1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

হাওড়াঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সিকৃবি

সুভাষ হিকমত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

১৫ বছরে পা দিয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। টিলা ও সমতল ভূমি ঘিরে নগরীর আলুরতল এলাকায় কৃষিক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর যাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কৃষিক্ষেত্রে দেখিয়েছে অনন্য সাফল্য। বর্তমানে ৪৭টি বিভাগ রয়েছে। প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা সিকৃবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে ছোট-বড় টিলা।
 
সিলেট-জাফলং-তামাবিল বাইপাস রাস্তার পাশে ১২ একর ২৯ শতক ভূমি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃক্যাম্পাস ও গবেষণা মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে। বিসিএস পরীক্ষাসহ দেশে-বিদেশে গ্র্যাজুয়েটদের ছড়াছড়ি। এরা সবাই এখন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করে আছে এবং বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধুর সম্পর্কের কারণেই তারা সফল হয়েছে। সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনায় হাওড়ে জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে এখানকার গবেষকরা। হাওড়ে বছরে ৭-৮ মাস চারিদিকে থইথই পানি দিয়ে ভরা। শুধু বসতভিটার উঁচু জায়গাটুকুই দ্বীপের মতো ভাসমান। সিকৃবির প্রচেষ্টায় সেখানে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। বোরো ফসলনির্ভর হাওরাঞ্চলে এক সময় শীতকালেও মাঠের পর মাঠ পতিত থাকত। ২০১৫ সাল থেকে সুনামগঞ্জের দেকার হাওড়সহ বিভিন্ন হাওড়ের প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে সিকৃবি নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে।
 
সিকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহায়তায় কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)-এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে খরিপ ও রবি মৌসুমে লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রান্তিক জনপদের প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। গবেষকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে লাগসই ধান চাষ, সবজি চাষ, মাছ চাষ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালন, কবুতর পালনসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। চলছে মসলা জাতীয় ফসল নিয়ে গবেষণা। সিকৃবির আরেকটি গবেষণা একেবারে চোখে পড়ার মতো। টমেটো বা শিম এখন আর শুধু শীতকালে চাষ হবে না। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে শিমের নতুন দুটি জাত অনুমোদন পেয়েছে। প্রোটিনসমৃদ্ধ সিকৃবি শিম-১ ও সিকৃবি শিম-২ নামে এই জাত সিলেট অঞ্চলে বছরব্যাপী ধরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
 
সিলেট অঞ্চলের কৃষি আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হয়েছে অটোমেটেড এগ্রোমেটিওরোলজিক্যাল স্টেশন। গত ৪-৫ বছরে কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণা করে চমক দেখিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। কৃষিক্ষেত্রে অবদানের মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবিত স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন (স্থাপিত), সুনামগঞ্জের হাওড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে আগাম ধান চাষে সাফল্য, সিলেটের আবহাওয়া অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন শিম ও টমেটোর জাত উদ্ভাবন, গবাদিপশুর বর্জ্য ও রক্ত থেকে বায়োগ্যাস প্রযুক্তি উদ্ভাবন ইত্যাদি। এছাড়াও ডিমের খোসার পুরুত্ব নির্ণয় পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব জানিয়েছেন, শিক্ষা, গবেষণা এবং প্রশাসনিক সব কার্যক্রম চালিয়ে নিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার জানিয়েছেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০ বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সসিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ কারণে করোনাকালীন সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যাতে এগিয়ে যেতে পারে এ কারণে সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ