1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পদ্মা সেতু: ৩০ মার্চ থেকে চলবে ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক রেল চলবে আগামী ৩০ মার্চ। এদিন মাওয়া রেলস্টেশন থেকে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে রেল যাবে ভাঙ্গা স্টেশনে।

সেতুর প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু ঘিরে বদলে যাওয়া দেশের নতুন এ রেল নেটওয়ার্ক শুধু যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে না, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ গতি এনে অর্থনীতির ভিত পোক্ত করতেও ভূমিকা রাখবে। পাথরবিহীন এ রেললাইন শত বছর টেকসই হবে। তাই তৈরি করা হচ্ছে মজবুত করে। আর আধুনিক এ রেললাইনের সংস্কার ব্যয়ও তেমন হবে না। তাই দেশের নতুন রেল নেটওয়ার্ক ঘিরে নানামুখী সম্ভাবনা হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আশা করছি, পদ্মা সেতুতে আগামী ৩০ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর ৪২ কিলোমিটার রেলপথের অগ্রগতি এখন ৯২ শতাংশের বেশি। আর পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেলপথ বসবে ৬.৬৮ কিলোমিটার। এরই মধ্যে ৬ কিলোমিটারের বেশি রেলপথ বসে গেছে। বাকি মাত্র ৩০০ মিটার। পাথরবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে মাওয়া প্রান্ত থেকে। জাজিরা প্রান্তের কাজ শেষ। আর মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্র্যাক কারে করেই স্লিপারসহ অন্যান্য মালামাল সেতুতে সহজে ঢুকতে পারছে। তাই দ্রুত রেললাইন বসানো সম্ভব হচ্ছে। সেতুর ওপর তলায় সড়কপথের যানবাহন সচল রেখেই দেশের প্রথম পাথরবিহীন ব্রডগেজ রেললাইন স্থাপন করা হচ্ছে।

আগামী ২০ মার্চের মধ্যেই সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন বসানো সম্ভব হবে। কিউরিংয়ের পর রেল চলাচলের উপযোগী হবে। তাই সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের জন্য ৩০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ পরীক্ষামূলক রেলে চড়বেন বলে জানান দায়িত্বশীলরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেশে প্রথমবারের মতো সর্ববৃহৎ রেলব্রিজ মুভমেন্ট জয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে পদ্মার রেলসেতুতে। এতে দ্রুতগতির রেল চলাচলের সময় এ জয়েন্টে রেললাইন ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত  সম্প্রসারিত হতে পারবে। আর সেতুতে আটটির মধ্য সাতটি জয়েন্টই বসে গেছে। পদ্মা রেলসেতু ৭ খণ্ডে বিভক্ত। আর সেতু টেকসই রাখতে নকশা অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বে বিভাজন রাখা হয়েছে। তাই মূল সেতুর সঙ্গে দুই প্রান্তের ভায়াডাক্টের সংযোগ এবং মাঝে জয়েন্ট আও ছয়টি। কংক্রিটের পাথরবিহীন রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত করতে এ জয়েন্টগুলো স্টিল দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি। চারটি ধাপে ছয় বেয়ারিং প্লেট ছাড়াও সাতটি প্লেটের ওপর স্থাপিত শক্তিশালী এ মুভমেন্ট জয়েন্ট। ব্যতিক্রমী একেকটি জয়েন্টের ওজন প্রায় ১৫ টন।

প্রকৌশলী ইউসুফ আলী জানান, দ্রুতগতির ব্রডগেজ লাইনের বিষয়টি বিবেচনা করেই বিশ্বমানের সবচেয় বড় ও সক্ষম জয়েন্ট বসছে পদ্মা রেলসেতুতে। এক জয়েন্ট থেকে অপর জয়েন্টের দূরত্ব ৯০০ মিটার। রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় সূক্ষ্মভাবে টেকসই পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ। এটি এখন সফল।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ বিগ্রেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। আবার সেই সেতুতে রেল সংযোগ করা আরেকটি চ্যালেঞ্জিং কাজ।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো জিনিস তৈরির সময় যেটা টেবিলে করা হয়, সেটা যখন বাস্তবে অফগ্রাউন্ডে করা হয়, তখন সেটা সে রকমভাবে হয়ে ওঠে না। সেটার জন্য আমাদের প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যা ছিল। যেটা আমরা সংশোধন করেছি। সংশোধন করে আমরা কাজটা শুরু করি। এখানে আমরা সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করেছি। কংক্রিট আনার আগে, প্রেসিং করার সময় আমরা প্রতিটা বিষয় টেস্ট করছি; তারপর সেটা ব্যবহার করছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের চমক দেখা যাবে। আর জুনের আগেই মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেল চালু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর আগামী ডিসেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেল চলবে। আর রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত রেল চলবে ২০২৪ সালের জুনে। আর পদ্মা সেতু ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত