শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে নিউজফিড ঘুরে বেড়াচ্ছিল কিছু একটা। ব্যস্ত থাকায় সমস্যাটা ধরতে পারিনি প্রথম। পরে কাছের বেশকিছু বন্ধুর পোস্টের মাধ্যমে অনেকটাই বুঝতে পারি। খুব লম্বা করে কিছু বলার সময় নেই আমার। ছোট করে বলি।
জাফর স্যারের বেশ কিছু লেখা, দেশ নিয়ে ভাবনা, বিশেষত নারীর প্রতি উনার যে দৃষ্টিভঙ্গি বা প্রত্যাশা তা যখন থেকে পড়েছি আমায় মুগ্ধ করেছে। যেকোনো বইতে উনি ছোট কিশোরী মেয়ে থেকে জাতিসংঘের মিশনে কাজ করা কোনো চরিত্রকে যেমন সাহসী এবং দৃঢ় দেখান নিঃসন্দেহে তিনি আলাদা আমার কাছে। জামাতিদের বিষয়ে প্রচণ্ড স্পষ্টবাদিতার জন্যে এই দলটিকে সাপোর্ট করা অন্যদলের লোকদেরও চুক্ষুশুল উনি বরাবরই ছিলেন। একটা সময় শুধু ছাত্রলীগের ছেলেপুলেদের সাপোর্ট একটা বক্তব্য দিতে গিয়ে সেটা যেন ষোলকলা পূর্ণ হয়।
নিন্দুকেরা সেই থেকে কিছু একটা পেলেই কোমর বেন্ধে নেমে যান মাঠে। না উনি কোনো ভুল করলে তাঁর সমালোচনা করা যাবে না আমার বক্তব্য সেটা নয়। তাঁর প্রতি আমরা যারা উনার শত্রু পক্ষ নই তাঁদের যেমন প্রত্যাশা, তাঁকে সবটুকু পছন্দ না করলেও সেটা অনেকেরই থাকতে পারে এটা অস্বাভাবিক না।
কিন্তু আমার কাছে একটা বিষয় ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। জামায়াতপন্থী এবং তাদের দোসর বা সহযোগী যে দল তাদের মাঝে এমন কাউকে দেখাতে পারবেন না যে বা যারা উনাকে পছন্দ করে বা শ্রদ্ধা করে। না ইনিয়ে বিনিয়ে বলছি না, উনাকে আমার কোনদিনও জটিল মানুষ মনে হয়নি, আমি কাছ থেকে জানি না বা চিনি না… লেখায় যে জাফর ইকবাল, তাঁকে আমি মান্যি করি এখনও।
আমেরিকা থেকে ফিরে এসে পরিবার নিয়ে যে মানুষ সিলেটে শুরু করেছেন জীবন তাঁকে আমার শ্রদ্ধা। ভালোলাগা আছে অনেক লেখাকে ঘিরে প্রচণ্ড। ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমা দেখে সেদিনও কাঁদলাম এবং অনেক লেখার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। আমি যা বললাম অনেকটাই বুঝতে পারবেন হয়তো। না বুঝলেও সমস্যা নেই সকলের টেস্ট এক হবে এমন তো নয় বিষয়টা। তবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সবটুকু আধুনিক হোক, আমাদের বাচ্চারা সুশিক্ষা পাক এই শুভকামনা সব সময়।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নাদেরা সুলতানা নদীর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে…