1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাহাবীদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য ও এলেমের অভাবে মধ্যপ্রাচ্যে নিষিদ্ধ সাঈদী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৩ মে, ২০২০

সাহাবিদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য “কাতারের র্ধম মন্ত্রণালয় এবং ফানার কাতারে অবস্থানকালীন আর কোনো সমাবেশে কিংবা সভায় মাওলানা সাঈদীর বক্তৃতা দেওয়ার ওপর নিষেধোজ্ঞা জারি করে । শুধু তাই নয়, এ লোক (সাঈদী) যেন ভবিষ্যতে আর কোনোদিন কাতারে ঢুকতে না পারে- সে মোতাবেক তার নামে স্থায়ীভাবে নিষেধোজ্ঞাও জারি করা হয় । এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেশটির ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । জানা গেছে, এ নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ আছে ।”
ফানার (FANAR)নামে কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টার আছে। ‘ফানার’ সেন্টার কাতারে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের মুসলিম নাগরিকদের জন্য তাদের স্বদেশি আলেমদের আমন্ত্রণ জানিয়ে কাতারে মাহফিলের ব্যবস্থা করে থাকে।
সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অনুরোধে ফানার বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকেও আলেমদের আমন্ত্রণ জানিয়ে কাতারে প্রবাসীদের উদ্দেশে বয়ান ও নসিহতের ব্যবস্থা করে থাকে। ফানার-এর আমন্ত্রণে এর আগে বাংলাদেশ থেকে যারা কাতার সফর করেছেন তাদের মধ্যে আছেন মুফতি ফজলুল হক আমিনী, হাটহাজারীর মাওলানা শাহ আহমদ শফী, শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক প্রমুখ।
এরই ধারাবাহিকতায় চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ফানার এর তত্ত্বাবধানে কাতার সফরে যান (২০০৩ সালে) জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ওই সফরে তিনি কাতারের ওয়েসিস হোটলে ওঠেন।



বাংলানিউজের অনুসন্ধোনে জানা গেছে, সফরকালে কাতারের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশিদের উদ্দেশে সাঈদী ওয়াজ করেন। স্থানীয় একটি হোটেলে জামায়াতি সংগঠন কুরআন সুন্নাহ পরিষদ, কাতার (এটি কাতারে জামায়াতের ছদ্মবেশী রূপ) এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে সাঈদী ওয়াজে দাঁড়ালেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হলো তার পুরনো স্বভাবের উন্মোচন। মাঝখানে মহানবী (সা.) এর বিশিষ্ট সাহাবি আ’মর ইবনুল আস (রা.) কে গালি দিয়ে ‘ধোঁকাবাজ’ ‘প্রতারক’ বলে আখ্যায়িত করে বসেন (নাউজুবিল্লাহ)সাঈদী।
এখানেই শেষ নয়, সাঈদী অপর সাহাবি মোয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ওরফে মোয়াবিয়া (রা.) এর বিরুদ্ধেও তার পুত্র ইয়াজিদের পক্ষে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনেন। বেপরোয়া সাঈদী মোয়াবিয়াকে (রা.) ‘কুচক্রী’ বলে জঘন্য অপবাদও দেন।
এছাড়া তিনি ‘নারী নেতৃত্বে’র বিপক্ষে কুরআন হাদিসের কোথাও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলেও বয়ান করেন [উল্লেখ্য ওই সময় খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। নারী নেতৃত্ব নিয়ে (যেহেতু চারদলীয় জোটপ্রধান খালেদা জিয়া তখন ক্ষমতায়) মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান ধারণার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে গিয়ে সাঈদী একথা বলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জামায়াত ৪ দলীয় জোট গঠনের আগে পর্যন্ত নারী নেতৃত্বের বিপক্ষেই বলে আসছিল সব সময়]।
বেফাঁস কথার্বাতার একপর্যায়ে চারদলীয় জোটকে সমর্থন না করায় সাঈদী চরমোনাইর মরহুম পীরকে ‘বেআদব’ বলে উল্লেখ করেন।
তার এসব কথায় উপস্থিত সচেতন উলামায়ে কেরামরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন। সাঈদীর এমন অজ্ঞতার্পূণ মন্তব্যের প্রমাণ হিসেবে অনেকেই তার বক্তব্য মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করেন। কেউ কেউ অডিও রেকর্ড রাখেন। বিষয়টি টের পেয়ে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সেখানে উপস্থিত জামায়াতকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে সবার কাছ থেকে অডিও ও ভিডিও রেকর্ড জোর খাটিয়ে মুছে ফেলেন। এসময় তারা প্রতিশ্রুতি দেন যে, সাঈদীর বক্তব্যের পুরো ভিডিও সবাইকে সিডি আকারে দেওয়া হবে।
পরে সেই ভিডিও অবশ্য প্রতিশ্রুতদের কাউকে দেয়নি জামায়াত। তবে বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাঈদীর ওই কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যের ভিডিও ফাইল কারও কারও কাছে সংরক্ষিত আছে এখনও। কাতারের বাংলাদশ দূতাবাস চেষ্টা করলেই তা উদ্ধার করতে পারে।
সেদিনকার ঘটনায় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন আলেম পরে কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয়কে ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান। সাঈদীর বিরুদ্ধে এভাবে একে একে ২৭টি রিপোর্ট জমা হয় কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালযয়ে। এর জের ধরে নড়েচড়ে বসে ফানার।
ফানার কর্তৃপক্ষ কয়েক সদস্যের একটি তদন্ত কমটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাঈদীকে তার ভ্রান্ত ধারণা পরির্তন করার তাগিদ দেয়। একই সঙ্গে ইসলাম সম্পর্কে সাঈদীর ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য কয়েকটি নির্ভরযোগ্য কিতাবও তার কাছে পাঠানো হয় ।
এদিকে সৌদি আরবেও ইসলাম বিরোধী ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের কারণে সাইদীকে নিষিদ্ধ করা হয়।

 

 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ