হেফাজত নেতা মামুনুল হক তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আলেমে দ্বীন মাওলানা শরীফ শহীদুলের স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে আনন্দ করতে গিয়ে স্থানীয় জনগণের হামলার মুখে পড়েছেন। শনিবার বিকাল ৩টায় রয়াল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়।
পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারী নাম আমিনা তৈয়ব। তিনি মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। জেরাকারীরা তার বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ তুললে মামুনুল হক জানান, আল্লাহর নামে শপথ নিয়ে বলছি, তিনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমরা শরীয়ত সম্মতভাবেই বিয়ে করেছি। আমার কাছে প্রমাণ আছে। সাক্ষী আছে। তবে নিজের স্ত্রীর কাছে ফাঁস হওয়া ফোনালাপে জনৈক শহিদুলের স্ত্রী জানিয়ে মিনমিন করে মামুনুল, এতেই বোঝা যায় পতিতা নিয়েই দামি হোটেলে একান্ত সময় কাটাতে যায় হেফাজত নেতা মামুনুল। হোটেল কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে তার একমাত্র স্ত্রী ‘আমেনা তৈয়বা’ নামেই হোটেলে এন্ট্রি করে, আসলে সে ২য় স্ত্রী হয়ে থাকলে এই নাম দিলো কেন?
আর জনৈক শহিদুলের স্ত্রী হয়ে থাকলে আল্লাহর নামে কসম খেয়ে নিজের স্ত্রী দাবী করলো কেন? এটা কি আল্লাহকে অপমান করা নয়? আর অন্যের স্ত্রী নিয়ে কি কেউ হোটেলে যেতে পারে? মামুনুল হকরা ইসলামি আইন চায় দেশে, ইসলামি বিধানে তো এই অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। পরে এসব মিথ্যাচার ও কথার গরমিল লুকাতে সে বন্ধুর বউকে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে, অথচ তার ১ম স্ত্রী জানেই না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মামুনুল হক সকালে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষটিতে উঠেন। দুপুর থেকেই এলাকায় চাউর হয় মামুনুল হক এক নারীসহ রিসোর্টে অবস্থান করছেন। এই খবরে এলাকার লোকজন রিসোর্টটি ঘেরাও করে। পরে নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায় ঐ নারী আসলে ভাড়াটে পতিতা ছিলো।