1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

৫ শতাংশ অকৃষি জমি ব্যবহারে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩

ছয় বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ৬ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে মাত্র ৫ শতাংশ অকৃষি জমি ব্যবহার করে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকার বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর মাল্টিপারপাস হলে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন এবং এর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন বৈঠক এবং কর্মশালা ২০২৩’-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক এম জাকির হোসেন খান এবং সিমরান নোভা সিদ্দিকি।

এ সময় বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান, সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন,  ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সাবেক দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরসহ অন্যরা।

গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট পৃথক কোনও তহবিল নেই। তাই এটির জন্য ক্রমবর্ধমান তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাত্র ৬৬ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে বরাদ্দটি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৩০ দশমিক ৮৭ কোটি ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৭১ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ে।

এ ছাড়া এনডিসি রোডম্যাপে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হাজার ৩৭৮ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা জলবায়ু প্রভাব প্রতিরোধে প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল, যেখানে নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

গবেষণা ফলাফলে উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে মুদ্রা বিনিময় হারের ঝুঁকি, পারমিট বা অনুমোদন ঝুঁকি, জ্বালানি মার্কেট ঝুঁকি, ভূমি অধিগ্রহণকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাত্র ৫ শতাংশ অকৃষি জমি ব্যবহার করেই দেশে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব বলে গবেষণা জরিপে উঠে এসেছে।

ওয়াসেকা আয়েশা খান বলেন, সরকার ক্লিন এয়ার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সবাইকে জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যায়ী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে মানসিকতার পরিবর্তন, ও প্রি-পেইড পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য উৎসাহ দেন তিনি।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতকল্পে একটি সুনির্দিষ্ট আইন ও সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ প্রয়োজন। সারা দেশে সব সরকারি ভবনে সোলার প্যানেল বসাতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

আহসান আদেলুর রহমান বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যাক্স হার কমানোর পক্ষে মতামত দেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি একমাত্র উপায় বলে মত দেন তিনি।

মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রণোদনা দিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্লিন এনার্জির নিশ্চিতকল্পে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কারণে ২০৪১ সালের আগে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, গ্রাম ও শহর সব জায়গাকে প্রকল্পগুলোর আওতায় আনতে হবে। গ্রাম ও শহরে সব জায়গায় সোলার প্যানেল বসাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে হবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ