1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জুনেই চালু হচ্ছে লোহালিয়া সেতু 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩

দীর্ঘদিন পর পটুয়াখালী জেলার চার উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের প্রায় এক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে খুলে দেওয়া হচ্ছে লোহালিয়া নদীর ওপর নির্মিত লোহালিয়া সেতুর দ্বার। শেষ মুহূর্তে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে শেষ হয়েছে বহু প্রত্যাশিত লোহালিয়া সেতুর স্টিল স্ট্রাকচারের নির্মাণ কাজ। দৃশ্যমান এখন লোহালিয়া সেতু।

সেতুটি চালু হলে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপার পাশাপাশি রাঙ্গাবালী উপজেলার সঙ্গেও জেলা সদর এবং রাজধানী ঢাকার সরাসরি নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে। এতে সহজ যোগাযোগের পাশাপাশি লোহালিয়া সেতু জেলার পর্যটনসহ স্থানীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নদ-নদীতে ঘেরা পটুয়াখালী জেলার অধিকাংশ উপজেলায় যেতে আগে একাধিক নদী পাড়ি দিতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এতদিন লোহালিয়া নদীর ওপর কোনো সেতু কিংবা ফেরি না থাকায় অনেকটা বাড়তি পথ ঘুরে গলাচিপা, বাউফল, দশমিনা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষকে পটুয়াখালী জেলা শহরে যাতায়াত করতে হতো। তবে শেষ মুহূূর্তে আশার খবর হলো, আসছে জুন মাসেই শেষ হচ্ছে লোহালিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ।

বর্তমানে সেতুর মাঝখানে চীন থেকে আনা স্টিল কাঠামো বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষের পর থেকেই ১০৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজের নিচ দিয়ে বড় নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে যাওয়া পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌপথটিও চালু হয়েছে। ৫শ’ ৭৬.২৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে এবং ৭.৩২ মিটার প্রস্থের ব্রিজটির কাজ গত এক যুগ ধরে বন্ধ ছিল পায়রা বন্দরের আপত্তির কারণে। ২০১৯ সালের আগস্টে সেতুর হরিজেন্টাল ক্লিয়ারেন্স ৭০ মিটার এবং ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ১৩.৫০ মিটার রেখে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে অসমাপ্ত কাজ শুরু করা হয়।

যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর আগে সেতুর হরিজেন্টাল ক্লিয়ারেন্স ছিল ৩৫ মিটার এবং ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ছিল ৭.৩ মিটার। তখন ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্মাণ করা সেতুতে কোনো প্রকার টোল আদায় করা হয় না। ফলে স্থানীয় মৎস্য ও কৃষি শিল্পের জন্য নতুন এক দিগন্তের সূচনা ঘটবে বলে মনে করেন জেলার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন জানান, সেতুর নির্মাণকাজ চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ করে সেতুটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ