1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আওয়ামী লীগ সরকারে এসে রংপুর অঞ্চলের মঙ্গা দূর করেছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২

আওয়ামী লীগ সরকারের নানান পদক্ষেপের ফলে এক সময়ের দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকটের রংপুর এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চলে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে এসে রংপুর অঞ্চলের মঙ্গা দূর করেছি। ২০১০ সালে আমরা রংপুর বিভাগ করে দেই। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যের অঞ্চল হয়ে গেছে এ রংপুর। এক সময় খাবারের অভাবে মরতেন। মানুষ দেখলে মনে হতো জীবন্ত কঙ্কাল হেঁটে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থা আমার নিজের চোখে দেখা। আল্লাহর রহমতে এখন আর ওই অবস্থা নেই। আমরা সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দুর্ভিক্ষ তো দূর হয়েছেই, বরং খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে।’

রোববার (১৬ জানুয়ারি) নবনির্মিত ‘রংপুর বিভাগীয় সদরদপ্তর কমপ্লেক্স ভবন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রংপুর বিভাগীয় সদরদপ্তর কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস হলের এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘রংপুরে গত ১৩ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, এর আগে কখনও হয়নি। দীর্ঘ সময় তো রংপুরের লোকই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু রংপুরের মানুষের তেমন কোনো ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। অথচ আমরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কর্মসূচি রংপুর বিভাগ দিয়েই শুরু করেছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সব উন্নয়ন নির্ভর করে সরকারের চিন্তার ওপর। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার পথকে অনুসরণ করে মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটা মানুষও খাদ্যাভাবে থাকবে না। ভূমিহীন থাকবে না। রংপুরে ভূমিহীন বেশি ছিল। আমরা তাদের জমিসহ ঘর দিয়েছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, সারাদেশের কোথাও যেন ভূমিহীন না থাকে। প্রয়োজনে আমরা জমি কিনে ঘর করে দেবো। এতে আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন হবে।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, যার ফলে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বৃদ্ধি হয়েছে। আপনারা জানেন, ড. ওয়াজেদ সাহেব ছিলেন পরমাণু বিজ্ঞানী। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন তিনি। আজকে আমরা সেই রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি। ২০২৪ সালের মধ্যে আশা করি, সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবো। এ থেকে উত্তরবঙ্গই সবচেয়ে লাভবান হবে। আমরা চাই, দেশটা আরও উন্নত হবে, এগিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলে (রংপুর) শিক্ষার হার কম ছিল। কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও লালমনিরহাটে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারো স্পেস ইউনিভার্সিটি করে দিয়েছি। রংপুরে বেগম রোকেয়ার নামের একটা ট্রেনিং সেন্টার করেছি। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়ার নামেই করে দিয়েছি। তিনিই তো প্রথম শিক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে আমরা কিছু লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছি। এই অঞ্চলের প্রত্যেকটা জেলায় মেডিকেল কলেজ হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বক্তৃতা করেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ