1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং সংকট ও বাংলাদেশের যা করণীয়

নিরঞ্জন রায় : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩

পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং সংকট যে এত দ্রুত খারাপের দিকে চলে যাবে, সেটি এই খাতের পণ্ডিত ব্যক্তিরাও আঁচ করতে পারেননি। আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক পতনের পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে একটি আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ব্যাংক, ক্রেডিট সুইস যেভাবে ধসে পড়েছে, তা পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের জন্য এক সুনামির বার্তা নিয়ে এসেছে। ক্রেডিট সুইস ধসের পরপরই বিশ্বের আরো একটি অন্যতম বৃহত্তম ব্যাংক জার্মানির ডয়েচ ব্যাংকও একই ধরনের সংকটের মুখোমুখি, যদিও এই ব্যাংক কয়েক বছর ধরেই খারাপ সময় পার করছিল; তার পরও এভাবে সংকটে পড়ার কথা নয়। জার্মানির আরেক বৃহত্তম ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক সম্পর্কেও নানা কথা বাজারে প্রচলিত আছে। কোনো কারণে যদি জার্মানির ডয়েচ ব্যাংক এবং কমার্স ব্যাংকও সুইস ব্যাংকের মতো দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি বরণ করে, তাহলে উন্নত বিশ্বের ব্যাংকিং খাত কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা কেউ জানে না। অবস্থার এমন ভয়াবহতায় উন্নত বিশ্বের ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও প্রধান নির্বাহীদের মুখে আর কোনো কথা নেই। অবস্থা বলা কঠিন যে এই সংকটের কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকে কোনো সমস্যা হবে কি না। তার পরও আমার ব্যাংকিং পেশার অভিজ্ঞতা এবং যেভাবে ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করেছি, তাতে স্পষ্ট করেই বলা যেতে পারে যে পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং খাতের সংকটের কারণে আমাদের দেশের ব্যাংকে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে এভাবে বলা যেতে পারে যে পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংক সংকটের কারণে আমাদের দেশের কোনো ব্যাংকের সংকটে পড়ার মতো কোনো অবস্থা আমাদের দেশে তৈরি আপাতত হবে না। শুধু আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত কেন, ভারতসহ এশিয়া তথা ইমার্জিং মার্কেটের ব্যাংকিং খাতের তেমন কোনো সমস্যা এই পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং সংকটের কারণে দেখা দেবে না বলে আশা করা যায়। মোটকথা, আমাদের দেশে ব্যাংকের তারল্য সমস্যা, গ্রাহকের অর্থ প্রদানে সমস্যা, কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়া বা গ্রাহকের অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা আমাদের দেশে আপাতত যে ঘটবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। কারণ উন্নত বিশ্বের ব্যাংকের মতো বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক উচ্চঝুঁকির হাইব্রিড প্রডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করে না। যেমন—১. ব্যাংলাদেশের কোনো ব্যাংক স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালে ব্যাপক হারে ডলারে বা বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগ করেনি। ২. বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক নিম্নমানের ডলার বন্ডে বিনিয়োগ করেনি। ৩. বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক হেজ ফান্ড বা মানি ম্যানেজারদের কাছ থেকে ডলারে ডিপোজিট সংগ্রহ করেনি। ৪. বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের শেয়ার উন্নত বিশ্বের স্টক মার্কেটে নিবন্ধিত হয়ে সেখানে ট্রেডিং হয় না। এসব কারণে পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং সংকটে আমাদের দেশের ব্যাংক সেভাবে সমস্যায় পড়বে না। যদি কোনো ব্যাংক উল্লিখিত লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের অবশ্যই কিছু আগাম প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হবে। আমার জানা মতে সে রকম কোনো ব্যাংক বাংলাদেশে নেই।

এ কথা অনস্বীকার্য যে মুক্তবাজার অর্থনীতির স্বর্গরাজ্য বলে খ্যাত আমেরিকা, ইউরোপের ব্যাংকিং খাত সংকটে পড়লে তার কোনো আঁচড় বিশ্বের অন্য কোথাও পড়বেই। এখন বিশ্বায়নের যুগ। বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেন এত ব্যাপক এবং এমনভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে কোনো একটি দেশের ব্যাংকিং খাতে সমস্যা দেখা দিলে তা বিশ্বের আরো অনেক দেশেও প্রভাব ফেলবে—এমনটাই স্বাভাবিক। তা ছাড়া কয়েক দশক ধরে বিশ্বের ব্যাংক ব্যবসা এবং আর্থিক লেনদেন অতিমাত্রায় পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে আমেরিকানির্ভর হয়ে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং খাত যখন সংকটে পড়বে, তখন তার প্রভাব যে একেবারে অন্যান্য দেশে পড়বে না, তেমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সেই বিবেচনায় পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংক খাতের যে চলমান সংকট তার কিছু প্রভাব আমাদের দেশেও পড়তে পারে। সেই প্রভাবের ধরন বা মাত্রা মোটেই ব্যাংকের তারল্যসংক্রান্ত বা অভ্যন্তরীণ লেনদেনসংক্রান্ত নয়। আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হবে বলেই ধারণা করা যায়। আর এ কারণে আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখা প্রয়োজন।

প্রথমেই গুজবের ব্যাপারে আগে থেকেই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং সংকট, বিশেষ করে কোনো একটি ব্যাংক বন্ধ হওয়ার সংবাদকে কেন্দ্র করে কোনো বিশেষ মহল যাতে গুজব ছড়িয়ে এ খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এমনিতেই আমাদের দেশে গুজব ছড়িয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করার নজির যথেষ্টই আছে। এমনকি কিছুদিন আগে এই ব্যাংকিং খাত নিয়ে গুজব ছড়িয়ে কী ভয়ংকর অস্থিরতা সৃষ্টি করে তুলেছিল। আর এখন তো উন্নত বিশ্বে আসল সংকট চলছে, যা গুজব সৃষ্টিকারীদের জন্য ভালো উপাদান হিসেবে কাজ করতে পারে। পরিকল্পিত গুজবের কারণে একটি ভালো ব্যাংকও মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যেতে পারে। গুজব যে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা একটি ব্যাংকের জন্যও কী ভয়ংকর বিপদ হতে পারে তার বড় উদাহরণ আমাদের প্রতিবেশী দেশের একটি ব্যাংক। ভারতের শামরাও ভিথাল কো-অপারেটিভ (Shamrao Vithal Co-operative)ব্যাংক, যাকে সংক্ষেপে এসভিসি বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। যেহেতু আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংককেও সংক্ষেপে এসভিবি বলে আখ্যায়িত করা হয়, সে কারণেই দুটি ব্যাংকের সংক্ষিপ্ত নামে যথেষ্ট মিল আছে। তাই বিষয়টি নিয়ে গুজব রটনাকারীরা এই মর্মে অপপ্রচার চালাতে থাকে যে ভারতের এসভিসি ব্যাংক ও আমেরিকার এসভিবি ব্যাংক একই এবং তারাও খুব শিগগির বন্ধ হয়ে যাবে। এতেই ব্যাংকটি বিপদে পড়ে যায়। কারণ গ্রাহকরা হন্যে হয়ে ব্যাংকে ভিড় জমায় তাদের সঞ্চয় উঠিয়ে নেওয়ার জন্য। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিছুতেই গ্রাহকদের বোঝাতে পারছিল না যে এই দুটি ব্যাংক সম্পূর্ণ পৃথক এবং ভারতের এসভিসি ব্যাংকের সঙ্গে আমেরিকার এসভিবি ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই। এ রকম নামের মিল যে আমাদের দেশের দু-একটি ব্যাংকের সঙ্গে নেই, তেমন নয়। যেমন—বাংলাদেশের ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক এবং আমেরিকার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ব্যাংক। এ কারণেই সময় থাকতে সম্ভাব্য গুজব সৃষ্টির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে রাখতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে গুজব সৃষ্টির আগে। গুজব সৃষ্টির পরে পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও কিছু সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। এমনিতেই আমাদের দেশের এলসি অ্যাডভাইস এবং অ্যাডকনফার্ম করার মতো ব্যাংকের সংখ্যা পশ্চিমা বিশ্বে খুব বেশি নেই। কারণ আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো সেভাবে অধিকসংখ্যক করেসপনডেন্ট রিলেশনশিপ রাখতে পারেনি। যে হাতে গোনা দু-একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি অ্যাডভাইস বা অ্যাডকনফার্ম করার সুযোগ আছে, সেসব ব্যাংকও এখন বেশি সতর্ক হবে। ফলে আমাদের দেশের আমদানিকারকদের এলসি খুলতে, বিশেষ করে এলসিতে অ্যাডকনফার্ম করাতে সমস্যা হতে পারে। এ জন্য আমদানিকারকদের আগে থেকেই রপ্তানিকারকের সঙ্গে বিষয়টি সুরাহা করে নিতে হবে যে বিরাজমান পরিস্থিতিতে কোনো ব্যাংক এলসি অ্যাডকনফার্ম করতে চাইছে না, তাই তাদের আপাতত অ্যাডকনফার্ম ছাড়াই এলসি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকরা অবশ্য একটু বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন। কেননা তাঁরা এলসি পেয়ে পণ্য পাঠিয়ে যদি দেখেন যে সেই ব্যাংক সংকটে পড়ে গেছে, তখন তাঁদের রপ্তানিমূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাবে। যেমন—কোনো রপ্তানিকারক যদি ক্রেডিট সুইসের ইস্যু করা এলসির বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে থাকেন, তাহলে তাঁরা তাঁদের সেই রপ্তানিমূল্য কবে পাবেন বা আদৌ পাবেন কি না, তা এখন প্রায় অনিশ্চিত। রপ্তানিকারকদের অবশ্য এ ধরনের ঝুঁকি এড়ানোর সুযোগ একেবারেই কম। আমাদের দেশের রপ্তানিকারকরা যেন দীর্ঘমেয়াদি ডেফারড বা টার্ম এলসি এড়িয়ে চলেন এবং তার পরিবর্তে সাইট এলসি গ্রহণের চেষ্টা করেন। আমাদের দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য প্রাপ্ত এলসির বেশির ভাগই ১২০/৯০/৬০ দিনের ডেফারড বা টার্ম এলসি। পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং সংকটের সময় এ ধরনের ডেফারড বা টার্ম এলসি যত এড়িয়ে চলা যাবে, ততই ভালো। কাজটি মোটেই সহজ নয়, তবে চেষ্টা থাকতে হবে ।

আমাদের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমেরিকা ও ইউরোপের যেসব ব্যাংকের সঙ্গে তাদের নস্ট্রো হিসাব রাখে, সেখানে এখন সর্বনিম্ন ব্যালান্স রাখতে হবে। নস্ট্রো হিসাব হচ্ছে আমাদের দেশের ব্যাংকের এমন একটি হিসাব, যা তারা বিদেশের কোনো ব্যাংকের সঙ্গে সংরক্ষণ করে এবং সেখানে তাদের বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখে। আমি অবশ্য এসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক সার্কুলার সম্পর্কে অবহিত নই। যদি সাম্প্রতিক সার্কুলার অনুযায়ী আমাদের ব্যাংকগুলোর তাদের নস্ট্রো হিসাবে সর্বনিম্ন অর্থ রেখে বাকি অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে সারেন্ডার করার বিধান থাকে, তাহলে খুবই ভালো। কিন্তু যদি না থাকে, তাহলে এই পদ্ধতি অবিলম্বে কার্যকর করা প্রয়োজন। অর্থাৎ প্রতিটি ব্যাংক তাদের নস্ট্রো হিসাবে সর্বনিম্ন ব্যালান্স রেখে বাকিটা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হিসেবে ট্রান্সফার করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ যেহেতু আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ফেডারেল রিজার্ভে জমা থাকে, তাই সেখানে বর্তমান সংকটের কোনো ঝুঁকি থাকবে না। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি তাদের রিজার্ভের কিছু অংশ আমেরিকা ও ইউরোপের কোনো ব্যাংকে জমা রেখে থাকে, তাহলে সেই অর্থ দ্রুতই ফেডারেল রিজার্ভে স্থানান্তর করে ফেলা উচিত, যাতে ব্যাংক বন্ধের কোনো রকম ঝুঁকি না থাকে। যেসব ব্যাংকের সঙ্গে নস্ট্রো হিসাব আছে, তাদের প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ বা মনিটর করা প্রয়োজন। এ কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা রাখতে হবে। তারা একটি বিশেষ কমিটি করে দেবে, যাদের কাজই হবে নস্ট্রো হিসাব আছে এমন ব্যাংক পর্যবেক্ষণ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া, যাতে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে। একটি কথা বিবেচনায় রাখতে হবে যে ক্রেডিট সুইসের মতো বিশাল ব্যাংক যদি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তাহলে বিশ্বের যেকোনো ব্যাংক যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাংকিং খাতের সংকট ক্রমেই যে জটিল আকার ধারণ করছে, তা যে কোথায় গিয়ে শেষ হবে, সেটি কেউ আঁচ করতে পারছে না। তাই আমাদের ব্যাংকিং খাতেরও কিছু আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে রাখার কোনো বিকল্প নেই।

লেখক: নিরঞ্জন রায় – সার্টিফায়েড অ্যান্টিমানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ