চলতি বছরের জুনের পরই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় পর্ব তেজগাঁও থেকে কমলাপুর অংশের কাজ শুরু হবে।আর্থিক ও জনবল সংকট কাটিয়ে নির্ধারিত সময়ে পুরো প্রকল্প শেষ করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরই এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত খুলে দেওয়ার জন্য তিন শিফটে চলছে কাজ।
নগরজুড়ে যানজটের চিত্র যেন নিত্যদিনের রুটিন। বিশেষ করে বিমানবন্দর থেকে খিলগাঁও, বনানী, মহাখালী হয়ে এ পথ পাড়ি দিতে কখনো অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
তবে এ পথে যেন সুদিনের আভাস দিচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তিনটি ধাপে হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। প্রথম ধাপে বিমানবন্দর থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার আর তৃতীয় ধাপ মগবাজার থেকে কমলাপুর হয়ে চিটাগাং রোড। তবে প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপ আর দ্বিতীয় ধাপের একাংশ অর্থাৎ তেজগাঁও পর্যন্ত কাজ চলছে পুরোদমে। লক্ষ্যটা চলতি ডিসেম্বরে চালুর। সময়ের সঙ্গে কাজের হিসাব কিছুটা কম হলেও কর্তৃপক্ষ বলছে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে দিনরাত এক করে চলছে তিন শিফটে কাজ।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের হেড অফ কনস্ট্রাকশন জাও সুগং বলেন, আমরা চাইছি না একদিনও সময় নষ্ট করতে। তাই দিনের ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহের ৭ দিনই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বনানী থেকে তেজগাঁও অংশের ক্রস বিমের কাজ। রেললাইনের উপরে এ অংশের কাজকেই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মানছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এরপরেই দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ তেজগাঁও থেকে কমলাপুরের কাজে হাত দেবেন তারা। বলছেন আর্থিক সংকট কাটিয়ে এবার পুরোদমে এগিয়ে চলেছে কাজ।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের পরিচালক এ এইচএম শাখাওয়াত আকতার বলেন, এখন আর কোনো টাকার সমস্যা নেই। চলতি বছরের জুনের পরই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় পর্ব তেজগাঁও থেকে কমলাপুর অংশের কাজ শুরু হবে।
প্রথম অংশের অর্ধেকের বেশি শেষ হয়েছে ডেস্কস্লাব ঢালাইয়ের কাজ।