অপকর্মের কারণে জনসমর্থন হারানো বিএনপি এখন অন্যের ঘাড়ে পা দিয়ে আন্দোলন জমাতে তৎপরতা চালাচ্ছে। ২০১৮-তে ড. কামালকে ভরসা, ২০১৯-এ এসে নুরুর ওপর ভরসা রাখার পর এবার বিত’র্কিত সাংবাদিক তাসনিম খলিলের ওপর ভরসা রাখতে চলেছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আল-জাজিরা ও তাসনিম খলিলের নেত্র নিউজসহ কয়েকটি মিডিয়াকে ব্যাকিং দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী কয়েকটি গোষ্ঠী। বিশেষ করে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান এবং যু’দ্ধাপরাধীদের পরিবারেরর পক্ষ থেকে বড় ধরণের ফাইন্যান্সিং করা হচ্ছে এ ধরণের গুজব ও অপপ্রচার করার পেছনে।
 
তারেক রহমানের নামে ‘প্রিন্স অব বগুড়া’ শিরোনামে জ’ঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোষকতার তথ্য প্রমাণসহ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার কারণে সিএনএন এবং ডেইলিস্টারে কর্মরত তাসনিম খলিলকে ওয়ান-ইলেভেনে গ্রেপ্তার হয়ে ব্যাপক নির্যা’তনের শি’কার হন তাসনিম খলিল।
হঠাৎ সেই খলিল, যু’দ্ধাপরাধীদের পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে লবিং করা বিত’র্কিত ও চাকরিচ্যুত সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান এবং প্র’তারণার দায়ে গ্রেপ্তারকৃত ইউরোপ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিসহ চিহ্নিত কিছু লোক হঠাৎ করেই সরকারবিরোধীদের ব্যাপক আস্থাভাজনে পরিণত হয়েছেন।
 
আল-জাজিরার প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং সেনাবাহিনীকে উ’স্কানি দেয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে বিএনপিতে নেমে এসেছে হতাশা। এর আগে একক ও ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে আন্দোলনের ডাক দিলে তাতেও জনগণ সাড়া দেয়নি। সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি না করে এককভাবে কোনো আন্দোলন করতে চাচ্ছে না দলটি। তাই আপাতত তাসনিম খলিল ও ডেভিড বার্গম্যানের কাঁধে সওয়ার হয়েছে বিএনপি।
উল্লেখ্য, তাসনিম খলিল ও ডেভিড বার্গম্যানরা যেহেতু বিদেশি লবিংয়ের কাজে সংবাদ প্রচারে দক্ষতা অর্জন করেছে, সেই লবিংকে কাজে লাগতে চায় বিএনপি। এজন্য প্রয়োজনে তাদের অর্থ ও জনবল দিয়ে সহায়তা করারও পরিকল্পনাও রয়েছে বিএনপির। বিশেষ করে তাসনিম খলিল আন্তর্জাতিক কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন ইতিপূর্বে, তাই বিএনপি সেই ইমেজটাকে ব্যবহার করতে চাইছে।