1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সোনারগাঁয়ে বাংলার স্বাধীন সুলতানের কষ্টি পাথরে গড়া সমাধি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের শাহচিল্লাপুর গ্রামে রয়েছে বাংলার স্বাধীন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের সমাধি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হয়ে শাহচিল্লাপুর গ্রামে আগের মতো তেমন জৌলুস না থাকলেও দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে এখনো আকর্ষণের কমতি নেই।

এ গ্রামের একটি সমাধিকে কেন্দ্র করে ১৯২০ সালের ২২ নভেম্বর সরকার গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের সমাধিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তালিকায় নথিভুক্ত করে। সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে সরকার এ সমাধির সংস্কার কাজ করেন।

পুরো সমাধিটি কষ্টি পাথরে গড়া। ১০ ফুট লম্বা, ৫ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট উচু এ সমাধির ৩ ফুট উচ্চতার খিলানের ওপর আরও দেড় ফুট উচ্চতায় ৭ ফুট লম্বা অর্ধবৃত্তকার কষ্টি পাথরে ডাকা। ৭ ফুট লম্বা পাথরটির তলদেশ প্রায় ২০ ইঞ্চি চওড়া। মূল সমাধির কার্নিশে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ খচিত অলঙ্কার। দু’পাশে রয়েছে তিনটি করে তিন খাজ বিশিষ্ট খিলান। খাজের মধ্যে রয়েছে প্রলম্বিত শিকল ও ঝুলন্ত ঘণ্টার নকশা। মাজারটি কালো পাথরে তৈরি বলে স্থানীয়রা একে কালা দরগা নামে চিনে। পাথরের গায়ে এমন কারুকাজ করা মাজার বাংলাদেশে বিরল।

জানা যায়, ১৩৮৯-১৪১০ সাল পর্যন্ত প্রথম ইলিয়াস শাহি রাজবংশের তৃতীয় সুলতান ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। তিনি বাংলার সুপরিচিত সুলতানদের অন্যতম ছিলেন। তার প্রকৃত নাম আযম শাহ। সিংহাসন আরোহনের পর তিনি গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ নামে পরিচিত হন। পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তিনি ১৩৮৯ সালে সিংহাসন দখল করেন। ২২ বছর রাজত্ব করার পর ঘাতকরা তার প্রাণ কেড়ে নেয়। ১৪১১ সালে নিহত হওয়ার পর তাকে শাহচিল্লাপুর গ্রামে সমাহিত করা হয়। রাজত্বকালে তিনি ছিলেন খ্যাতির শীর্ষে। তার আমলে শিক্ষাদীক্ষা, সাহিত্য, চারু ও কারুকলার উন্নতি হয়। তিনি একজন ন্যায় বিচারক শাসক ছিলেন।

পারস্যের বিখ্যাত কবি হাফিজের সঙ্গে ছিল তার বন্ধুত্ব। কবি হাফিজকে বাংলায় নিমন্ত্রণ করার গিয়াস উদ্দিন আযম শাহকে একটি গজল রচনা করে পাঠিয়েছিলেন। গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের মাজারের পাশে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের একটি বিলবোর্ড রয়েছে। এতে লেখা আছে কোনো ব্যক্তি এ পুরাকীর্তির কোনো রকম ধ্বংস, বিকৃতি, পরিবর্তন কিংবা ক্ষয়ক্ষতি করলে পুরাকীর্তি আইন ১৯৭৬ এর ১৯ ধারা অনুযায়ী ১ বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত করা হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ