1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কলকাতায় ফিরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অঞ্জন দত্তের ফেসবুক পোস্ট 

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৩১তম ব্যাচের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে বসেছিল গানের আসর। আর সে আসর মাতাতে মঞ্চে এসে হাজির হন সঙ্গীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত। তাকে পেয়ে পুরো ক্যাম্পাসে হইচই পড়ে যায়।

মঞ্চে হাজির হয়ে ‘শুনতে কী পাও’ ‘তুমি না থাকলে’, ‘ম্যারি এ্যান’, ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’, ‘আমি আসব ফিরে’,‘বসে আছি স্টেশনে’-এর মতো জনপ্রিয় সব গান শোনাতে থাকেন। পৌনে দুই ঘণ্টা দর্শকদের মাতিয়ে রেখে শেষ করেন ‘বেলা বোস’ গান দিয়ে। তার সঙ্গে কণ্ঠে কণ্ঠ মেলান ক্যাম্পাসের হাজারো তরুণ-তরুণী।

অনুষ্ঠান শেষে সবার উদ্দেশ্যে অঞ্জন বলেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলাম। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম এসেছি। বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। এপার বাংলার লাখ লাখ দর্শক শ্রোতা রয়েছে আমার। যাদেরকে আমি ভীষণ ভালোবাসি এবং স্মরণ করি। আমি এসব মানুষের ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।

এরপর ঢাকা থেকে ফিরে কলকাতায় গিয়ে ঢাকাবাসীর উদ্দেশ্যে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেন, আমি অনেক দিন ধরে জানি যে আমার শ্রোতাদের এবং দর্শকদের ৫০ ভাগ বাংলাদেশি। সে ঢাকার হোক বা ইস্ট লন্ডনের। অর্থাৎ যে কারণে হিন্দু বাঙালিরা আমাকে বেচে নেয় বেলা বোস কে কলকাতায় বা অসলো-তে। সেই একই কারণে মুসলমান বাঙালি বেছে নেয় মালা। আলাদা গান কিন্তু মূলত কোথাও এক। ৩৫ বছর আগে ঢাকা মিলিটারি স্টেডিয়াম এ প্রায় ৩০,০০০ শ্রোতার সামনে প্রথমবার। তখন বয়স ৪৪। আজ ৬৯। তিন দিন আগে ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ১০,০০০ শ্রোতা। সেই একই গান। দু চারটে নতুন। সেই একই উন্মাদনা।

তিনি আরও লিখেন, ইউনিভার্সিটির ৩১ তম ব্যাচ কে আমার অন্তরের ভালোবাসা। শাহরিয়ার মোস্তফা তন্ময় উদ্যোগ নিয়ে আমার যৌবনকে আবার ফিরিয়ে দিলো। যেহেতু বিদ্যালয়ের নিজস্ব রিইউনিয়ন তাই প্রচার করা হয়নি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ১০ থেকে ১৫,০০০ ছাত্র ছাত্রীদের তো বাদ দেওয়া যায় না। তাই মুক্তমঞ্চ উপচে পড়ে। আমাদের দেবার ইচ্ছেটাও। কিন্তু সময়ের এবং ভিড়ের চাপে সেই মালা গানটা গাওয়া হয়না। রাত দশটা বেজে যায় অনুষ্ঠান শেষ করতে হয়। প্রায় দু ঘণ্টার ওপর অনুষ্ঠান। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার অন্তরের সেলাম। সবাই ভালো থাকবেন। আমার ঢাকার বন্ধুরা যাদের সঙ্গে এবার দেখা হলোনা, তাদের সবাইকে আমার ভালোবাসা। পরের বার দেখা হবে। ফিরে আসতে খারাপ লাগছিলো। যেখানেই যাই নতুন বন্ধু খুঁজে পাই এখনও। এবারও পেলাম। তন্ময় এবং তার বন্ধুদের।
ভালো থাকবেন। ভালো হোক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ