করোনা মহামারি পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন জোরদার করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ত্রিপক্ষীয় এক পোর্টফোলিও পর্যালোচনা সভায় (টিপিআরএম) আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। এডিবি-সহায়ক প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে আরও জোরদার পদক্ষেপে নেওয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার।
রোববার (১৩ মার্চ) নগরীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির প্রতিনিধিরা মিলিত হন। ইআরডির সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (এডিবি) ড. পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, এডিবির ঋণ ও অনুদানে চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে আরও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কীভাবে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন জোরদার করা যায় সেই বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এডিবির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা তার বক্তব্যে করোনভাইরাস মহামারি থেকে দ্রুত আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং নীতির প্রশংসা করেন। তিনি এডিবির সঙ্গে অব্যাহত শক্তিশালী অংশীদারত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্ভাবনী এবং রূপান্তরমূলক সমাধানেরও প্রশংসা করেন।
দেশে বর্তমানে এডিবির অর্থায়নে ৫০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এখাতে অর্থায়ন সাড়ে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এডিবি বাংলাদেশে ছয়টি সেক্টরে কাজ করে। সেগুলো হলো- জ্বালানি, পরিবহন, পানি এবং শহুরে/পৌরসভা অবকাঠামো, সেবা, শিক্ষা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন। বাংলাদেশে সংস্থাটির ঋণের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।