ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, ১৫ আগস্টের কুশীলবদের পুরস্কৃত করেছিলো বিএনপি। তাদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছিলো। দূতাবাসে চাকরি দেয়াসহ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে এই হ’ত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করেছিলো বিএনপি। সেখান থেকেই রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি হয়েছিলো।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এই ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান সে সময় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী থাকলেও এ অধ্যাদেশ তিনি বাতিল করেননি। বরং এর সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেন। এছাড়াও কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদের মতো বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খু’নিদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা রাজাকার, আলবদর, আল শামস হিসেবে পাকিস্থানি হা’নাদার বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল অপকর্ম করেছিল। পরে তারা ১৬ ডিসেম্বরের পর পালিয়ে যায় দেশ ছেড়ে। সেসব শীর্ষ যু’দ্ধাপরাধীদেরকে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে এনে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেন। আর খালেদা জিয়া শুরু করেন পুরোপুরি জামায়াত নির্ভর রাজনীতি।
 
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে একাত্তরের রাজাকার আলবদরদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন খালেদা জিয়া। সেই থেকে জামায়াত-বিএনপি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ফলে দেশের তরুণ সমাজ, সেক্যুলার সমাজ, মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী সমাজের আস্থাও হারিয়ে ফেলে বিএনপি।
দেশে সন্ত্রা’স প্রতিপালন ও প্রতিপক্ষকে নি’র্মূলের রাজনীতি চালু করেছিলো বিএনপি। এতেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি সবচেয়ে বড় ক্রাইমটি করেছিল ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হাম’লার মাধ্যমে। এত বড় নৃশং’সতায় হতবাক হয়ে যায় বিশ্ব। এর মাধ্যমে দলটি নিজেই সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বিএনপি প্রথম বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুর খু’নিদের বিদেশে পালাতে সাহায্য করা, তাদের পুনর্বাসন করাসহ রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দেয় বিএনপি।
রাজনীতিতে আজ সৌজন্যবোধ নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, দেশে রাজনীতিতে খুবই খারাপ সময় চলছে। রাজনীতি ক্রমেই পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাচ্ছে। বিরোধীরা অসুস্থ রাজনীতির জন্ম দিচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকারের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়’যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত হচ্ছে।