সুনামগঞ্জে কৃষকদের বজ্রপাত থেকে রক্ষায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় হাওড়ে স্থাপন করা হয়েছে ১৮টি লাইটেনিং এরেস্টার টাওয়ার। এতে হাওড়ে কৃষক, জেলে ও এমনকি গবাদিপশু বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাবে। পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় তুরস্কের তৈরি এসব বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানিক মিয়া জানান, সুনামগঞ্জের খরচার হাওড় ও দেখার হাওড়ের উন্মুক্ত প্রান্তরে ৪০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট লাইটেনিং এরেস্টার টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি টাওয়ার ১০৭ মিটার রেডিয়াসে থাকা লোকজন পশুপাখি গাছপালা গবাদিপশুকে বজ্রপাতে মৃত্যু থেকে রক্ষা করবে। তুরস্কের তৈরি প্রতিটি ডিভাইসে রয়েছে কপারচিপ, জাঙ্কশন বক্স, ডিজিটাল কাউন্টার ডিভাইস, কপার রডসহ নানা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস। প্রতিটি টাওয়ার মাত্র ৬০ মাইক্রোসেন্ড সময়ের মধ্যে আকাশে হওয়া বজ্রপাতকে মাটিতে টেনে নিয়ে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছর সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা শাল্লা উপজেলার হাওড় এলাকায় ১৮টি লাইটেনিং এরেস্টার টাওয়ার স্থাপন করেছে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর মার্চ থেকে জুলাই মাসে হাওড় এলাকা বজ্রপাতে বিপুলসংখ্যক কৃষক শ্রমিক জেলের হতাহতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গবাদিপশু গাছপালা। কৃষকরা ক্ষেতখামারে কাজ করতে পারেন না। জেলেরা হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে পড়েন বিপাকে। গৃহিণীরাও বাড়ির আঙিনায় কাজকর্ম করতে পারেন না।