1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

লাভজনক ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন চাষীরা

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩

এবছর গাংনীতে তামাক চাষ কমেছে, বেড়েছে ভুট্টা চাষ। গত কয়েক বছর ধরে তামাক চাষের চেয়েও ভুট্টা চাষে বেশি লাভ পেয়ে চাষীরা তামাক চাষ ছেড়ে ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকেছে। ব্লাষ্টে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে লাভজনক ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।গম ক্ষেতে ব্লাষ্ট নামক ছত্রাকের আক্রমণে চাষীরা গমের আবাদ অনেকাংশে ছেড়েই দিয়েছেন। গাংনী উপজেলায় এবার সবচেয়ে বেশি ভুট্টার চাষ হয়েছে।

মাঠের মধ্যে সবুজ পাতার আড়ালে হাসছে হলুদ রঙের ভুট্টার দন্ড মাথায় লাল ফুল, গায়ে হলুদ বর্ণের এসব ভুট্টা গাছ দোল খাচ্ছে বাতাসে। উৎপাদন বেশি, খরচ কম তাই ভুট্টা চাষে লাভের আশা করছে চাষীরা, আগ্রহ বেড়েছে এখানকার কৃষকদের। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এবার গাংনী উপজেলায় ৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে।

এর মধ্যে ধানখোলা, মটমুড়া ও কাজীপুর ইউনিয়নে ভুট্টা চাষ বেশি হয়েছে। কৃষকরা জানান, ধান চাষের পর ভুট্টা চাষটা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। কারণ ভুট্টা চাষে লাভ বেশি। ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং ভুট্টা, ভুট্টার গাছ ও সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।

একসাথে অনেকগুলো সুবিধার কারণে এর চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের। আদিকাল থেকে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে আসছে। উচ্চফলন, বেশি লাভ আর চাহিদা অনেক থাকায় সম্প্রতি বছরগুলোতে ভুট্টা চাষাবাদ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মাঠে কৃষকরা সুপার সাইন, ডন এবং পাইওনিয়ার জাতের ভুট্টার আবাদ করে উচ্চ ফলন পেয়েছেন।

গাংনীর গোয়ালগ্রাম গ্রামের ভুট্টা চাষী আব্দুর রহমান, গোলাম মোস্তফা ইসলাম, আনারুল ইসলাম, মাইলমারী গ্রামের মনিরুজ্জামান, আ. রশিদ জানান, ভুট্টা চাষ লাভজনক।

এতে বিঘাপ্রতি খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। বিঘাপ্রতি উৎপাদন ৪৫-৫৫ মন। বাজার দর এক হাজার টাকা থেকে ১২ শ’ টাকা। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ভুট্টা ক্রয় করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাইমেনুল জানান, শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, মাটির উর্বরতা যেন ঠিক থাকে এবং চাষীরা যাতে পরিকল্পিতভাবে ভুট্টার আবাদ করতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি। এতে প্রায় ১১ ভাগ আমিষ জাতীয় উপাদান রয়েছে।

আমিষে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন অধিক পরিমাণে আছে। এছাড়া হলদে রংয়ের ভুট্টা দানায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ থাকে।স্থানীয় ভুট্টা চাষীদের দাবি স্থানীয় কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হলে ভুট্টাচাষীরা আরো ব্যাপক হারে এর চাষাবাদ এগিয়ে নিতে পারবে। তিনি ভুট্টা চাষের জন্য অনুকুল পরিবেশ আছে বলে জানান।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ