1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফিলিস্তিনে সংসদীয় নির্বাচন স্থগিত করে ইসরায়েলকে দায়ী করলেন মাহমুদ আব্বাস

অশোক আখন্দ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১

পূর্ব জেরুজালেমবাসীর নির্বাচনে অংশ নেয়ায় অনিশ্চয়তা এবং নিজ দলের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে মতবিরোধের কারণে ২২ মের সংসদীয় নির্বাচন স্থগিত করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর ও গাজায় নির্বাচন হতে পারবে কি না, তা নিয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। এ কারণে শুক্রবার স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেন ৮৫ বছর বয়সী আব্বাস।
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে ১৫ বছর পর ২২ মে সংসদীয় ও ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন আব্বাস। ওই ঘোষণার তিন মাস পর সংসদীয় নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
নির্বাচন হলে প্রেসিডেন্ট আব্বাসের প্রধান প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
 
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনে শেষ সংসদীয় নির্বাচনে হামাসের জয় হয়। পরের বছর দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় হামাস। ওই অঞ্চলে হামাসের নিয়ন্ত্রণ শুরুর পর সেখানে অবরোধ আরোপ করেছিল ইসরায়েল।
নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে আব্বাস বলেন, ‘সংকটময় এ পরিস্থিতিতে আমরা সংসদীয় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচনে জেরুজালেমের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’
এদিকে সংসদীয় নির্বাচনের প্রার্থীকে ঘিরে বিভক্তি দেখা দিয়েছে আব্বাসের ফাতাহ পার্টিতে। দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী নেতা প্রয়াত ইয়াসির আরাফাতের ভাইয়ের ছেলে কারাবন্দি ফাতাহ নেতা মারওয়ান বারঘোটি ও নাসের আল-কুদওয়া নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় এ বিরোধ দেখা দেয়। ওইসব প্রার্থীর নাম আব্বাস ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় ছিল না।
আগের নির্বাচনগুলোতে ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পোস্ট অফিসগুলোতে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুমতি দিয়েছিল ইসরায়েল। এবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের আবদার রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব না।
 
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হাসান আয়ুব বলেন, পূর্ব জেরুজালেমবাসী বিকল্প পথে ভোট দিতে পারে। বিষয়টি ইসরায়েল ভালো করেই জানে। কিন্তু দেশটিকে এ নিয়ে চাপ দিতে আগ্রহী নন আব্বাস।
সংসদীয় নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানায়, সংসদীয় নির্বাচন পেছাতে আব্বাসের সিদ্ধান্তের পর নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনে শুক্রবার থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু হওয়ার কথা ছিল।
 
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে হামাস। তারা একে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করে।
হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করি। নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এর পরিণতির দায় আব্বাসকে নিতে হবে।’
এ ছাড়া নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় গাজা ও পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ করেছেন অনেক ফিলিস্তিনি।
পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে ওয়েল ডেস নামের এক বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, ‘তরুণ ফিলিস্তিনি হিসেবে আমি নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। ভোটের মধ্য দিয়ে আমি নতুন নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক অবস্থান দেখতে চাই।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ