1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শিবিরের রগকাটার ইতিহাস – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (১ম, ২য় ও ৩য় পর্ব)

জয়দেব নন্দী : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

প্রথমপর্ব:
হত্যা, রক্তপাত, চোখ উপড়ে ফেলা,সাইকেলের স্পোক কানের ভিতর ঢুকিয়ে মগজ বের করে ফেলা আর রগ কর্তনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের যাত্রা। ১৯৭৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বরে এক সভার মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরু করে। শিবির, হত্যা আর রগকাটার রাজনীতির বর্বরতায় ছাত্রলীগসহ অপরাপর ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের বাধাকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়।
প্রথমে মসজিদ কেন্দ্রিক প্রচার-প্রচারণা চালালেও পরবর্তীতে সশস্ত্র অবস্থান নিতে থাকে জামায়াতে ইসলামীর এই ছাত্র সংগঠন। আশির দশকের শুরু থেকে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে রক্তাক্ত করে তোলে মতিহারের সবুজ চত্বর। সংঘর্ষ, হামলা-গুপ্ত হামলায় শিবিরের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একের পর এক প্রাণ বলি হতে থাকে। একপর্যায়ে শিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়।
রাজশাহীতে শিবির প্রথম নির্মম এবং বর্বর হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় ১৯৮৮ সালের ৩১ মে। ওইদিন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি জামিল আকতার রতনকে চার হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। শত শত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সামনে এমন নির্মম ঘটনার জন্ম দিয়ে স্বরূপে হাজির হয় ছাত্রশিবির। একের পর এক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে থাকে রাজশাহীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয়। তবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরেও থেমে থাকেনি শিবিরের বর্বরতা। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রায় শতাধিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। আর ২০১০ সাল পর্যন্ত শিবিরের বর্বরতায় ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনের ২৮ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়। আহত হয় সহস্রাধিক মেধাবী। এ সময় শিবিরের কাছে টার্গেটকৃতদের আহত করার অভিনব কৌশল ছিল হাত-পায়ের রগ কাটা। একেবারে মেরে না ফেলে হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়ে ভয়ানক ত্রাসের জন্ম দেয় তারা। জানা গেছে, এক দশকে শিবির প্রতিপক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণে বাধ্য করেছে।
১৯৮২ সালের ১১ মার্চ প্রথমবারের মতো শিবির ক্যাডাররা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৩ বাসভর্তি বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে শিবিরের বহিরাগত চারজন কর্মী মারা যায়। শিবিরের হামলায় মারা যায় ছাত্রলীগের নেতা মীর মোশতাক এলাহি। এই সহিংস ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই ঘটনার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টায় কিছুটা ভাটা পড়ে শিবিরের। তবে তারা বসে থাকেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে শিবির চট্টগ্রামের মতো একই কায়দায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে তাদের শক্তিমত্তা বাড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোকে তারা বানিয়েছে তাদের মিনি ক্যান্টনমেন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বিনোদপুর, বুধ পাড়া, মেহেরচন্ডী গ্রামে শিবিরের অনেক কর্মী ও ক্যাডার স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করে এসব গ্রামে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে। এছাড়া আত্মীয়তা সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার কারণে শিবিরের এসব কর্মী ও ক্যাডারদের কথায় স্থানীয় অনেকেই জামায়াত শিবিরের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এভাবে একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশের এলাকার পুরোটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তারা বা ঐ এলাকাগুলোতে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করে ফেলে।
 
দ্বিতীয় পর্ব:
১৯৮৮ জুলাই মাসের একদম শুরুর দিকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে শিবির ক্যাডাররা হামলা চালায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের উপরে। সেদিনের অতর্কিত সেই হামলায় গুরুতর আহত হন আমির আলী হল ছাত্র সংসদের জিএস ও জাসদ ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স সহ ২০-২৫ জন। একই মাসের ১৭ জুলাই ভোরে সবাই যখন গভীর ঘুমে ঠিক সেই সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে শিবির ক্যাডাররা জাসদ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত শাহ্‌ মখদুম হলে (এস এম হল) আক্রমণ চালিয়ে জাসদ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ও সিনেট সদস্য আইয়ূব আলী খান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য আহসানুল কবির বাদল এবং হল সংসদের ভিপি নওশাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।
১৯৮৮ সালের আগষ্টে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোঃ ইউনুসের বাসভবনে ছাত্র শিবির বোমা হামলা করে। এতে অধ্যাপক ইউনুস বেঁচে গেলেও তার বাড়ীর কর্মচারী আহত হয়।
১৯৮৯ সালে রমজান মাসে ছাত্র ইউনিয়নের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববতী চকপাড়ায় ইফতারের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে হাতের রগ কেটে দেয় শিবির ক্যাডাররা।
১৯৯০ সালের ২২ জুন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষে নিহত হন শিবির নেতা খলিলুর রহমান। এভাবেই একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলেও নব্বই এর গন অভ্যুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় দখলের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয় শিবিরের। অতঃপর ১৯৯১ সালে জামায়াতের সমর্থনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয় বিএনপি। একের পর এক দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে সরকারী ছাত্র সংগঠন ও ছাত্র শিবির। এখানে একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, তা হচ্ছে শিবির শুধু হল বা ক্যাম্পাস দখল করেই ক্ষান্ত থাকেনি, তাদের লক্ষ্য ছিল সুদূর প্রসারী, তাই নিজেদের টার্গেট করা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক পদগুলোতেও নিজেদের সমর্থকদের অবস্থান নিশ্চিত করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভিসি থেকে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পর্যন্ত সকল স্তরে নিজেদের দলীয় সমর্থকদের বসিয়ে রাবি দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শিবির।
১৯৯২ সালের ১৭ মার্চ পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রামের কুখ্যাত সিরাজুস সালেহীন বাহিনীসহ কয়েক হাজার সশস্ত্র বহিরাগত শিবীর সন্ত্রাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলা ১১ টার সময় অতর্কিত হামলা চালালে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসীর আরাফাত পিটু নিহত হয় এবং জাসদ ছাত্রলীগের আইভি, নির্মল, লেমন, রুশো, জাফু, ফারুক এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের রাজেশ সহ প্রায় দেড়শাতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। এদের অধিকাংশেরই হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয় এবং রাজেশের কব্জি কেটে ফেলা হয়। এই হামলার সময় শিবির ক্যাডাররা এস এম হল, আমির আলী হল এবং লতিফ হল আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। ব্যাপক আকারে গান পাউডারের ব্যবহার করায় হলের জানালার কাঁচগুলো গলে গিয়েছিলো। হলের অসংখ্য রুম ভস্মীভূত হয়ে যায় এবং হলের অনেক প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের সাথে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। লতিফ হলের অনেকগুলো কক্ষ এখনো অব্যবহত অবস্থায় পড়ে আছে। এই হামলার তীব্রতা এতই ছিল যে, বেলা ১১টায় শুরু হওয়া হামলা রাত ৩টায় বিডিআর নামানোর আগ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। রাসায়নিক দ্রব্যের দ্বারা হলের যে অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে, যা আগামী দিনের ইতিহাসে কলংকিত হিসেবেই লিপিবদ্ধ থাকবে।
১৯৯২ সালের ০৭ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববর্তী নতুন বুদপাড়ায় শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলের বাড়ীতে বোমা বানানোর সময় শিবির ক্যাডার আজিবর সহ অজ্ঞাতনামা অন্তত আরো তিন জন নিহত হয়। বিষ্ফোরণে পুরো ঘর মাটির সাথে মিশে যায় এবং টিনের চাল কয়েকশ গজ দুরে গাছের ডালে ঝুলতে দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ মহল্লার একটি ডোবা থেকে অনেকগুলো খন্ডিত হাত পা উদ্ধার করে। যদিও শিবির আজিবর ছাড়া আর কারো মৃতু্র কথা স্বীকার করেনি। পুলিশ বাদি হয়ে মতিহার থানায় শিবির ক্যাডার মোজাম্মেলকে প্রধান আসামী করে বিষ্ফোরক ও হত্যা মামলা দায়ের করে। প্রায় ৫ বছর পলাতক থাকার পর মামলা ম্যানেজ করে মোজাম্মেল এলাকায় ফিরে আসে এবং জামাতের রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হয়।
১৯৯৩ সালের ১৭ জানুয়ারী রাত এগারোটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল এবং শিবির নিয়ন্ত্রিত জোহা হল এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মুহাম্মদ ইয়াহিয়া নামে একজনের মৃত্যু হয়।
১৯৯৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালালে ছাত্রদল ও সাবেক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিলে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ওপর শিবিরের হামলায় ছাত্রদল নেতা বিশ্বজিৎ ও নতুন এবং ছাত্র ইউনিয়নের তপন সহ ৫ জন ছাত্র নিহত হয়।
১৯৯৩ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন শিবির ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিএনপি নেত্রী মিসেস জেলেনা চৌধুরীর (সেই সময় ছিলেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ) পুত্র জুবায়ের চৌধুরী রিমুর কেটে দেয়া হয় হাত-পায়ের রগ। এতেই সন্তুষ্ট হয়নি ঘাতকেরা। মেঝেতে পড়ে থাকা রিমুকে কুপিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৯৪ সালে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত ছাত্র মৈত্রী নেতা প্রদ্যুৎ রুদ্র চৈতী পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসার পথে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায় তার হাতের কব্জি কেটে নেয় শিবির কর্মীরা।
১৯৯৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মাসে শিবির কমীরা বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববতী চৌদ্দপাই নামক স্থানে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সকাল-সন্ধ্যা বাসে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী নেতা দেবাশীষ ভট্টাচায রূপমকে বাসের মধ্যে যাত্রীদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার আগে বর্বর শিবির ক্যাডাররা তার হাত ও পায়ের রগ কেটে নেয়।
১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কমীদের ওপর সশস্ত্র শিবির কমীরা হামলা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফরহাদের হাতের কব্জি কেটে নেয়। এ হামলায় প্রায় ২৫ জন ছাত্রদল নেতা-কমীর হাত পায়ের রগ কেটে নেয় শিবির ক্যাডাররা।
১৯৯৬ সালে জাসাস রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ছাত্রদল নেতা ডুপ্লের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এদের বাঁচাতে এসে দুইজন সহপাঠি ছাত্রী এবং একজন শিক্ষকও আহত হয়।
১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল খালেক, জিয়া পরিষদ নেতা হাবিবুর রহমান আকন্দ সহ প্রায় বিশ জন শিক্ষকের বাসায় বোমা হামলা ও অগ্নি সংযোগ করে ছাত্র শিবির।
১৯৯৭ সালের গভীর রাতে রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিবির সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা-কমীরা আহত হয়। রাবি জিমনেসিয়াম পুলিশ ক্যাম্পেও বোমা হামলা করে শিবির।
১৯৯৮ সালে শিক্ষক সমিতির মিটিং থেকে ফেরার পথে রাবি শহীদ মিনারের সামনে অধ্যাপক মোঃ ইউনুসের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্র শিবির। ছাত্র-কর্মচারীদের প্রতিরোধে অধ্যাপক ইউনুস প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক আহত হন তিনি।
১৯৯৯ সালে রাবিতে অবস্থিত ’৭১ এর গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য স্থাপিত ভিত্তি প্রস্তর রাতের আঁধারে ছাত্র শিবির ভাঙ্গতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী বাধা দেন। ফলে শিবির ক্যাডাররা তাকে কুপিয়ে আহত করে এবং ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে ফেলে।
১৯৯৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর পাকিস্তানে তৈরী রিভলবার, গুলি ও গান পাউডার সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
২০০১ সালে রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কমীরা কমাণ্ডো হামলা চালায় এবং ছাত্রীদেরকে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত করে।
২০০১ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ রাবি অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহাকে ছাত্র শিবির কমীরা হাত পা বেধে জবাই করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা টের পাবার ফলে, তাদের হস্তক্ষেপে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
২০০২ সালে রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা সুশান্ত সিনহাকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় শিবির কর্মীরা।
২০০৪ সালের ২৫ জুলাই শিবির ক্যাডার রবি এবং রোকনের নেতৃত্বে প্রায় ১৫/২০ জনের একটি দল রাবি ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিনহার ওপর হামলা চালায়। ইট দিয়ে জখম করার পাশাপাশি তার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা চালায় শিবির ক্যাডাররা।
২০০৪ সালে রাবি ছাত্রী হলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত ছাত্রী বিক্ষোভে সশস্ত্র ছাত্র শিবির কমীরা হামলা চালায়।
২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর জামাতের বর্তমান রাজশাহী মহানগরের আমীর আতাউর রহমান এবং প্রক্টর নূরুল আফসারের উপস্থিতিতে ছাত্রীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে শিবির ক্যাডাররা প্রায় অর্ধ শতাধিক ছাত্রীকে রক্তাক্ত করে।
২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের ওয়াক্তে প্রাতঃভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় নিজ বাসভবনের খুব কাছে ধারালো অস্ত্র হাতে অধ্যাপক ইউনুসের ওপর হামলা চালায় মানবতার শত্রু ও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের কিলিং স্কোয়াড । পরে তারা কুপিয়ে প্রগতিশীল এই শিক্ষককে হত্যা করে। যদিও এই হত্যা মামলায় জেএমবির দুইজন সদস্যকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তারপরও এলাকাবাসী অনেকেরই মতামত হচ্ছে ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররাই তাকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে দুই দফায় ছাত্র শিবির তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
২০০৫ সালের ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জুবেরী ভবনের সামনে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম চন্দনের ওপর হামরা চালিয়ে তার রগ কেটে নেয়ার চেষ্টা চালায় শিবির ক্যাডাররা।
২০০৬ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতপন্থী শিক্ষক মহিউদ্দিন এবং রাবি ছাত্র শিবির সভাপতি মাহবুব আলম সালেহীন সহ আরো দুইজন শিবির ক্যাডার মিলে একযোগে অতকিতে হামলা চালিয়ে রাবি’র ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু তাহেরকে হত্যা করে।
২০০৬ সালের ২১ আগস্ট রাবিতে অনুষ্ঠিত ‘সেকুলারিজম ও শিক্ষা’ শীষক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার অপরাধে অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিবির। প্রকাশ্য সমাবেশে তারা অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের গলা কেটে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়।
২০০৭ সালের ৮ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অপরাধে রাবি প্রশাসনের কর্মকর্তা শিবির ক্যাডার মোকাররম আব্দুলস্নাহ মনি র্যা ব কতৃক আটক হয়।
২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস হত্যা মামলার চার্জশীট উপস্থাপনের সময় সিআইডি জানায় যে, জেএমবি নেতা আব্দুর রহমান এই হত্যাকাণ্ডে ৫ শিবির ক্যাডারের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
২০০৯ সালের ২৮ মে রাবি ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় সহিংসতায় নেতৃত্বদানকারী শিবির ক্যাডার সাঈদুর রহমান ওরফে সাঈদুরকে পুলিশ রাবি সংলগ্ন একটি শিবির নিয়ন্ত্রিত মেস থেকে আটক করে।
২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট ছাত্রলীগের ২ জন কমীকে (২০ জুন ’০৯) ছুরিকাঘাতে আহত করার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিবির ক্যাডারকে পুলিশ আটক করে।
২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাবির সৈয়দ আমীর আলী হল শাখার সভাপতি শিবির ক্যাডার একরামুল পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলায় জড়িত থাকার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের হাতে আটক হয়।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর মতিহার থানাসহ রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক অস্ত্র, নারী নিপীড়ন ও অধ্যাপক ইউনুস হত্যা মামলার আসামি শিবির ক্যাডার জাফর বাবুকে পুলিশ রাজশাহী শহরের কাটাখালি মিউনিসিপ্যালিটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
২০০৯ সালের ১৫ নবেম্বর রাবির ৩টি হলে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ শিবির ক্যাডার হাসমত আলী ওরফে লিটনকে গান পাউডার ও বিভিন্ন জীবনহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যসহ আটক করে।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শিবির আবারও রগ কাটার রাজনীতিতে ফিরে আসে। এই দিন ছিল শিবিরের রগ কাটার সবচেয়ে সফল অভিযান। ওইদিন গভীর রাতের হামলায় শিবির ক্যাডাররা ছাত্রলীগ কর্মী ফিরোজ মাহমুদ, আরিফুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম এবং সাইফুর রহমান বাদশার রগ কেটে দেয়। সেদিনের হামলায় শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন নামের অপর এক ছাত্রলীগ কর্মীর রগ কেটে দেয়ায় ও পিঠে হাসুয়ার কোপে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয় এবং ঘটনাস্থলেই সে মৃত্যুবরণ করে। পরে তার লাশ ম্যানহোলের ভিতরে লুকিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ডের পরে কার্যত তারা ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয়। ফারুক হত্যার পরে তারা ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হলেও থেমে থাকেনি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
২০১০ সালের মার্চে রাবি কাম্পাস দখল করতে এসে বিনোদপুর বাজারে ৩ ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করে শিবির ক্যাডার। এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী হলের ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়।
২০১১ সালের ১২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর পিছনে শিবির ক্যাডাররা কুপিয়ে জখম করে রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ রানাকে।
২০১২ সালের ৮ এপ্রিল তাপসী রাবেয়া হলের সামনে শিবির ক্যাডাররা কুপিয়ে জখম করে রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন টিপুকে।
২০১২ সালের ১০ মে তালাইমারী শহীদ মিনারের পার্শ্বে শিবির ক্যাডাররা কুপিয়ে জখম করে রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ পারভেজকে।
২০১২ সালের ২০ অক্টোবর রাবি সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার এলাকায় রাতে শিবির ক্যাডার হাতে ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুর রহিম (বহিরাগত) খুন হন এবং একইদিন দুপুরে রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান হোসেন গুপ্ত হামলার শিকার হন।
২০১২ সালের ২৪ অক্টোবর নগরীর আরডিএ মার্কেটের সামনে শিবির ক্যাডাররা রাবি শাখার শেরে বাংলা হলের ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলম রতনকে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত করে।
২০১২ সালের ২১ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আখেরুজ্জামান তাকিমকে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের পশ্চিমপাড়ায় শিবির ক্যাডাররা কুপিয়ে জখম করার পর এক পা এবং এক হাতের রগ কেটে দেয়।
২০১৩ সালের ১৭ মার্চ রাতে ক্যাম্পাসের পাশে বিনোদপুর বাজারে মহানগরীর ৩০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় শিবির।
 
তৃতীয় পর্ব:
২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল রাতে শিবিরের বর্বরতায় পা হারিয়েছে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচণ্ডী এলাকায় হামলার শিকার হন হাবিব। ক্যাডাররা তার বাম পা এবং ডান হাতের রগ কেটে দেয়। পরে চিকিৎসকরা হাবিবের ডান পায়ের হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলে তার জীবন রক্ষা করে।
২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সৈয়দ আমীর আলী হলে ছাত্রলীগের আলোচনা সভা শেষ করে রাত ১০টার দিকে পাঁচ-ছয়জন নেতাকর্মীসহ মাদার বখশ হলের দিকে যাওয়ার পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিনের ডান হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় শিবির সন্ত্রাসীরা। এসময় ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শাওন শিবিরের হামলায় আহত হয়। শাওন গুলিবিদ্ধ হয়।
২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দামের হাত এবং পায়ের রগ কেটে দেয় শিবির ক্যাডাররা। এসময় সে ফুসফুসে মারাত্মক আঘাত পায়।
২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের শাহ্ মখদুম (এসএম) হলের সভাপতি খলিলুর রহমান মামুন ছাত্রশিবির হাতে নিজ জেলা গাইবান্ধাতে নিহত হন।
২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের এক কর্মচারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সেলিম রেজা খান সেলুর রগ কেটে দেয়।
২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল হামলা করে শিবির ক্যাডাররা। এতে হাতবোমার স্প্রিন্টারের আঘাতে আহতরা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক কাজী লিংকন ও উপপ্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম শুভ্র। আরো আহত হয় সকালের খবরের আলোকচিত্রী আজহার উদ্দিন ও এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান রুবেল হোসেন।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচুন্ডি এলাকায় শিবির ক্যাডাররা মতিহার থানার ছাত্রলীগের যুগ্মআহবায়ক ডিউকের দুই হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।
 
লেখক: জয়দেব নন্দী। প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

ঢাকাকে ছিনতাইকারীমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে : ডিএমপি

এবারও ইউরোপে সুস্বাদু আম রপ্তানি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সাতক্ষীরার চাষিরা

লাইভে এলো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী : ৪ মাঝিকে খুনের রোমহর্ষক বর্ণনা

রেমিট্যান্সে সুবাতাস: ফেব্রুয়া‌রিতে প্রবাসীরা পাঠালেন ১৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা

স্মার্ট কৃষির বাস্তবায়ন: বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট অব থিংসের সফল প্রয়োগ

৩ লাখ বাইক বিক্রি এক মাসে!

যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ‘জান্তা শাসিত’ নাইজার

চাঁদপুরে জেগে ওঠা চরে সরিষা চাষে কৃষকদের সাফল্য

সেপ্টেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৩ হাজার কোটি টাকা

তারেকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসছে