এ বছরের মে মাস থেকে ঢাকায় স্কুলবাস চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আগ্রহ ও সমর্থন স্কুলবাস চালুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করছি, প্রথম ধাপে মে মাসে স্কুলবাস চালু করতে পারবো।
আতিকুল ইসলাম বলেন, সন্তানরাই বাবা-মায়ের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলবাসে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্র্যাকিং ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তা ও স্কুলবাসের চালক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। একটি হটলাইন নম্বর থাকবে, যেটির মাধ্যমে অভিভাবকরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীর চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলবাস প্রবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। সভায় শিক্ষক ও অভিভাবকরা স্কুলবাস সার্ভিস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে কথা বলেন।
একজন অভিভাবকের প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অনেক শিক্ষার্থী মিলে একটি স্কুলবাসে যাতায়াত করবে। যেখানে একজন শিক্ষার্থী একাই একটি গাড়ি ব্যবহার করে। তাই পুলিশের ট্রাফিক বিভাগককে আহ্বান করা হবে যেন সিগন্যালে স্কুলবাসকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এছাড়া স্কুলবাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে। কোনো বাস নষ্ট হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে বিকল্প বাসের ব্যবস্থা থাকবে, যেন দ্রুত সার্ভিস দেয়া যায়।
মেয়র আতিক আরো বলেন, স্কুলের পাশে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো ধরনের অস্থায়ী দোকান থাকবে না। স্কুলবাসে শিক্ষার্থীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ওঠা-নামা করতে পারে, সেজন্য স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা হবে। আমরা সব দিক বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছি।
তিনি বলেন, আজকে চিটাগং গ্রামার স্কুলে এসেছি। পরবর্তীসময়ে স্কলাস্টিকা স্কুল, স্যার জন উইলসন স্কুল ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল স্কুলেও যাবো। শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করবো। অন্যান্য কিছু স্কুলও স্কুলবাস সার্ভিস চালু করতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মাদ শরীফ উদ্দীন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধি, চিটাগং গ্রামার স্কুল-ঢাকার প্রিন্সিপাল আছিয়া আলম চৌধুরী প্রমুখ।