1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মুশির দ্রুততম সেঞ্চুরির ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্কোর: বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৩৪৯/৬ (মুশফিকুর ১০০*, তাসকিন ১*; ইয়াসির ৭, হৃদয় ৪৯,শান্ত ৭৩, লিটন ৭০, তামিম ২৩, সাকিব ১৭)।

ফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত।

মুশফিকুর রহিমের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডকে ৩৫০ রানের টার্গেট দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে এখনও ২২ গজে নামতে পারেননি সফরকারী ব্যাটাররা। বৃষ্টি বাধায় ম্যাচ শুরু হতে দেরি হচ্ছে। ভারী বর্ষণ হচ্ছে সিলেটে। কাট অফ টাইম ধরা হয়েছিল ৯টা ৩৩ মিনিট। কিন্তু বৃষ্টি থামার কোনও সম্ভাবনা না দেখায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

মুশফিকের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রেকর্ড রান

রান তাড়া করার তাড়না ছিল না। কিন্তু তারপরও দর্শকদের মনে ছিল উদ্বেগ। মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি পাবেন তো? কারণ বল খুব একটা হাতে নেই। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম বলে ইয়াসির আলী রাব্বি আউট হলেন। ক্রিজে নেমে তাসকিন আহমেদ নিলেন সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে দুই নিয়ে ব্যবধান কমালেন। চতুর্থ বলে চার ও পরের বলে দুই রান, শেষ বলে লাগতো একটি রান। সেটাও করে ফেললেন, তাতে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করে ফেললেন মুশফিক, যা বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম। তাতে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫০ রানের বিশাল লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান, এটা ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টানা দুটি ম্যাচে দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।

২৯তম বল খেলেও মুশফিকের নামের পাশে ছিল ৩৬ রান। এরপর আগ্রাসী তিনি। আর চার বল খেলে করলেন হাফ সেঞ্চুরি, মোট ৩৩ বলে। বাকি ৫০ রান করলেন আর ২৭ বল খেলে। তার এই ঝড়ো ইনিংসে ছিল ১৪ চার ও ২ ছয়। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব, ওটাই এতদিন ছিল বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরি।

টানা হাফ সেঞ্চুরি হলো না হৃদয়ের

হাফ সেঞ্চুরি হলো না তাওহিদ হৃদয়ের। আগের ম্যাচে ৯২ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটার এক রানের জন্য ফিফটিবঞ্চিত হলেন। ৩৪ বলে ৪৯ রান করে মাঠ ছাড়লেন তিনি। ভাঙলো ৭৭ বলে ১২৮ রানের ঝড়ো জুটি। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে কট বিহাইন্ড হন হৃদয়। আম্পায়ার আঙুল তুললেও রিভিউ নেন তিনি, কিন্তু ব্যর্থ হন উইকেট বাঁচাতে।

মুশফিকের ঝড়ো ফিফটি, ৭ হাজার রানের ক্লাবে

৪৩তম ওভারে মুশফিক ২৯ বলে ৩৬ রান নিয়ে খেলতে শুরু করেন। মার্ক অ্যাডায়ারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন। পরের বল তাওহিদ হৃদয় সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইকে যান উইকেটকিপার ব্যাটার। এরপর পয়েন্ট দিয়ে একটি চার, তারপর মিড অফ দিয়ে আরেকটি। নামের পাশে ৪৫ রান, পরের বলটি ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন মুশফিক। ৩৩ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৪তম ফিফটির দেখা পান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে কুর্টিস ক্যাম্ফারকে প্রথম বলে চার মেরে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজার ওয়ানডে রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এই কীর্তি গড়তে ৫৫ রান লাগতো ডানহাতি ব্যাটারের।

মুশফিক-হৃদয়ের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে

৮ রানের ব্যবধানে সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত মাঠ ছাড়ার পর মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয় শক্ত জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। ১৯০ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ার পর দুজন মিলে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েছেন।

দ্রুত ফিরলেন সাকিব-শান্ত

আগের ম্যাচে ৯০ এর ঘরে ফিরলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রান পাননি সাকিব। শান্তর রান বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টায় কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে ১৭ রানে আউট হয়েছেন। ৩২তম ওভারে হিউমের বলে ঠিকমতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি। মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে টেক্টরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার। সাকিবের ফেরার এক ওভার পর আউট হন দারুণ খেলতে থাকা শান্তও। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিক দল। ঘটে ছন্দপতন। শান্ত হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৭৩ রানে ফিরেছেন। তার ৭৭ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার, ২টি ছয়।

লিটনের পর শান্তর ব্যাটে সচল রান চাকা

লিটনের সঙ্গে জুটি ভাঙার পরই ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন শান্ত। এই ব্যাটার ৫৯ বলে ফিফটির দেখা পেয়েছেন। তার ব্যাটেই দ্রুত গতিতে রান জমা হচ্ছে।

সতর্ক শুরুর পর উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে মাত্র ৪২ রান। তার পর লিটন-শান্তর দুর্দান্ত জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৯৬ বলে তাদের পার্টনারশিপ ছুঁয়েছে শতরান। ১০১ রানের জুটি ভেঙেছে লিটনের উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতায়। ক্যাম্ফারের বলে বাজে শটে ক্যাচ দিয়েছেন। তাতে ৭১ বলে ৭০ রানে শেষ হয়েছে তার ইনিংস। লিটনের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছয়। তিনি একই দিন আবার ওয়ানডের ২ হাজারি ক্লাবের সদস্যও হয়েছেন।

৫৩ বলে লিটনের ফিফটি

প্রথম ওয়ানডেতে আইরিশদের বিপক্ষে বড় স্কোর না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন তিনি। তামিম ফিরলেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছেন। ছক্কা মেরে ৫৩ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি তুলে নিয়েছেন।

দলীয় ৪২ রানে তামিমের আউটের পর সতর্ক থেকে খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস। জুটি গড়তে গড়তে একটা পর্যায়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তারা। ১২তম ওভারে ছাড়িয়েছে দলীয় ৫০। দু’জনের ৫০ ছাড়ানো জুটিতে ২০ ওভারে দলীয় স্কোরও দাঁড়ায় ১০০।

১৫ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে রানআউট তামিম

শুরুটা সাবধানী ভঙ্গিতে করলেও পাওয়ার প্লের শেষ দিকে এসে চাহিদা মিটিয়ে রান তুলছিলেন তামিম-লিটন। জন্ম দিনে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের বার্তাও দিচ্ছিলেন তামিম। দশম ওভারে কপাল পুড়ে অহেতুক রান নিতে গেলে। সিঙ্গেল নিতে কল করলে প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়েছেন। অথচ একই ওভারে বাউন্ডারিও মেরেছিলেন। ফেরার আগে ৩১ বলে ৪ চারে ২৩ রান করেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। আউটের আগে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।

তামিম-লিটনের সাবধানী শুরু

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে সাবধানী। প্রথম ওভারে ৩ রান এলেও পরের দুই ওভার কোনও রান তুলতে পারেনি। প্রথম ৫ ওভারে বাউন্ডারিও ছিল একটি। প্রথম বাউন্ডরিটি এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। ৬ ওভার পরই কিছুটা খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন দুই ওপেনার। আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টায় সপ্তম ওভারে তামিম একটি বাউন্ডারি মেরেছেন। পরের ওভারে হিউমের বলে এক চারের সঙ্গে একটি ছক্কাও মারেন লিটন।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত করবে। সিরিজ জয়ের মিশনে সিলেটে এদিন বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়াচ্ছে দ্বিতীয় ওয়ানডে। যদিও আবহাওয়া রিপোর্ট বলছে, ম্যাচ চলাকালে বৃষ্টি হানা দিতে পারে! বলা চলে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ম্যাচটি গড়াতে যাচ্ছে। এমন ম্যাচে টানা দ্বিতীয়বার টস জিতেছে আয়ারল্যান্ড দল। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তারা শুরুতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ রেকর্ড সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের সঙ্গে রেকর্ড ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানেও জিতেছে। সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয় ৯০-এর ঘরে আউট হয়েছেন। তাদের ব্যাটে ভর করেই পরে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে। তার পর অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে আইরিশদের গুটিয়ে দিয়েছে ১৫৫ রানে।

দুই দলেই একাদশে একটি করে পরিবর্তন

মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় এসেছেন পেসার হাসান মাহমুদ। আইরিশ দলেও পরিবর্তন একটি। গ্যারেথ ডেলানির জায়গায় অভিষেক হচ্ছে বামহাতি স্পিনার ম্যাথিউ হামফ্রেসের।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বি, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ।

আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং, স্টিফেন ডোহানি, অ্যান্ডি বালবির্নি (অধিনায়ক), ম্যাথিউ হামফ্রেস, হ্যারি টেক্টর, লর্কান টাকার (উইকেটকিপার), জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্ফার, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার, গ্রাহাম হিউম।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

জেলহত্যা যজ্ঞে কতিপয় সাংবাদিকের ইন্ধন

এসডিজি বাস্তবায়নে যে পরিকল্পনা দ্রুত কার্যকর হবে তাই নেওয়া হবে: শেখ হাসিনা

অতিমারীতেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ

বিজিবি দিবসে ৭২ সদস্যকে পদক পরিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা

‘বাবার রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই নিয়ে আমার মায়ের কোনো অভিযোগ ছিল না’

নিজের ঘরেই সর্বাত্মক চাপের মুখে মামুনুল, হতে পারেন বহিষ্কার

ভাত চেয়ে পোস্টার : ‘স্বপ্ন আউটলেটে’ চাকরির ব্যবস্থা করেছে পুলিশ

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় ৪ নেতার কবরে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা

চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু

ফিরে দেখা ৭ মে ২০০৭ : বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রত্যাবর্তন