1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পর্যটনে একদিন আমরাও পারবো

অধ্যাপক ড. জেবউননেছা : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩
অধ্যাপক ড. জেবউননেছা

সময় পেলেই দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানো আমার একটি শখ। তবে যে দেশেই ঘুরতে যাই না কেন, হৃদয়জুড়ে থাকে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশকে বুকে নিয়ে কয়েক দিন আগে গিয়েছিলাম থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ছোট ছোট বুথে অসংখ্য নারী কর্মকর্তাকে কাজ করতে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এরপর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে বুথ থেকে ডিজিটাল স্লিপ হাতে নিয়ে দেখি একটি ক্রমিক নম্বর দেওয়া আছে। জানা গেলো এই ক্রমিক নম্বরটি বিমানবন্দরের মেঝেতে গাড়ির সারিতে লিখে  রাখা আছে। সেই নম্বর অনুযায়ী এগিয়ে গিয়ে পেলাম একটি সবুজ রঙের গাড়ি।

ওই গাড়িতে চড়ে আমাদের হোটেলে। যেতে যেতে পথে চেখে পড়লো প্রচণ্ড যানজট। অথচ গাড়ির হর্নের কোনও শব্দ নেই। গাড়ির সহকারীদের উচ্চস্বরে শব্দ নেই। রাস্তায় কোনও ধুলোবালি নেই। নিরিবিলি শান্ত শহর। হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম। বের হয়ে দেখি ছোট ছোট টংয়ে ফলের দোকান। ফল বিক্রি করছেন নারীরা। ফলের দোকানের আশপাশে কোনও ময়লা চোখে পড়েনি। প্রতিটি দোকানের সামনে আলাদা করে ময়লা ফেলার জন্য থলে রাখা। সন্ধ্যায় রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় বিভিন্ন দ্রব্যের পসরা বসে। সেখানে বেশিরভাগ বিক্রেতা নারী। ওদিকে মেট্রোরেলের দ্রুতগতিতে ছুটে যাওয়া পরিলক্ষিত করলাম।

পরদিন সকালে গেলাম ব্যাংকক হাসপাতাল। সেখানে গিয়ে চোখে পড়লো বাংলাদেশ মেডিক্যাল সার্ভিস। বেশ কিছু বাংলাদেশির সঙ্গে দেখা হলো। ব্যাংককের হাসপাতালে চোখে পড়লো শিশুদের জন্য ছোট একটি চিলড্রেনস পার্ক। নানা রকমের ফুলগাছ। ভীষণ পরিচ্ছন্ন এবং নিয়মকানুন পরিবেষ্টিত ব্যাংকক হাসপাতাল। হাসপাতালের প্রবেশপথেই সেখানকার কর্মীরা রোগীদের গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন।

পরদিন সকালে পাতায়া শহরের উদ্দেশে গেলাম টুরিস্ট বাসে। বাসে উঠে একটি নির্দেশিকা চোখে পড়লো, জোরে কথা বলা যাবে না। অ্যালকোহল পান করলে ৫০ বাথ জরিমানা। পাতায়া শহরের বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখলাম বহু পর্যটক চেয়ারে, মাটিতে শুয়ে শুয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। পাতায়ার বাসস্ট্যান্ডের বাথরুম ভীষণ পরিচ্ছন্ন। ওখান থেকে গাড়িতে করে গেলাম পাতায়া হোটেলে। যেতে যেতে কোনও ময়লা চোখে পড়েনি। বিকেলে পাতায়া সাগরের পাশে চোখে পড়েনি কোনও ময়লা। চোখে পড়েনি কোনও হকার, ভিক্ষুক, টোকাই।

পরদিন সকালে স্পিডবোটে কোরাল আইল্যান্ড গেলাম। কোরাল আইল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা ভীষণ ভালো লাগলো। কোরাল আইল্যান্ড বিচেও কোনও ময়লা চোখে পড়েনি। পর্যটকদের নানা ধরনের আয়োজন চোখে পড়লো। পরদিন সকালে ফুকেট যাওয়ার উদ্দেশে ট্যাক্সি নিয়ে বের হলাম। পথে চালক তেল নেওয়ার জন্য সিএনজি স্টেশনে গাড়ি থামালো। আমি পরীক্ষামূলক সিএনজি স্টেশনের বাথরুম পরিদর্শন করে বিস্মিত।

নারীদের জন্য আলাদা এবং পুরুষদের জন্য আলাদা। মোট দশটি বাথরুম। ভীষণ চকচকে এবং পরিচ্ছন্ন। সিএনজি স্টেশনে চোখে পড়েনি আবর্জনা। এরপর পৌঁছালাম সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে। লাগেজে সাত কেজি ওজন বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি বাথ পরিশোধ করতে হলো। ফুকেট বিমানবন্দরে পৌঁছে স্থানীয় ট্যাক্সিতে চড়ে শহরে পৌঁছালাম রাত দশটায়। যেতে যেতে চোখে পড়লো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা। ফুট ওভারব্রিজে বাতি জ্বলছে। রাস্তায় একটি ময়লাও চোখে পড়েনি। হোটেলে পৌঁছে বের হলাম রাতের খাবারের উদ্দেশ্যে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি খাবারের হোটেলও খোলা পেলাম না। ফুকেট শহরের রাস্তায় একটি ময়লাও চোখে পড়েনি। একটি বিষয় চোখে পড়লো, রাস্তায় একটিও গাড়ি নেই। অথচ দু-একজন গাড়িচালক ট্রাফিক সংকেত দেখলেই গাড়ি থামিয়ে রাখেন। অথচ রাস্তায় একজন পথচারীও নেই। থাইল্যান্ডে একটি বিষয় ভীষণ পরিলক্ষিত, সেটি হলো প্রতিটি গাড়ি খুব নিয়ম মেনে চলে। গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কোনও কার্যকলাপ চোখে পড়েনি।

পরদিন সকালে ফিফি আইল্যান্ড যাওয়ার জন্য ট্যাক্সিতে চড়ে গেলাম ফুকেটের রাশাদা নদীবন্দরে। সেখানে গিয়ে দেখলাম নারী কর্মীদের উপস্থিতি। সেখানে ইচ্ছে করে টয়লেট পরিদর্শন করলাম। পাতায়া সিএনজি স্টেশনের মতো এখানেও টয়লেট ভীষণ পরিষ্কার এবং নারী-পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। বেশ কয়েকটি টয়লেট। স্পিডবোটে ফিফি আইল্যান্ডে পৌঁছার পর হলো নতুন অভিজ্ঞতা। ঘাটে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমাদের হোটেলের এক কর্মচারী। তিনি আমাদের রিসিভ করে লং টেইল বোটে করে নিয়ে গেলেন রিসোর্টে। সেখানে গিয়েও অসংখ্য নারীকর্মীর উপস্থিতি চোখে পড়লো। সাগরের পাশে কোনও ময়লাও চোখে পড়েনি। সাগরের পানি ভীষণ পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ। পরদিন নতুন রিসোর্টের উদ্দেশে আবার লং টেইল বোটে করে যাত্রা। বিশ মিনিটের রাস্তা হেঁটে রিসোর্টে গেলাম। কারণ, তারা দ্বীপে কোনও যানবাহনের ব্যবস্থা রাখেননি। যেতে যেতে চোখে পড়লো ইট বাঁধানো রাস্তা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছবির মতো দ্বীপ। পরদিন পুনরায় বিশ মিনিট হেঁটে ঘাটে এলাম। সেখান থেকে লং টেইল বোটে চড়ে আরও কয়েকটি দেশের পর্যটকসহ মোট ১২ জন বেরিয়ে গেলাম কয়েকটি দ্বীপে বেড়াতে।

সারা দিনের চুক্তিতে বের হলাম আমরা। প্রায় ৩০ মিনিট সাগরে ভাসতে ভাসতে দেখা মিললো মানকি বিচের। এই বিচটিতে প্রচুর বানর। গিয়ে দেখি প্রচুর পর্যটক। তারা বানর দেখছেন। ওদিকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, বানরকে কোনও খাবার দেওয়া যাবে না। বানরকে অহেতুক বিরক্ত করা যাবে না। এখানে ৩০ মিনিট সময় কাটিয়ে এবারের যাত্রা ব্যাম্বো আইল্যান্ড। এই আইল্যান্ডে প্রচুর বাঁশগাছ। এখানে এসে কৌতূহলবশত টয়লেট পরিদর্শনে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বেশ কয়েকটি টয়লেট।

এখানে দুপুরের খাবার সেরে প্রায় দেড়ঘণ্টা সময় কাটিয়ে এবারের যাত্রা ‘মায়া বে’। এই দ্বীপে পৌঁছে মনে হয়েছে ভীষণ গোছানো এবং সুন্দর ব্যবস্থাপনা। এই দ্বীপে প্রবেশ করতে জনপ্রতি ২০০ বাথ দিতে হয়। অত্যন্ত সুন্দর এই দ্বীপে মানুষের হাঁটার জন্য ইট বাঁধানো রাস্তা। কিছুক্ষণ হেঁটে পাহাড়ের পাশে দ্বীপের সঙ্গে সাগরের পানিতে পর্যটক পা ভিজাতে গেলেই বাঁশি বাজানো হচ্ছে। জানতে চাইলে কর্মরত একজন বললেন, পানিতে শার্কের অবাধ রাজত্ব। মানুষের বিচরণে শার্কের বিচরণ কমে যাবে। আমি দূর থেকে স্বচ্ছ পানিতে শার্কের খেলা দেখতে পেলাম। এখানে প্রায় দেড়ঘণ্টা কাটানোর পর পুনরায় যাত্রা ব্লু লেগুন বিচে। সেখানে পানিতে নেমে স্নোরকেলিং করা যায়। এই দ্বীপে কিছুক্ষণ কাটিয়ে ফেরার সময় দেখা মিললো মসকিউট বিচ এবং হাতি আকৃতির এলিফ্যান্ট বিচ। এই সময়ে পরিদর্শন করতে করতে দুপুর গড়িয়ে যখন বিকেল, তখন যাত্রা ফিফি আইল্যান্ডের দিকে। আমরা যখন ঘাটে তখন সন্ধ্যা হয়। ঘাটের পাশে ওয়াকওয়েতে পাতা চেয়ারে বসে ঘাট সংলগ্ন দোকান থেকে সাগরের মাছ কিনে খেলাম। এই রেস্তোরাঁসহ আশপাশের রেস্তোরাঁতেও নারী কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। এখান থেকে ফিরে যাই রিসোর্টে।

পরের দিন ফুকেটের উদ্দেশে ফেরিতে আরোহণ করে ফিফি আইল্যান্ড থেকে যাত্রা। আমরা ভাবছিলাম বিমানবন্দর থেকে সময় মতো গাড়ি না পেলে ফুকেট বিমানবন্দরে সময় মতো পৌঁছানো কঠিন হবে। হঠাৎ দেখি ফেরিতে একজন কর্মচারী এসে জিজ্ঞেস করছেন সবাইকে। আমি আমার গন্তব্য বলার পর সে বললো, ঘাট থেকে গন্তব্যে পৌঁছার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা আছে। আমরা যেতে পারি। রাজি হয়ে গেলাম। পরে কয়েকজন পর্যটক মিলে ফুকেট বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলাম। ফুকেট বিমানবন্দরে একটি পুতুল আকৃতির মেশিন নিজে নিজে নড়াচড়া করছে আর ময়লা পরিষ্কার করছে। টয়লেটগুলো ঝকঝকে তকতকে। ফুকেট বিমানবন্দর থেকে সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে এসে ট্যাক্সিতে করে সুকুমভিক নামক জায়গায় পৌঁছালাম। যেখানে ছিল আমাদের বুকিং করা হোটেল।

পরদিন আমাদের যাত্রা বাংলাদেশ। আবহাওয়া খারাপ থাকায় দুই ঘণ্টা পর ফ্লাইট ছিল। যথারীতি দেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আরেকটি গাড়িতে উঠি। গাড়িতেই সব যাত্রীর বড় বড় মশার কামড় খেয়ে টানা নয়দিনের নিরবচ্ছিন্ন শব্দবিহীন ভ্রমণের ঘোর কাটে। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ডিজিটাল দরজায় পাসপোর্ট দিয়ে নিজের পরিচয় শনাক্ত করালাম। কিন্তু চোখে যেটা পড়লো, ইমিগ্রেশনের প্রায় ডিজিটাল দরজাগুলো কার্যত বন্ধ। ওদিকে ডিজিটাল পন্থায় শনাক্ত করার পরও এনালগ পদ্ধতিতে কাগজপত্র দেখাতো হলো। জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানালেন, এখনও ডিজিটাল ফটকগুলো যাত্রীদের সেবা দিতে প্রস্তুত নয়। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার পর প্রচণ্ড যানজট। ধুলোবালির আস্তরণে ঢাকা পড়ে গেলো গাড়ির সামনের আয়না, লুকিং গ্লাস। বিকট হর্নের শব্দ। গাড়ির সহকারীদের বিকট চিৎকার। প্রায় আড়াই ঘণ্টা যানজটে থেকে চোখে ভাসছিল ব্যাংককের সব ক্ষেত্রে সুব্যবস্থাপনার চিত্র।

মনে মনে একটি প্রশ্ন বারবারই আসছিল, আচ্ছা ব্যাংকক, পাতায়া, ফুকেটের রাস্তায় দিনের বেলায়ও কোনও ময়লা চোখে পড়েনি, রাতের বেলায়ও ময়লা চোখে পড়েনি। তাহলে তারা রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করে কখন? প্রতিটি জায়গায় এত উচ্চমানের টয়লেট ব্যবস্থাপনা কী করে সম্ভব? রাস্তায় গাড়ির অকারণে হর্ন বন্ধ করলো কী করে? হাসপাতাল যেন একটি পার্কের মতো। এত সুন্দর ধারণা পেলো কোথায়? সাগরের তীর এত পরিষ্কার কী করে রাখে?

পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য তাদের এত সুন্দর ব্যবস্থাপনার প্রবর্তক কে? সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাংককের রাজধানীতেও প্রচুর যানজট আছে। সেই যানজট নিরসনের জন্য সুব্যবস্থাও করে রেখেছে। ট্যাক্সির সারিতে ট্যাক্সি, বাসের সারিতে বাস। তবে ব্যাংকক, ফুকেট ও পাতায়ার রাস্তাগুলো বেশ প্রশস্ত। এই এত সুন্দর ব্যবস্থাপনা যাদের তাদের তো পর্যটক আকৃষ্ট হবেই এবং হাসপাতালগুলোতে বিদেশি রোগীদের সংখ্যা বাড়বেই।

নানান রকম ভাবনা ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসি। প্রচণ্ড ক্লান্ত দেহে রাতের খাবার সেরে ঘুমাতে গিয়ে ঘুম আসতে চায় না। মাথায় শুধু একটিই প্রশ্ন,  আমাদের দেশটি এমন গোছানো কবে হবে? এই তো একযুগ আগেও আমাদের দেশে মেট্রোরেলের কোনও ধারণা ছিল না। ছিল না পদ্মা সেতুর ধারণা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই অসম্ভবকে সম্ভব  করেছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ ডিজিটালের গণ্ডি পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। সব ধারণারই বাস্তবায়ন সম্ভব যদি সব ক্ষেত্রে জবাবদিহি, স্বচ্ছতা, সুশাসন, দেশপ্রেম বজায় থাকে এবং দুর্নীতির মূলোৎপাটন হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪-এ জাতিসংঘে ভাষণে বলেছিলেন, ‘আত্মনির্ভরশীলতাই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগই আমাদের নির্ধারিত কর্মধারা’।

সত্যি তাই। দেশের জনগণ অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে যদি পালন করেন এবং সবাই যদি মনে করেন এই দেশকে আমরা পরিবর্তন করবোই, তাহলেই সম্ভব হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। সাদা হাতির দেশ থাইল্যান্ড যদি পারে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের দেশ বাংলাদেশও পারবে। সেই স্বপ্ন দেখছি দিনমান।

লেখক : ড. জেবউননেছা – অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ