1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মৌলভীবাজারের করলা গ্রামে এবারও বাম্পার ফলন

মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এ বছর ৩০ হেক্টরের বেশি জমিতে করলার চাষ হয়েছে; যার ৯০ শতাংশই পাড়ের টং গ্রামে। কয়েক দশক ধরে করলা চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় পাল্টে গেছে গ্রামের নাম; নতুন নামকরণ হয়েছে ‘করলার গ্রাম’। কারো কাছে আবার সবজী গ্রাম নামেও পরিচিত।

তবে যে নামেই ডাকুন না কেন গ্রামের আদি নাম পাড়ের টং। এটি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের একটি গ্রাম।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুক মিয়া জানান, গ্রামটিতে শতাধিক একর জমিতে লালতীর সীডের টিয়া ও টিয়া সুপার জাতের করলা চাষ করেছেন কৃষকরা। করলা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শতাধিক কৃষক। পাশাপাশি ক্ষেতে মজুরি দিয়ে লাভবান হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

গ্রামের ভিতর প্রবেশের পর দৃষ্টিজুড়ে দেখা মেলে করলা ক্ষেত। সবুজ পাতায় ঘেরা মাচায় থরে থরে ঝুলছে করলা।

করলা চাষি মো. নসু মিয়া জানান, তিনি প্রথম পাড়ের টং গ্রামে লাল তীর সীডের টিয়া জাতের করলা বীজ বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। পরে তার ভালো ফলন দেখে অনেকে করলা চাষ শুরু করেন।

“গ্রামের অনেক মানুষ এখন করলা চাষ করছেন। তারা স্বাবলম্বী হইছে এটা দেখে আমার ভালো লাগে। এখনও কেউ আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসলে আমি সাহায্য করি।”

গৃহবধূ আমেনা বেগম বলেন, “আমার নিজের জমি নাই। প্রতিদিন অন্যের ক্ষেতে কাজ করে ৩০০-৪০০ টাকা মজুরি পাই।”

স্থানীয়রা জানান, করলাসহ অন্যান্য সবজি বেচাকেনার জন্য গ্রামটিতে খোলা পাড়ের টং কালেকশন পয়েন্ট বাজার গড়ে উঠেছে। সেখানে করলা কিনতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য পাইকার ভিড় করেন।

পাড়ের টং কালেকশন পয়েন্ট বাজারের সাধারণ সম্পাদক মো. হামদুল হক বলেন, “এখানে আমরা একটা দাম নির্ধারণ করে দেই। সেই দামে সবজি কিনে নিয়ে যান পাইকাররা। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার কেজি করলা এই পয়েন্ট থেকে বিক্রি হয়ে থাকে।

লালতীর সীড লিমিটেডের ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী জানান, গ্রামটিতে ধান, কচু, লতাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়ে থাকে। এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারই করলা চাষের সঙ্গে জড়িত।

“আমরা এই গ্রামের চাষিদের কাছে প্রথমে টিয়া ও পরে টিয়া সুপার জাতের করলা চাষ করার পরামর্শ দেই। এতে তারা ভালো ফলন পেয়েছেন। এ ফলন আমাদের আশার চেয়েও বেশি।”

তিনি আরও বলেন, করলার টিয়া ও টিয়া সুপার একটি হাইব্রিড জাত। এটি উচ্চতা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু। তীব্র শীত ছাড়া সারা বছর এটি চাষ করা যায়। খেতে হালকা তিতা, নরম ও সুস্বাদু।

প্রতিটি ফল ২৮ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা; ওজন ২৫০-২৮০ গ্রাম। একর প্রতি ১২-১৩ টন ফলন হয়। রোপণের ৪২ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ শুরু করা যায়।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যান লাল তীর সীড মার্কেটিং এর প্রধান ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ জহির আহমেদ। তিনি করলার বাম্পার ফলন দেখে অভিভুত হওয়ার কথা জানান।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, করলা চাষ লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন এর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ উপজেলায় চলতি বছর ৩০ হেক্টরের বেশি জমিতে করলা চাষ হয়েছে; যার ৯০ শতাংশই পাড়ের টং গ্রামে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ