বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাদের কিনা টি-টোয়েন্টিতে ৩-০ ব্যবধানে ‘বাংলাওয়াশ’ করেই ছাড়লো বাংলাদেশ! টাইগারদের এই সাফল্য তো আসলে স্বপ্নের মতোই।
একটা সময় জয়টা কঠিনই মনে হচ্ছিল। লিটনের ৭৩ ও শান্ত’র ৪৭ এ ভর করে বাংলাদেশের ১৫৯ তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটেই ১০০ রান তুলে ফেলেছিল ইংলিশরা। সেখান থেকে আর ৪২ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তার চেয়েও বড় কথা, টাইগারদের অসাধারণ বোলিংয়ে ৯ উইকেট হাতে রেখেও শেষ ৪৮ বলে মাত্র ৪৭ রান নিতে পারে ইংলিশরা। ৬ উইকেটে থামে ১৪২ রানে।
সিরিজ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিলো তাই বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটয়াশ মিশন পূরণের।
স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফদের জন্য এবার বড় অংকের পুরস্কার ঘোষণা করলো বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ঘোষণা দিয়েছেন এই পুরস্কারের।
পাপন অবশ্য পুরস্কারের অংকটা পরিষ্কার করে বলেননি। বিসিবির শীর্ষ কর্তারাও কেউ তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩ থেকে ৫ কোটি বাড়তি বোনাস পাচ্ছেন সাকিবরা।
জিতলে এমনতেই বোনাস পান টাইগাররা। তারও রকম ফের আছে। বড় ও সুপ্রতিষ্ঠিত দলের বিপক্ষে একরকম আর জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের বোনাস আরেক রকম।
একইভাবে শুধু সিরিজ জয়ের জন্য একরকম বোনাস আর কোনো বড় দলকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে পুরস্কারের অংকটা যায় অনেক বেড়ে।
এবার জস বাটলারের ইংলিশ বাহিনীকে ‘বাংলাওয়াশ’ করে সেই বড় অংকের অর্থ বোনাস পাবেন সাকিব-লিটন-শান্ত-মোস্তাফিজরা। মঙ্গলবার খেলা শেষে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সে বোনাসের ঘোষণা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
পাপন জানান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০‘তে সিরিজ বিজয় ও হোয়াইটওয়াশের জন্য বিসিবির বাঁধাধরা নিয়মের বোনাস মানির বাইরেও ক্রিকেট দলকে বাড়তি বোনাস দেওয়া হবে। ভেতরের খবর, সেই বোনাসের অংক অন্তত ৩ কোটি টাকা, ৫ কোটিও হতে পারে। খুব শিগগিরই এই অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে সাকিবদের।
টি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশের যত হোয়াইটওয়াশ
২০১২-আয়ারল্যান্ড (৩-০)
২০২০-জিম্বাবুয়ে (২-০)
২০২২-সংযুক্ত আরব আমিরাত (২-০)
২০২৩-ইংল্যান্ড (৩-০)।