ইউক্রেনের জন্য ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তা প্যাকেজে ইউক্রেনকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তার কথা বলা হলেও দেওয়া হবে না ট্যাংক। বৃহস্পতিবার পেন্টাগন এই ঘোষণা দিয়েছে।
পেন্টগনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য বাইডেন সরকার দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে ৯০টি স্ট্রাইকার কমব্যাট গাড়ি বা সাজোয়া গাড়ি, ৫৯টি ব্র্যাডলি সাজোয়া গাড়ি-সহ প্রচুর গোলা-বারুদ দেওয়ার কথা আছে। কিন্তু ট্যাংকের উল্লেখ নেই।
শুক্রবার জার্মানিতে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে ওয়াশিংটনের এই ঘোষণা করায় বোঝা যাচ্ছে, জার্মানিও ইউক্রেনকে সম্ভবত ট্যাংক দেবে না।
গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মঞ্চে ট্যাংক দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল ইউক্রেন। নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু জার্মান ট্যাংক চেয়েছিল তারা। বস্তুত, ইউক্রেনের বক্তব্য শোনার পর পোল্যান্ড জানিয়েছিল, তাদের কাছে ওই জার্মান ট্যাংক আছে। জার্মানি সবুজ সংকেত দিলেই তারা ওই ট্যাংক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে।
কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছিলেন, সব দিক বিবেচনা করে, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাতেই স্পষ্ট, ইউক্রেনকে এখন ট্যাংক দেওয়া হবে না। ফলে জার্মানিও সেই একই পথে হাঁটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে অ্যামেরিকার কাছেও অ্যাব্রাম ট্যাংক চেয়েছিল ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, এই ধরনের অত্যাধুনিক ট্যাংক এখন ইউক্রেনের পক্ষে ব্যবহার করা কঠিন। এই ধরনের ট্যাংক চালানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ইউক্রেনের সেনাকে এখন সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই তাদের ট্যাংক দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অ্যাব্রাম ট্যাংক দিলে তবেই জার্মানি তাদের লিওপার্ড ২ ট্যাংক ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে। লিওপার্ড ২ ট্যাংকও অত্যাধুনিক। যা চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
জার্মানিতে মার্কিন সেনাঘাঁটির বৈঠকের পর জার্মানিও ইউক্রেনের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে। এদিকে গত একবছরে এই নিয়ে ইউক্রেনকে সব মিলিয়ে ২৬ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ দেওয়া হলো।
এদিকে মার্কিন ঘোষণার পর এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে ইউক্রেন কোনও মন্তব্য করেনি। তবে জেলেনস্কি ফের ট্যাংক চাইতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েকদিন ধরে বার বারই জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার স্থলসেনাকে পরাস্ত করতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু ট্যাংকের প্রয়োজন।