1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উগ্রবাদী মতাদর্শ নিতে পাকিস্তানে যান মামুনুল : তার শ্বশুরের আপন ভায়রা ভাই খুনি ডালিম

সুভাষ হিকমত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি শরিফুল হক ডালিম ওরফে মেজর ডালিমের সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তার শ্বশুরের আপন ভায়রা ভাই হচ্ছেন মেজর ডালিম। এ তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ।
রিমান্ডে থাকা মামুনুল হকের বিষয়ে তথ্য তুলে ধরতে রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নিজের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য দেন।

গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ এপ্রিল তাকে একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবসহ বিভিন্ন ঘটনায় ১৭টি মামলা রয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী আন্দোলনের সময় সহিংসতার মূলহোতা হিসেবেও মামুনুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

ডিসি হারুন বলেন, ভগ্নিপতি নেয়ামত উল্লাহর মাধ্যমে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয় মামুনুলের। ২০০৫ সালে তিনি পাকিস্তানে যান। সেখানে ৪০ দিন অবস্থান করেন। পরে জঙ্গি ও উগ্রবাদী মতাদর্শ নিয়ে দেশে ফেরেন। দেশে এসে বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটান। এছাড়া সরকার উৎখাতে মামুনুল হক সব ধরনের পরিকল্পনাও করেন।
‘বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর ডালিম হচ্ছেন মামুনুল হকের শ্বশুরের আপন ভায়রা ভাই। পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী, গ্রেনেড হামলার আসামি এবং জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ছক এঁকেছিলেন মামুনুল হক। তার ভাই মাহফুজুল হক কোনো মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে’—বলেন হারুন-অর-রশীদ।

মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফয়দা নেয়ার পাঁয়তারা করছিলেন মামুনুল। রিমান্ডে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে অবস্থানে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কথার বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এছাড়া বিভিন্ন বক্তব্যের বিষয়েও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি মামুনুল।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ