1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উপকূলে নতুন ‘দ্বীপান্তর বিভাগ’ এর প্রস্তাব ছাত্রলীগ নেতার

হামজা রহমান অন্তর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১

মেঘনা লোয়ার নদী ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলে যতগুলো দ্বীপ আছে সবগুলো দ্বীপ নিয়ে “দ্বীপান্তর বিভাগ” চাই।
★ প্রস্তাবিত দ্বীপান্তর বিভাগীয় সদর হবে বর্তমান ভোলা জেলা সদরের প্রস্তাবিত ভোলা সিটি কর্পোরেশনে। উল্লেখ্য, ভোলা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২০ সালে।
★ প্রস্তাবিত ও পুনর্গঠিত জেলা সমূহ –
★ প্রস্তাবিত ভোলা জেলা-
(মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা, ভোলা সদর উপজেলা, দৌলতখান উপজেলা, প্রস্তাবিত বাংলাবাজার থানা, বোরহানউদ্দিন উপজেলা, তজুমুদ্দিন উপজেলা, লালমোহন উপজেলা)
★ প্রস্তাবিত চরফ্যাশন জেলা-
(চরফ্যাশন উপজেলা, শশিভূষণ থানা, দক্ষিণ আইচা থানা, দুলারহাট থানা, প্রস্তাবিত চর কুকরি-মুকরি থানা)
★ প্রস্তাবিত হাতিয়া জেলা-
(মনপুরা উপজেলা, হাতিয়া উপজেলা, প্রস্তাবিত জাহাজমারা থানা, প্রস্তাবিত নিঝুম দ্বীপ থানা, ভাসানচর থানা)
★ প্রস্তাবিত সন্দ্বীপ জেলা-
( প্রস্তাবিত স্বর্ণদ্বীপ থানা, সন্দ্বীপ উপজেলা, প্রস্তাবিত উড়িরচর থানা, কুতুবদিয়া উপজেলা)
★ প্রতিটি জেলা সদর হবে একই নামের উপজেলা সদরে।
★ প্রস্তাবিত এই দ্বীপান্তর বিভাগটি হবে বিশ্বের বুকে একটি মডেল বিভাগ। এর প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানায় উন্নতমানের হাসপাতাল থাকবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে।
★ এখানে উন্নতমানের জাহাজ, লঞ্চ ও স্পিড বোট থাকবে। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য ওয়াটার ও এয়ার এম্বুল্যান্স থাকবে। থাকবে পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় বিলাসবহুল ছোটবড় নৌযান, আকাশযান। দ্বীপান্তর নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরও সম্ভব।
★ লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই অঞ্চলের মধ্যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজ নেই। দেশের একমাত্র “বাংলাদেশ মৎস ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়” এখানে গড়ে তোলা যায়। পুরো এরিয়াতে অন্তত দুটি সরকারি মেডিকেল কলেজ দরকার। একটা ভোলা ও প্রস্তাবিত চরফ্যাশন জেলার মাঝামাঝি। আরেকটা প্রস্তাবিত হাতিয়া ও সন্দ্বীপ জেলায়।
★ এই অঞ্চলে যে পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ সম্পদ আছে তা উত্তোলন করে এই অঞ্চলের মানুষের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে যোগান দেওয়া সম্ভব।
★ উপকূলীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে এটি। দ্বীপগুলোর মধ্যে বানিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ফলে এখানকার পলিমাটির যথাযথ ব্যবহার করে কৃষি, মৎস, গার্মেন্টস শিল্প, জাহাজ শিল্প ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় রফতানিযোগ্য শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। এই উপকূলে দেশের একমাত্র “দ্বীপান্তর সমুদ্রবন্দর” গড়ে তোলাও সম্ভব।
দ্বীপের কষ্ট বাইরের মানুষ বুঝবে না। প্রস্তাবটির পক্ষে জনমত গড়ে তুলুন। প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে আছে এই অঞ্চলের সাহসী মানুষগুলো। প্রস্তাবটি এই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রজাতন্ত্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করলে অবহেলিত দ্বীপবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
লেখক- হামজা রহমান অন্তর (অবহেলিত দ্বীপজেলা ভোলার বাসিন্দা)
কলামিস্ট, সাংস্কৃতিক কর্মী  ও সহ-সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত