1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন

সুভাষ হিকমত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, জীবন বীমা কর্পোরেশন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অটোমেশনের জন্য ৬৩২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসার শর্তে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পাঁচ শিক্ষার্থী। বীমা বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি ‘একচুয়ারি’ নিতে দেশটিতে যাচ্ছেন তারা।
সোমবার (১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বীমার প্রিমিয়াম জমা দেয়া ও ক্ষতি নিরূপণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬১ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে বীমা পেশায় যোগদানের স্মৃতি বিজড়িত ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালন হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে বীমার গুরুত্ব এবং এর অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করে স্বাধীনতার পর বীমা শিল্পকে অধিকতর অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স (জাতীয়করণ) আদেশ-১৯৭২ জারি করে ৪৯টি দেশি-বিদেশি বীমা কোম্পানিকে জাতীয়করণের মাধ্যমে সুরমা, রূপসা, তিস্তা এবং কর্ণফুলী নামে চারটি বীমা কর্পোরেশন গঠন করেছিলেন। একই সঙ্গে এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে জাতীয় বীমা কর্পোরেশন গঠন করেন। পরবর্তীতে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বীমা শিল্পের উন্নয়নে ‘ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন আইন-১৯৭৩’ প্রণয়ন করে এই চারটি কর্পোরেশনকে ভেঙে ‘জীবন বিমা কর্পোরেশন’ এবং ‘সাধারণ বীমা কর্পোরেশন’ নামে দুটি পৃথক বীমা কর্পোরেশন গঠন করেন। এ দুটি কর্পোরেশন এখনও দেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জনগণকে বীমা সেবা দিয়ে আসছে। বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বীমা অধিদফতর গঠন করেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বড় অভাব, আমাদের একচুয়ারি নাই। যারা এ নিয়ে পড়াশোনা করে তারা বিদেশে চাকরি পায়, আর আসে না। লন্ডন থেকে একজনকে এনে দিয়েছিলাম। অবশ্য, এখন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, একচুয়ারি নিতে আগ্রহীরা সরকারি খরচে লন্ডন যাবে। তারা শিক্ষা গ্রহণ করে ফিরে এসে বীমা শিল্পে কাজ করবে। আরও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা পাঁচ জন শিক্ষার্থী ঠিক করেছি। তারা একচুয়ারি পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে যাবে, তাদের সব খরচ আমরা দেব। তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকবে পড়া শেষ করে দেশে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালুর করা হয়েছে। বার্ষিক ৮৫ টাকা দিয়ে একটা পলিসি করতে পারবে। এক্ষেত্রে নতুন বিবাহিত কাপল বীমা করলে সন্তান শিক্ষা সমাপনী পর্যন্ত আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না, এরকম ব্যবস্থা করতে হবে। বার্ষিক ২৮৫ টাকা দিয়ে একজন খেলোয়াড়ও নিজের জীবন সুরক্ষিত রাখতে পারবে। প্রবাসীদের জন্যও বীমার সুযোগ রাখা হয়েছে।’
 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বীমা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বীমার গুরুত্ব ও সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পুরাতন বীমা আইন-১৯৩৮ কে রহিত করে সময়োপযোগী ‘বীমা আইন-২০১০’ এবং ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০’ প্রণয়নপূর্বক তৎকালীন বীমা অধিদফতরকে বিলুপ্ত করে ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হয়। ‘জাতীয় বীমা নীতি-২০১৪’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বীমা খাতের বিকাশে আমাদের সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রবাসী কর্মী বীমা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি মোকাবিলায় হাওড় এলাকায় সীমিত পরিসরে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে তার স্মৃতিবিজড়িত আজকের এই দিনে বীমার শুভবার্তা দেশের সব নাগরিকের কাছে পৌঁছে যাক, দেশের সব মানুষ এবং সম্পদ বীমা সেবার আওতায় আসুক –এই প্রত্যাশায় আমি জাতীয় বীমা দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’
 
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও আর্থিক বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম।
এবারের বীমা দিবসের স্লোগান- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ