নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচার চেয়ে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন হেফাজতে ইসলামের এক কেন্দ্রীয় নেতা।
শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহিম কাসেমী এই ঘোষণা দেন।
মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমি হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে তার সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠিয়ে দেন।
লিখিত বক্তব্যে কাসেমি বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমস্ত মাদরাসাসমূহের শিক্ষক ও ছাত্রদের এ সমস্ত দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি।”
গত ২৬ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় একদল মাদ্রাসা ছাত্র। তারা রেলওয়ে স্টেশন, ভূমি অফিস, থানাসহ বহু সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্থাপনা জ্বালিয়ে দেয়। এই সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
বক্তব্যে কাসেমি আরও বলেন, “রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতি করা এবং হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাদের (হেফাজত) সকল প্রকার নাশকতামূলক কার্যক্রমকে শরীয়তসম্মতভাবে অবৈধ মনে করি। আমি হেফাজতে ইসলামের চলমান কোনো কার্যক্রমের সাথে জড়িত নই।”
তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সকল কার্যক্রম এবং জাতীয় ও জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করে এই তাণ্ডবের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আবেদন জানান।
“আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সকল কার্যক্রম এবং জাতীয় ও জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।”
এই ব্যাপারে জেলা হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য জানতে কয়েকজনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে রাতে জেলা হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান বলেন, সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে পরে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয় যাদের মধ্যে একদল মাদ্রাসা ছাত্রও রয়েছে। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মিলনায়তন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।
এসব ঘটনায় ৫৫টি মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলোতে এজহারভুক্ত আসামি ৪১৪ জন; আর অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও বেশি। এসব মামলায় এই পর্যন্ত ৩৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমি হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে তার সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠিয়ে দেন।
লিখিত বক্তব্যে কাসেমি বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমস্ত মাদরাসাসমূহের শিক্ষক ও ছাত্রদের এ সমস্ত দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি।”
গত ২৬ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় একদল মাদ্রাসা ছাত্র। তারা রেলওয়ে স্টেশন, ভূমি অফিস, থানাসহ বহু সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্থাপনা জ্বালিয়ে দেয়। এই সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
বক্তব্যে কাসেমি আরও বলেন, “রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতি করা এবং হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাদের (হেফাজত) সকল প্রকার নাশকতামূলক কার্যক্রমকে শরীয়তসম্মতভাবে অবৈধ মনে করি। আমি হেফাজতে ইসলামের চলমান কোনো কার্যক্রমের সাথে জড়িত নই।”
তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সকল কার্যক্রম এবং জাতীয় ও জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করে এই তাণ্ডবের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আবেদন জানান।
“আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সকল কার্যক্রম এবং জাতীয় ও জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।”
এই ব্যাপারে জেলা হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য জানতে কয়েকজনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে রাতে জেলা হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান বলেন, সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে পরে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয় যাদের মধ্যে একদল মাদ্রাসা ছাত্রও রয়েছে। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মিলনায়তন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।
এসব ঘটনায় ৫৫টি মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলোতে এজহারভুক্ত আসামি ৪১৪ জন; আর অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও বেশি। এসব মামলায় এই পর্যন্ত ৩৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।