1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বড়পুকুরিয়া থেকে দৈনিক ৫ হাজার টন কয়লা উৎপাদনের লক্ষমাত্রা

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

দিনাজপুরের বড়পকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন দৈনিক ৫ হাজার মেট্রিক টনে উত্তীর্ণ করতে চায় সরকার। এজন্য খনি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বড়পুকুরিয়া খনি কী করেছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ সূত্র বলছে, এখন দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা তোলা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া খনির উৎপাদন দৈনিক ৫ হাজার টনে উন্নীত করতে হলে দৈনিক উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে ৩ হাজার ৩০০ টন।

বড়পুকুরিয়া খনির রেকর্ডপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে খনিটি থেকে কয়লা তোলা হয়েছিল ৯৭ হাজার ৫৭৭ টন। অর্থাৎ ৩০ দিনের হিসেবে ‍যার পরিমাণ দৈনিক ৩ হাজার ২৫২ টন। গত জানুয়ারি মাসে বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা তোলা হয়েছে ৫৭ হাজার ১২২ টন। দৈনিক হিসেবে এই উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ হাজার টন কম।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রোডাকশন গ্যাপ কমিয়ে নতুন ফেইস ‘১৩০৭’ থেকে কাছাকাছি লক্ষ্যমাত্রায় কয়লা তোলার ক্ষেত্রে আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানায়।

গত ১৫ মার্চ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা তোলার বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাওয়া হয়।

বড়পুকুরিয়া দেশের একমাত্র কয়লাখনি। এখান থেকে উত্তোলিত কয়লা দিয়ে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালানো হয়। এই কেন্দ্রটি কয়লার জোগানের অভাবে পূর্ণ মাত্রায় চলতে পারে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে খনির উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হলেও বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে এর চাইতে বেশি কয়লা তোলা সম্ভব হয় না।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির একজন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বড়পুকুরিয়াতে আমরা উন্মুক্ত খনি করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এই খনি করার জন্য ৪ হাজার একরের বিশাল জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এতে করে এই অঞ্চল থেকে বিপুল পরিমাণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। বিশাল এই কর্মযোগ্যের জন্য বড় অঙ্কের অর্থায়ন প্রয়োজন। তবে এ বিষয়টি এখনও সরকারের বিবেচনাধীন বলে জানান তিনি।

এখন বড়পুকুরিয়াতে ভূগর্ভস্থ (আন্ডারগ্রাউন্ড) পদ্ধতিতে কয়লা তোলা হয়। এতে সর্বোচ্চ ১০ ভাগ কয়লা তোলা সম্ভব হচ্ছে। বাকি ৯০ ভাগ কয়লা থেকে যাচ্ছে। জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আগে বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক বৈঠকে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে দৈনিক উৎপাদন লক্ষ্য ৫ হাজার টন করার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মহাব্যবস্থাপক (প্ল্যানিং অ্যান্ড এক্সপ্লোরেসন ও সারফেস অপারেশন) আবু তাহের মো. নুর উজ জামান চৌধুরী বলেন, ‘পুরনো ফেইজের কয়লা তোলার কাজ শেষ, নতুন ফেইজ চেইঞ্জ করে রেডি হয়েছে, সেখান থেকে এখনও কয়লা উত্তোলন শুরু হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘উৎপাদন বাড়াতে আন্ডারগ্রাউন্ড বাদে অন্য পদ্ধতিতে তোলার বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোনও নির্দেশনা এখনও আসেনি।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ