন, ন্যায় বিচার, অবকাঠামো নির্মাণ. জীবনযাত্রার বদলে যাওয়া প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বের দরবারে আজ আমাদের যে সম্মানের জায়গাটায় নিয়ে এসেছেন তার জন্য আমরা তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তার প্রতিটি সাহসী পদক্ষেপই আজকের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সমালোচনা কম হয়নি। অনেক বুদ্ধিজীবীকেও দেখেছি না বুঝে-শুনে রাস্তায় নেমে আসতে। হুট করে এটা-ওটা বলে বসতে। আর বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা তো বরাবরই ছিল শুধু দোষ-ত্রম্নটি খুঁজে বের করার জন্য। তবুও সব বাধা পেরিয়ে, সব কাঁটা ধন্য করে মাননীয় নেত্রী আমাদের ইতোমধ্যেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। শত্রম্নরা যে উধাও হয়ে গেছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ তো নেই-ই বরং তারা ঘাপটি মেরে থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ভেতর ও বাহির উভয় দিক থেকে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের মিত্র পরশক্তিগুলো তো থাকছেই।

অতএব, চ্যালেঞ্জটা হালকা কিছু নয়। বরং সম্মিলিতভাবেই একে মোকাবেলা করতে হবে। আর একমাত্র দেশপ্রেমই পারে আমাদের একটা বিন্দুতে একত্র করতে। এই দেশ, এই মাটি, এই মানুষকে যারা ভালোবাসি- এর জল, হাওয়া, কাদা যাদের শরীর ও মনকে পুষ্ট করে- তাদের মনে রাখা উচিত এটা আমাদের পবিত্র ইমানী দায়িত্ব। ভালোবাসা আর তার ভাষা যারা বোঝে না তাদের হাজারবার দুগ্ধ স্নান করালেও লাভ হবে না জানি তবু এদেশ, এর মাটি আর এর মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমরা অগ্নিস্নানের শপথ নেবো, হয় জিতব না হয় মরব তবু মাথা নেয়াবো না। মনে রাখতে হবে, সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ১৯৭১ সালে অনেক বিশ্ব মোড়লদের না চাওয়া সত্ত্বেও আমরা শেষ পর্যন্ত স্বাধীন হয়েছিলাম। এই বাঙালি, এই সেই বীরের জাতি যারা ইতিহাস ভোলে না, মাথা নত করে না, মা-মাটি-মানুষের সঙ্গে বেইমানি করে না। আর মনে রাখতে হবে এই মাটিতে মিশে আছে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, এর ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দু’লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত। এর অপমান মানে তাদের অপমান। যে প্রসঙ্গে ছিলাম। একজন মহান নারী, যিনি তার পুরো জীবনটা উৎসর্গ করে দিলেন আমাদের একটু ভালো রাখার জন্য, তার এই মহান আত্মত্যাগের কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে সামনে। পরিবার-পরিজন হারানো একজন দুঃখী মানুষের ব্যথার সমব্যথী যদি নাও হতে পারি এর চেয়ে লজ্জার আর কিই-বা থাকতে পারে। মানবজন্মের তবে কি কোনো সার্থকতা থাকে। সবচেয়ে বড় কথা তিনি তো নিজের জন্য কিছু চাননি। তার সব চাওয়া-পাওয়া গরিব-দুঃখী অসহায় দেশবাসীর জন্য।

এখনো যেতে হবে অনেক দূর তবে ইতোমধ্যে তিনি যে ভিত্তিমূল গড়ে দিয়েছেন তার উপর দাঁড়িয়ে আমরা কি তার মুখে হাসি ফোটাতে বাকি কাজটুকুও করতে পারব না। সুন্দর ও সফল হোক আমাদের আগামীর পথচলা। আমাদের মহান নেত্রী হোক সুদীর্ঘ জীবনের অধিকারী।

লেখক : ওমর খালেদ রুমি – কলামিস্ট ও এক্টিভিস্ট।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ