1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশ নিয়ে ব্রাদারহুডের মিশন, সক্রিয় আল জাজিরা

ইবার্তা সম্পাদনা পর্ষদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে একটি দীর্ঘ থ্রিলারধর্মী ভিডিওচিত্র নির্মাণের কারণে আবারও আলোচনায় এসেছে আল জাজিরার নাম। অনেকেই আল জাজিরাকে গণমাধ্যম হিসেবে অভিহিত করছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আল জাজিরা আসলে কাতারের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রচারণা প্রতিষ্ঠান, যা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
ব্রিটেনের বিবিসি, জার্মানির ডয়চেভেলেসহ বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম আছে এবং তারা সাংবাদিকতার নীতি মেনে দীর্ঘদিন ধরে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আল জাজিরা কিছুটা অন্যরকম। বাইরের মানুষের কাছে তারাও গণমাধ্যম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আসলে তারা রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কাতার সরকার বছরে ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে আল জাজিরাকে পরিচালনা করছে।
গত বছর আল আরাবিয়ায় প্রকাশিত এক সংবাদে কাতারের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফোন রেকর্ডের সূত্র ধরে বলা হয়, মূলত উগ্র ও নিষিদ্ধ সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্দেশে পরিচালিত হয় আল জাজিরা। আর ব্রাদারহুডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের বিএনপি ও জামায়াত জোটের। একারণে আওয়ামী লীগ সরকাকে নিয়ে একাধিকবার প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে ব্রাদারহুডদের এই প্রচারযন্ত্র। বাংলাদেশকে অস্থির করে তোলার জন্য এটাই তাদের প্রথম অপচেষ্টা নয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কেনো আল জাজিরার টার্গেট?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার গত এক যুগে দেশের চেহারা বদলে দিয়েছে। উন্নয়নের সুফল শহর ছাড়িয়ে প্রতিটি গ্রামের মানুষ পর্যন্ত পাচ্ছে। ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশ। বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবময় বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে নির্ভার জীবনযাপন করছে নাগরিক সমাজ। বিপরীতে, ক্ষমতায় থাকার সময় দুর্নীতি-লুটপাট করে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। সবখানে কমিশন খাওয়ার কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের নাম হয়ে গিয়েছিল মিস্টার টেন পার্সেন্ট। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দেশজুড়ে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব কায়েম করেছিল তারেক গংরা। একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে।
পরবর্তীতে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় বিএনপি-জামায়াতের এই চক্র। অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের যেতে পারবে না বুঝতে পেরে, আন্তর্জাতিক চক্রকে সঙ্গে নিয়ে অসাংবিধানিকভাবে সরকার পতনের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছে এই চক্র। আল জাজিরা সবসময় তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। হেফাজতের আন্দোলনের সময় লাশ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে, দেশে অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে আল জাজিরা। অবশ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে তা ভুল প্রমাণিত হয়। ফলে ভেঙে যায় আল জাজিরার সর্বনাশা পরিকল্পনা।
এদিকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ায় জামায়াত-বিএনপি চক্র। পাকিস্তানি জান্তাদের প্রধান দোসর হিসেবে জামায়াত নেতারা এই হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়। এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্তরর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। বিচার প্রক্রিয়া শেষে যখন অভিযোগ প্রমাণ হয়, এবং অপরাধীদের দণ্ড বাস্তবায়ন করা হয়, তখনো পুরো সময়জুড়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে আল জাজিরা। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের ইসলামিস্ট লিডার হিসেবে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টাও করেছে ব্রাদারহুডের এই প্রচারযন্ত্র। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হয় বিএনপি-জামায়াতের এই আন্তর্জাতিক মিত্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বে দেশ যখন সব অপপ্রচার রুখে দিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, বহির্বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ; ঠিক তখনই আবারও সরকারকে বিপাকে ফেলার মিশন নিয়ে নেমেছে আল জাজিরা। এবার ব্যক্তি বিশেষের কিছু তথ্য টুইস্ট করে, প্রধানমন্ত্রীকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জড়িয়ে, সংবাদের নামে বিশেষ এজেন্ডার থ্রিলার তৈরি করা হয়েছে। এখানে যাকে সংবাদ বলে প্রচার করা হচ্ছে, সাংবাদিকের দৃষ্টিকোণ থেকে এর সংবাদ মূল্য যে কতোটা দূর্বল তা একজন ভালো সাংবাদিকের কাছে স্পষ্ট। এই চিত্রনাট্যের এজেন্ডা কীভাবে সেট করা হয়েছে, অ্যাঙ্গেল কীভাবে সেট করা হলো, উদ্দেশ্য কী, এসব পরিষ্কার। তবে সাধারণ মানুষকে হুট করেই বিভ্রান্ত করার এই প্রচেষ্টা আল জাজিরা আগেও করেছে, এরই ধারাবাহিকতায় এবারও সেই অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অন্যবারের চেষ্টাগুলো সফল না হওয়ায়, এবার সরাসরি সরকার প্রধানকেই টার্গেট করেছে এরা।
আল জাজিরা: একই সংবাদের ডুয়েল স্ট্যান্ডার্ন্ড
ইস্যু এক কিন্তু জায়গাভেদে সংবাদ আলাদা, এটাই আল জাজিরার সংবাদের স্ট্যান্ডার্ড। আল জাজিরা পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একরকম সংবাদ পরিবেশন করে, আবার আরব বিশ্বের জন্য ঠিক উল্টা সংবাদ প্রকাশ করে। যেমন: পশ্চিমা বিশ্বের জন্য প্রকাশিক সংবাদে তারা সমকামিতার অধিকার পক্ষে কথা বলে, আবার আরব বিশ্বের জন্য প্রকাশিত সংবাদে এ বিষয়টিতে তারা ধিক্কৃত করে। আবার, হলোকাস্ট ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের জন্য প্রকাশিত সংবাদে তারা সহমর্মিতি প্রকাশ করে, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের জন্য প্রকাশিত সংবাদে তারাই আবার হলোকাস্ট আসলে হয়েছে কিনা তা নিয়ৈই প্রশ্ন তোলে? মূলত, আল জাজিরা একটি প্রোপাগান্ডা মেশিন। কিন্তু গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে, বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যবস্থাকেই বিতর্কিত করে ফেলছে এরা।
কে পড়ে কোন সংবাদ?
আল জাজিরার অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউবে চেক করে দেখবেন, এখনি দেখতে পারেন। যে কোনো সময়ের টানা চব্বিশ ঘণ্টার সংবাদগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। কী দেখলেন, অধিকাংশ সংবাদের ভিউ সর্বোচ্চ দশ থেকে বিশ হাজার। লাইক-কমেন্টের সংখ্যাও খুব কম, অধিকাংশ ক্ষেত্রে কয়েক হাজারে সীমাবদ্ধ। তবে, বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে করা থ্রিলারটি ভিউ অল্প সময়ের মধ্যে দেড় মিলিয়ন (পনের লাখ) পার হয়ে গেছে। এর কারণ হলো এটা বিএনপি-জামাতের বিদেশি মিত্র ব্রাদারহুডের এজেন্ডা। আর নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আল জাজিরার পক্ষ থেকে এই এক ঘণ্টার থ্রিলারটি অর্থ লগ্নি করে বুস্ট করা হয়েছে। তারা টাকা খরচ করে বাংলাদেশের মানুষের নিউজ ফিডে এটি পাঠাচ্ছে, তারপর মানুষ এটি দেখছে।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রোপাগান্ডায় জড়িত আর কারা?
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে এই ভিডিওচিত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার বিশেষ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিশ্বের কোনো ধরনের সাংবাদিকতা বা সংবাদ উপস্থাপনের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। এখানে কথা বলার ধরণ, গলার টোন, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশনের ব্যবহার; সবকিছু মিলিয়ে দুর্দান্ত একটা থ্রিলার তৈরি করা হয়েছে। আল জাজিরার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই নাটকটি মূলত সাজিয়েছে বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় জোট বিএনপি-জামায়াতের সমন্বয়ক ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান। এখানে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যক্তিকেও কথা বলতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে একজন নিজেকে পরিচয় দিয়েছে স্যামি নামে। তার প্রকৃত নাম জুলকারনাইন সায়ের। তার বাবা প্রয়াত লে. কর্নেল (এএমসি) আব্দুল বাসিত।
ছেলের মাদকাসক্ত, উচ্ছৃঙ্খল ও অসংযমী জীবনযাপনের কারণে হতাশ হয়ে মৃত্যুর আগে তাকে ত্যাজ্য করেন কর্নেল বাসিত। এই স্যামি বা জুলকারনাইন সায়ের পরবর্তীতে হাঙ্গেরিতে চলে যায়। তবে তার দেশে কেমন ছিল সে, কেমন ছিল তার জীবন কেনই বা সে দেশ ছেড়েছে; এসব তথ্য ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। এই জুলকারনাইন সায়েরের ক্যারিয়ারজুড়েই রয়েছে উচ্ছৃঙ্খলতা এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়ানোর অভিযোগ। কৈশোর থেকেই সে মাদকাসক্ত। ক্রমেই হয়ে উঠেছিল পেশাদার অপরাধী। তারুণ্যের শুরুতেই সে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেট হিসেবেও যোগ দিয়েছিল কিন্তু অফিসার হিসেবে কমিশন্ড লাভ করতে ব্যর্থ হয়। ট্রেনিংয়ের মাঝপথেই মাদকাসক্তি এবং নৈতিক স্খলনের জন্য তাকে বিএমএ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এরপর বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় মাদক বিক্রির দায়ে একবার রাবের হাতে আটকও হয়েছিল সে। পরবর্তীতে আরও বড় প্রতারণার চক্র গড়ে তোলে। ক্রমেই বিভিন্ন অপকর্মে জড়ানোর পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়। বিয়ের পর শ্বশুরের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ যৌতুক নিয়ে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে ব্যবসা শুরু করেছিল জুলকারনাইন সায়ের ওরফে স্যাম। কিন্তু নিজের পুরনো চারিত্রিক দোষ আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। যার ফলে ফের ব্যবসায় ধস নামে তার। ব্যবসার অর্থের বিষয় নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে বিবাদ হয় তার। কোনোভাবে একটা ভালো অঙ্কের টাকা ম্যানেজ করার চেষ্টা করছিল সে। আর বার্গম্যান তো বিএনপি-জামায়াতের মিলিয়ন ডলার নিয়ে রেডি, সে খুঁজছিল এমন একজন ব্যক্তিকে। আর আল জাজিরা তো বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারে আজ নতুন নয়।
বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারে নতুন নয় আল জাজিরা ও বার্গম্যান
সম্প্রতি একটি মহলের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টিকারী এই ভিডিওচিত্রটি সঞ্চালনা করতে দেখা গেছে বার্গম্যানকে। ড. কামালের জামাতা ও ব্যারিস্টার সারা হোসেনের স্বামী হিসেবে সে একসময় দীর্ঘ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করেছে। সেসময় বিডিনিউজ ও নিউএজ পত্রিকায় সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নৈতিক স্খলনের দায়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম থেকে চাকরিচ্যুত হয় সে। এছাড়াও নিজের ব্লগে লিখে এদেশের ইতিহাস বিকৃতি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা অপচেষ্টা করে এই তথাকথিত সাংবাদিক ও বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট ডেভিড বার্গম্যান। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে চলে গিয়ে নিজের কয়েকটি ব্লগ ও অনলাইন সাইটে বাংলাদেশবিরোধী লেখালেখি করতে থাকে সে। কালক্রমে তার সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন অপরাধে বাংলাদেশ দণ্ডিত হয়ে বিদেশে পলাতক বেশ কয়েকজন। মোটা অর্থের বিনিয়ম প্রোপাগান্ডা ছড়ানোটাই তাদের পেশা। এই টাকা দিয়েই বিদেশে আরামদায়ক জীবনযাপন করছে তারা।
এর আগেও বাংলাদেশ নিয়ে কয়েকবার ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছিল এই চক্রটি। পেইড এজেন্ট বা যুদ্ধাপরাধীদের দালাল হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বিতর্কিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়েছে বার্গম্যান। তবে মিথ্যার জাল দিয়ে শেষ পর্যন্ত সত্যকে ঢেকে ফেলতে পারেনি তারা, বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য মরণ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছে বার্গম্যান ও তার সঙ্গীরা। মূলত, বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার নিয়ে এসব কাজ করে থাকে তারা।
এটি প্রাসঙ্গিক যে, শুধু একজন যুদ্ধাপরাধীর কাছ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে তার পক্ষে একাধিক প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি এবং আন্তর্জাতিক লবিস্ট ম্যানেজ করেছিল বার্গম্যান। তবে লাভ হয়নি। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সেই ব্যক্তিকে দণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো বার্গম্যানের জন্য নতুন নয়, সে এই কাজটি দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছে। এমনকি অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বদলের জন্য দণ্ডিত বিএনপি নেতা তারেক রহমান, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, নিজের শ্বশুর ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে একটি ত্রয়ী-চক্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও মিডলম্যান হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে বার্গম্যান।
এদিকে বাংলাদেশ নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সাময়িকভাবে আলোচনা সৃষ্টি করেছিল কাতারের প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের প্রোপাগান্ডা স্পষ্ট হয়ে গেছে মানুষের মধ্যে। হুট করে তারা যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে এর আগে।
 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত