ফায়ার ফাইটারদের অদম্য চেষ্টায় বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রেখে গেছে হতভাগ্য মানুষের কান্না, অসহায় আকুতি ও বিপন্ন ভবিষ্যৎ। উন্নত দেশেও আগুন লাগে। সিডনির বুশ ফায়ার নামে পরিচিত বনের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে। বন, ঘর, বাড়ি সবকিছু পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। কয়েকদিন লেগে যায় নেভাতে। কিন্তু কেউ তাদের উপর হামলা করে না। দমকল বাহিনীর অফিসে গিয়ে ভাঙচুর করে না। তাদের আহত করে হাসপাতালে পাঠায় না।
একবার ভাবুন, কী করছিলেন আপনারা? ওরা যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনের লেলিহান শিখার সঙ্গে লড়াই করছিলো আপনারা তখন দলে দলে ভিডিও করছিলেন। সাহায্য দূরে থাক কেউ কেউ বেঁচে যাওয়া কাপড় লুট করতেও ছাড়েননি। যে কারণে মাইকিং করে বলা হচ্ছিলো, চুরি না করতে। কী লজ্জা। কী লজ্জা।
সভ্য সমাজে এদের বলা হয় ফায়ার ফাইটার। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি এ্যবটও ছিলেন একজন গর্বিত ফায়ার ফাইটার। বিপদে বন্ধুর পরিচয়। এই কথাটা মিথ্যা নয়। নিজেরাই বলুন আপনার কি বন্ধু? যারা বাকি মানুষদের সম্মান ও দেশের মুখ ডুবিয়েছেন। ফায়ার ফাইটারদের স্যালুট। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা। সেই সব আপনাদের জানাই ধিক্কার।
লেখক : অজয় দাশগুপ্ত – ছড়াকার