1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

যেভাবে মহামারি করোনা প্রতিরোধ করেছে তাইওয়ান, হংকং ও ম্যাকাউ

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক। তবে এই আতঙ্ক অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে চীনের প্রতিবেশী তাইওয়ান, হংকং ও ম্যাকাউয়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ এবং গণসচেতনতার কারণেই ভাইরাস আটকে দিতে সফল হয়েছে দেশগুলো।
করোনার বিম্তার রোধে প্রথম থেকেই কঠোর পদক্ষেপ নেয় চীনের সাথে লাগোয়া স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হংকং। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার হলেও হংকংয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দেড়’শ এর কিছু বেশি। প্রাণ গেছে চারজনের।
করোনা বিস্তার রোধে বিধিনিষেধ আরও বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকা স্কুলগুলোর আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
হংকংবাসীকে ভ্রমণ বন্ধ রাখার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্চের ১৯ তারিখ থেকে চীনের মূলভূ খণ্ড, ম্যাকাউ এবং তাইওয়ানসহ সব বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা হংকংয়ে এসেছেন তাদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৭০ লাখের বেশি মানুষের হংকং চীনের সঙ্গে ১০টি পয়েন্টে সীমান্ত বন্ধসহ কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করে। জানুয়ারির শুরুতেই মাস্ক পরা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, বাড়িতে থেকে অফিস করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লাইব্রেরি, জিমনেসিয়াম বন্ধ করে। সাধারণ জ্বর সর্দি থাকলেও কর্মক্ষেত্রে না আসা এবং প্রতিটি জায়গায় তামপাত্রা পরীক্ষা স্যানিটাইজার ব্যবহারে বাধ্য করে।
এদিকে, চীনের প্রতিবেশী দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাইওয়ানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা একশ। প্রাণ গেছে একজনের। অথচ উহানের খুব কাছে হওয়ার সেখানে ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ায় ভাইরাস আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে তাইওয়ান। তাদের লড়াই বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।
একইভাবে ম্যাকাউয়ের আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ১৪ জন, তাদের মধ্যে ১০ জনই এখন সুস্থ।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং পোষা প্রাণির সংস্পর্শ এড়িয়ে যেতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
বাংলাদেশের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের হট লাইন ০১৯৪৪৩৩৩২২২ নম্বরে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রচার নজরে আসলে তথ্য অধিদপ্তরের সংবাদকক্ষের ফোন নম্বর ৯৫১২২৪৬, ৯৫১৪৯৮৮, ০১৭১৫২৫৫৭৬৫, ০১৭১৬৮০০০০৮ এবং ইমেইল: piddhaka@gmail.com/piddhaka@yahoo.com অথবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ