মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের বর্ধিত অংশের ১ দশমিক ৫ একর জায়গা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের বর্ধিত অংশের জায়গা শুধু প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাফন করা হবে। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত বিশেষ এলাকায় মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
তবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী সিটি করপোরেশনের যে কোনো কবরস্থানে কবর সংরক্ষণ করতে পারবে। ডিএনসিসির কবরস্থান নীতিমালা-২০২২ এ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ ও সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
নীতিমালায় আরও উল্লেখ আছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত সাধারণ কবরে দাফনের ক্ষেত্রে প্রমাণক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত তালিকায় নাম থাকতে হবে এবং যথাযথ সনদ দাখিল সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে দাফন করা যাবে।
তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথম ১০ বছর ফি ব্যতীত কবর সংরক্ষণের পর পরবর্তী সময়ের জন্য নির্ধারিত হারে ফি প্রযোজ্য হবে। কেবল রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফনকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর আজীবন সংরক্ষিত থাকবে। এ লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক লেন (অথবা জায়গা) আলাদাভাবে চিহ্নিত করা থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কবরস্থান নীতিমালা-২০১৮ এর পর নীতিমালা-২০২২ প্রণয়ন করা হয়। ডিএনসিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাহে আলমের স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি গত বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
