1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সম্ভাবনা জাগিয়েছে জাহাজ ভাঙা শিল্প

অলোক আচার্য : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নতি সাধন করতে সমর্থ হয়েছে। এর মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে শিল্প খাত, অন্যদিকে রয়েছে কৃষি খাত। শিল্প খাতের বহুমুখীকরণ অর্থাৎ নিত্যনতুন শিল্পে অগ্রসর হওয়ার ফলে অর্থনীতির গতিও তরান্বিত হচ্ছে। জাহাজ ভাঙা শিল্পও আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। শুধু আমাদের দেশের অর্থনীতিই নয়, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এই শিল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি হচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও জাহাজ ভাঙা শিল্পের অবদান রয়েছে।

বিশ্বের পরিত্যক্ত জাহাজের প্রায় ৭০-৮০ ভাগ জাহাজ রিসাইক্লিং করা হয়। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে বা অন্য কোনো কারণে যখন জাহাজ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে, তখন সেগুলো রিসাইক্লিং করে বিক্রি করা হয়। এই শিল্পের আলাদা গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। এখানে কর্মসংস্থান বাড়ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো মনোযোগী হচ্ছে এই শিল্পে। বাংলাদেশ জাহাজ ভাঙা শিল্পে পৃথিবীতে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস, মেশিনারিসহ বিভিন্ন শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে জাহাজ ভাঙা শিল্পে। এই শিল্প দ্রুত বিকাশের পেছনে কারণ হিসেবে শ্রমিকের সহজলভ্যতা, কাঁচামালের জোগান ইত্যাদির কথা বলা যায়। জাহাজ ভাঙা শিল্প যে অঞ্চলে গড়ে উঠেছে, সে অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকার উত্স এই শিল্প। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এই শিল্প গড়ে উঠেছে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।

আলপাইন নামের একটি জাহাজ বাংলাদেশের সমুদ্রসৈকতে বিকল হয়ে পড়লে সেটিকে এলাকার মানুষ ও চট্টগ্রাম স্টিল মিলের শ্রমিক একত্রিত হয়ে রশি দিয়ে টেনে সমুদ্র তীরে নিয়ে আসে। তারপর সেটিকে ভেঙে নির্মাণশিল্পে ব্যবহারের উপযোগী করার মধ্য দিয়ে এই শিল্পে যাত্রা শুরু হয়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ একাই বিশ্বের ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ জাহাজ রিসাইকেল করে এ স্থান দখল করেছে। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের জাহাজ ভাঙা শিল্পে প্রথম অবস্থানেই ছিল। বেলজিয়ামভিত্তিক গবেষণা সংস্থা শিপ ব্রেকিং প্লাটফর্ম-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালেও জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে ছিল।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকারস অ্যান্ড রিসিক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ২০১৫ সালে ২২১টি, ২০১৬ সালে ২৫০টি, ২০১৭ সালে ২১৪টি, ২০১৮ সালে ১৯৬টি এবং ২০১৯ সালে ২৩৬টি জাহাজ পুনর্ব্যবহারের জন্য ভাঙা হয়। জাহাজ ভাঙা শিল্পের এই বিশাল অগ্রগতি স্বীকার করলেও এর পরিবেশগত দিক নিয়েও রয়েছে সমালোচনা। এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও তাদের স্বাস্থ্যগত দিকের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে সবার আগে। তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হবে। পরিবেশগত ঝুঁকির দিকগুলো চিহ্নিত করে তা কীভাবে দূর করার মাধ্যমে এই বিকাশমান শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ