ভারত সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যৌথভাবে উদযাপন করতে ভারতের মেঘালয় সফর করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের ডেলিগেশন টিম। ছয়দিনের সফর শেষে গত ১৪ মে বাংলাদেশে ফিরেছে প্রতিনিধিদল।
সফরকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মেঘালয় রাজ্যের রাজ্যপাল সত্য পাল মালিকের সঙ্গে রাজভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে মেঘালয়ে প্রশিক্ষণ এবং নানা বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়া তৎকালীন সময় মেঘালয়ের জনগণ ও সরকারের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক বলেন, আমি নজরুল সংগীতের খুবই ভক্ত। আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে গানটি আমার খুবই প্রিয়। দেশ ভিন্ন হলেও সংস্কৃতি, ঐহিত্যসহ নানদিক দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে ভারতের মানুষের মিল রয়েছে। দুই দেশের মানুষই বীরের জাতি। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিয়ে আমরাই খুবই খুশি। কারণ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের কাছে সবার আগে। অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি আমাদের আনন্দিত করে। বাংলাদেশে মেঘালয়ের প্রচুর শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। এ যে দুই দেশের মধ্যে মেলবন্ধন তা অতুলনীয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘রিয়েল হিরো’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা যুদ্ধ করে নতুন প্রজন্মকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। এ ত্যাগ ভোলার জন্য নয়। যুদ্ধে আপনারা অনেককে হারিয়েছেন, আপনারাও ফিরে না আসতে পারতেন। তাই যদি কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা মেঘালয় ভ্রমণে আসেন, তবে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে।
পরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সৌজন্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেঘালয় রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী সোনাল বি মিশরা, চিফ সেক্রেটারি আরবি সুচিয়াং, ইস্টার্ন এয়ার কমান্ডার এয়ার মার্শাল ডি কে পাটনায়েক, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১০১ ডিভিশনের চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল অনুরাগ চোবা, প্রবীণ বকসিসহ অন্যরা। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পক্ষে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব ও মেজর জেনারেল (অব.) জি কে দাশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মওলা, ফারুক আহমেদ, সুজেত আলী, তারেকুজ্জামান, মো.আক্তারুজ্জামান, সেলিম রেজা, আবদুর সাত্তার, সাইফুজ্জামান, আবদুল কাদের, আবদুর সামাদ, মোশাররফ হোসেন, আমিনুল হক, প্রসন্ন সরকার, একেএম ফজলুল হক, শংকর কর্মকার, নুরুল আনোয়ার ভূইয়া,আকরাম আলী, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সাংবাদিক বিপ্লব দে পার্থ, তরুণ নেতৃত্ব সুমন কুন্ডু, আল মামুন, সাংবাদিক অনয় মুখার্জী, উত্তম দাশ কাব্যসহ অন্যরা।