1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রোহিঙ্গা সমস্যা: দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

গত ১৪ জানুয়ারি দেশের সর্বাধিক প্রচারিত একটি দৈনিকের প্রধান শিরোনাম ছিল, ‘অপরাধের ঘাঁটি রোহিঙ্গা শিবির, পাঁচ বছরে শিবিরের ভেতরে ১৩৫ জন খুন’। পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং স্থানীয় মানুষের ওপরও হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এক নিরাপত্তা সংস্থার চৌকস একজন কর্মকর্তা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আক্রমণে নিহত হন। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানি নাগরিক আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির নেতৃত্বাধীন জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ওই আক্রমণ চালায়। ১৪ জানুয়ারিতে উল্লিখিত পত্রিকার প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে আরসা, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), ইসলামী মাহাজ, জমিওয়াতুল মুজাহিদানসহ আরো কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠনের অবস্থান রয়েছে। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের একজন নেতা পত্রিকার প্রতিবেদকের কাছে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় লোকজন নিরাপত্তার হুমকিতে রয়েছে।’

মাদক, অস্ত্র চোরাচালান, মানবপাচার, ডাকাতি, ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধে রোহিঙ্গারা জড়িত। এ ছাড়া পান থেকে চুন খসলেই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয় না। অপরাধ করার পরেও পার পেয়ে যাওয়ার কারণে দিন দিন তারা আগ্রাসী হয়ে উঠছে। রোহিঙ্গাদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে টেকনাফে স্থানীয় লোকজনের টিকে থাকাই দায় হবে।

পালিয়ে আশা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বাংলাদেশ আজ কত বড় বিপদে পড়েছে তার একটা বিপজ্জনক চিত্র উপরোক্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে এবং স্থানীয় লোকজনের কথায় প্রত্যক্ষভাবে ফুটে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয় না এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে স্থানীয় লোকজনের টিকে থাকা দায় হবে—এ কথাগুলো কেউ গতানুগতিক মনে করতে পারেন। তবে এর অন্তর্নিহিত অর্থ যা দাঁড়ায় তা বাংলাদেশের ভূখণ্ডগত নিরাপত্তার জন্য বিশাল হুমকি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়, রোহিঙ্গা সমস্যার সঙ্গে বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়েছে সেই ১৯৭৮ সাল থেকে। ২০১৭ সালের ঘটনার আগে থেকে মিয়ানমারের প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা সম্পূর্ণ অবৈধ, নিয়ন্ত্রণহীন ও হিসাবহীনভাবে কক্সবাজারে অবস্থান করছিল। তখন এই রোহিঙ্গা শিবিরের মধ্যে কী হতো তার খবর কেউ রেখেছে কি না জানি না। তবে তখনো পত্রিকায় অনেক সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে এবং তার মাধ্যমে যা জানা গেছে, সেটি কিছুতেই বাংলাদেশের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ২০১৭ সালের ঘটনায় সবার টনক নড়লেও এর আগ পর্যন্ত এটিকে কেউ পাত্তা দেয়নি। কিন্তু আজকের বাস্তবতা প্রমাণ করছে ২০১৭ সালের আগে এ সমস্যা সমাধানের পথ যতটা সহজ ছিল, এখন সেটা ঠিক ততটাই কঠিন হয়ে গেছে।

পত্রিকায় খবর তো এসেছেই, পাশাপাশি অন্য দু-একজনের সঙ্গে আমি নিজেও তখন থেকে লেখালেখি করে আসছি এবং আমার লেখা ‘দুর্ভাগা রোহিঙ্গা জাতি, সংকটে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ভেতর উল্লেখ আছে। আমি ২০১৭ সালের আগেই বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বিষফোড়া, যে কথা এখন প্রায় সবাই বলছেন। নিশ্চিত করে বলা যায়, ২০১৭ সালে যা ঘটেছে তা হঠাৎ কোনো ঘটনা নয়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কী ঘটছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা হয়তো বাংলাদেশের জন্য সমীচীন ছিল না। কিন্তু ইংরেজিতে যাকে বলে কজ অ্যান্ড এফেক্ট বা তার পরিণতি কী হতে পারে তার মূল্যায়ন থাকা যেমন প্রয়োজন ছিল, তেমনি মিয়ানমার থেকে এসে অবৈধভাবে কক্সবাজারে বসবাসকারী প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার কার্যকলাপের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি ছিল।

লেখার শুরুতে উল্লিখিত পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ার পর সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে আরসা, আরএসও-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠন কী করে অবস্থান করে, কেন তাদের গ্রেপ্তার এবং শিবিরগুলোকে অস্ত্রমুক্ত করা যাচ্ছে না। স্থানীয় মানুষ কেন বলছে, অপরাধী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয় না। যৌক্তিকভাবে প্রশ্ন ওঠে তাহলে বাংলাদেশ কি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে গেল, নাকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভূ-রাজনীতির বড় খেলোয়াড়রা বাংলাদেশকে ঘিরে এই অঞ্চলে তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য রোহিঙ্গা সমস্যাকে জিইয়ে রাখতে চাইছে? এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা জানি না। এই লেখাটি শুরু করার আগে কক্সবাজারের একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বললাম। এতে বুঝলাম টেলিফোনে তিনি সব কথা বলতে পারছেন না। যতটুকু বলতে পেরেছেন, তাতে মনে হলো বাংলাদেশের জন্য এক উভয়সংকট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সাধারণ নিরীহ রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গোষ্ঠীস্বার্থ অর্থাৎ অস্ত্র চোরাচালান, মানবপাচার, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। তারা কক্সবাজারে সহায়-সম্পত্তিও বানাচ্ছে, যা মোটেই ভালো খবর নয়।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নিজেদের এই হীন স্বার্থকে চিরস্থায়ী করার জন্য কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে ফেরত না যায় তার জন্য সব রকম অপকর্মে লিপ্ত আছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় অনেকবার খবরও ছাপা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের মনোবাঞ্ছনাই পূরণ হচ্ছে। চীনের নেপথ্য ভূমিকায় ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত একটি অসাধারণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু কেন সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হলো না, তা এক রহস্য বটে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও প্রত্যাবাসন উদ্যোগ শুরু হয়েও তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। অন্য অনেক কারণ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো কর্তৃক রোহিঙ্গা শিবিরে প্রভাব বিস্তার প্রত্যাবাসনের পথে প্রধান এক প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু এই সন্ত্রাসীদের দমন, গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধার করতে হলে শিবিরগুলোর ভেতরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কর্তৃক যে ধরনের অভিযান চালানো প্রয়োজন, তা করতে গেলে নির্ঘাত অনেক সাধারণ রোহিঙ্গাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে আন্তর্জাতিক সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠন এবং দেশি-বিদেশি পক্ষ, যারা এই সংকটকে জিইয়ে রেখে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিতে ও তাদের বিপদে ফেলতে চায়, তারা বিশাল হৈচৈ শুরু করবে। সুতরাং কঠিন এক উভয়সংকট। তবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সততা ও আন্তরিকতা থাকলে বড় সংকটের বেলায়ও সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যায়।

সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কর্তৃক ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নাকি সাধারণ রোহিঙ্গাদের হয়রানি করছে, ক্যাম্পের ভেতরে চাঁদাবাজি করছে এবং টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশয় দিচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ কতখানি সত্য আর কতখানি নয়, সেই প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় অভিযোগটিকে গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান ইংরেজি দৈনিকটি গত ১৮ জানুয়ারি এক সম্পাদকীয়তে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সঙ্গে একই সুরে কথা বলেছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার যেকোনো ছুতানাতা অজুহাতে চাইবে যাতে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে না হয়।

এই সময়ে সংকটের শিকড় অনেক লম্বা হয়ে গেছে এবং ডালপালারও বিস্তার ঘটেছে অনেক। ১৯৭৮ সাল থেকে জিয়া, এরশাদ এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত সরকার সমস্যাটিকে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার কারণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বাংলাদেশে এসে পড়ে, যার সুযোগ নেয় সব স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এর জের ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়। সবাইকে বুঝতে হবে মিয়ানমার রাষ্ট্র চালায় সে দেশের সেনাবাহিনী। তাদের কাছে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা ও উন্নতির চেয়ে ক্ষমতায় থাকার লক্ষ্য সব সময়ই অগ্রাধিকার পায়। বাংলাদেশ মিয়ানমার সরকার ও রোহিঙ্গা এই দুইয়ের কারো পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। শুধু প্রতিবেশী হওয়ার কারণেই অনেক কিছুর দায় এসে পড়েছে বাংলাদেশের ওপর। সংকট যেখানে এসে পৌঁছেছে, তাতে শুধু দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে না। তাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃহত্তর প্ল্যাটফরমের কথা ভাবতে হবে, যারা একটি উইন উইন ফর্মুলা বের করবে এবং তার বাস্তবায়ন ও দেখভাল করবে। তাহলে সব পক্ষের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে যে রকম প্ল্যাটফরম কাজ করেছিল, সেই আদলের একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরম তৈরি করা সম্ভব হলে তার বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা অনেক বেশি হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের মিয়ানমার-রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিপরীতমুখী অবস্থান।

রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য বহুমাত্রিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত হুমকি সৃষ্টি করছে, যেসব কথা এখন সবাই বলছেন। দিন যত যাবে, ততই সেটি আরো জটিল হবে। প্রথমত, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি সংগঠন এবং পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য ও লন্ডনভিত্তিক কট্টরপন্থী ইসলামিস্ট সংগঠনগুলোর সংযোগ বহুদিনের, সেই ১৯৭৮ সাল থেকে চলছে। দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনের হাত ধরে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা অস্ত্র-গোলাবারুদ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি সংগঠন এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হাতে যে এরই মধ্যে এসেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির সব লক্ষণই এখন দেখা যাচ্ছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তার হুমকিটি আরো বিপজ্জনক। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন এবং প্রশাসনের অসাধু ব্যক্তিদের সহায়তায় রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছে। তারপর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিয়েশাদির মাধ্যমে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে যাচ্ছে। সব কিছুর সংমিশ্রণে রোহিঙ্গাদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ যখন কক্সবাজারের ভোটের বাজারে আসবে, তখন বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা আরো বড় হুমকির মধ্যে পড়বে।

লেখক : মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) – রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ