1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শতাধিক লেডি বাইকারে সরগরম পটুয়াখালী পৌর শহর

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩

পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওহিদা পাপড়ী। নিজের কর্মস্থলে সহজে যাতায়াত করতে এক বছর আগে স্কুটি চালানো শুরু করেন। এরপর জীবনটা তার কাছে অনেকটা সহজ হয়ে ওঠে। দুই সন্তান, স্বামী ও সংসার সামলে যথা সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারছেন।

নিজের মতো অন্য নারীদেরও বাইক চালানোর সুযোগ তৈরিতে শুরু করেন প্রশিক্ষণ। একে একে শতাধিক নারী স্কুটি চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাই এখন পটুয়াখালী পৌর শহরে নারীদের স্কুটি চালানোর দৃশ্য স্বাভাবিক বিষয়।

গতকাল বিশ্ব নারী দিবসে ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিজেদের অবস্থার জানান দেন নারী বাইক চালকরা। বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে শহরের ঝাউতলা ফোর লেনে নারী দিবস উপলক্ষে তারা কেক কেটে ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে দিবসটি উদযাপন করেন।

লেডি বাইকার পটুয়াখালী নামক নারী স্কুটি চালকদের সংগঠনের সদস্যরা জানান, নারী এখন ঘরে এবং বাইরে সমানতালে এগিয়ে যাবে। আর এ জন্য অন্যতম অনুষঙ্গ মোটরসাইকেল।

লেডি বাইকার পটুয়াখালীর উদ্যোক্তা ওহিদা পাপড়ী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের নারীরা শুধু তার সংসার কিংবা কর্মস্থল সামলাবে না। তারা এসব কাজগুলো অনেক স্মার্টভাবে করবে। যাতে পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই নারী যানবাহন কিংবা প্রতিবন্ধকতার অজুহাতে আটকে থাকবে না। স্কুটি চালিয়ে আমি যে সুবিধা পাচ্ছি, সেই অভিজ্ঞতা অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে।

নারী স্কুটি চালক তাসমিয়া আরা মারিয়া বলেন, আমি যদি বলি একটি স্কুটি আমার স্বাভাবিক জীবনে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। নারী দিবসের যেসব অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছি তাতে পৌঁছাতে আমার পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লেগেছে। আর এতে ১০ টাকার তেল পুড়েছে। কিন্তু আমার যখন স্কুটি ছিল না তখন এসব অনুষ্ঠানে যেতে বাসা থেকে অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বের হয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। এতে ১০০ টাকা রিকশা ভাড়া খরচ হতো।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী বাইকার রোকসানা খাতুন বলেন, একজন নারী নির্বিঘ্নে চলাচলে একটি বাইকের কোনো বিকল্প নেই। একটি বাইক কিংবা স্কুটি নারীর অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারে। আর এতদিন পটুয়াখালী পৌর শহরে নারীদের মোটরসাইকেল চালানো কিংবা প্রশিক্ষণের কোনো সুযোগ ছিল না। এখন পাপড়ী আপা প্রশিক্ষণ দেওয়ায় অনেকেই স্কুটি চালাচ্ছি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ